গ্রামের দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে চলছিল মারামারি। তাদের থামাতে গিয়েছিলেন যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলমগীর (৪৩)। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আলমগীর উরকিরচর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হারপাড়া গ্রামে মুরগি বিক্রির দোকান করেন আলমগীর। তাঁর দোকানের সামনেই কিশোরদের দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি চলছিল। ১০-১২ জন মারামারিতে লিপ্ত ছিল। সেখানে গিয়ে আলমগীর দু’পক্ষের মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির মাঝে এক পর্যায়ে বুকে ব্যথা অনুভব হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির সওদাগর দাবি করেন, দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির মাঝে তাঁর বুকে ঘুসি লাগার পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আলমগীরের ছোট ভাই মুহাম্মদ রফিক দাবি করেন, তাঁর ভাই ঘুসির আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ও পরে মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া সমকালকে বলেন, দুই কিশোর গ্রুপ মারামারি করছিল। তাদের থামাতে যান আলমগীর। এ সময় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির মাঝে ধাক্কায় তিনি মাটিতে পড়ে যান। হৃদরোগের কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তির পরিবারেরও কোনো অভিযোগ নেই। তাই আমরা এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মনে করছি।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বদল ন ত ধস ত ধস ত র আলমগ র

এছাড়াও পড়ুন:

রুমায় বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের একজন কেএনএর শীর্ষ নেতা হতে পারেন, ভারী অস্ত্র উদ্ধার

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে কুকি–চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুজনের একজন কেএনএর শীর্ষ নেতা হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সেনাবাহিনী রুমা জোন সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর হোসেন। সেনাবাহিনীর অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের পর কেএনএর গোপন আস্তানা থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান। তাঁরা ওই সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য। এর মধ্যে একজন শীর্ষ নেতা হতে পারেন। তবে নিহত ব্যক্তিদের নাম–পরিচয় নিশ্চিত করেনি সেনাবাহিনী। অভিযানে কেএনএর আস্তানা থেকে সাব মেশিনগান, চায়নিজ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর হোসেন বলেছেন, আজ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী কেএনএ সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে কেএনএ সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। আক্রমণের মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গোপন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে দুজন কেএনএ সন্ত্রাসীর লাশ পাওয়া যায়। নিহত সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন কেএনএর শীর্ষ নেতা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাঁর নামসহ নিহত দুজনের নাম শনাক্ত করা যায়নি। এ ছাড়া কেএনএ সন্ত্রাসী সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আলমগীর হোসেন বলেছেন, কেএনএর আস্তানা থেকে একটি চায়নিজ এসএমজি, দুটি মিয়ানমারে তৈরি এসএমজি ও একটি চায়নিজ রাইফেল উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ৪৫১টি গুলি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আটটি ম্যাগাজিন, দুটি ওয়্যারলেস সেট, তিন সেট ইউনিফর্ম, পাঁচ জোড়া বুট জুতা, বাংলাদেশি ১৭ হাজার ৯০০ টাকা ও ভারতীয় ৯৫১ রুপি।

কেএনএর আস্তানা থেকে উদ্ধার করা ভারী অস্ত্র

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিশোরদের মারামারি থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবদল নেতার
  • সেনা অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার
  • রুমায় বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের একজন কেএনএর শীর্ষ নেতা হতে পারেন, ভারী অস্ত্র উদ্ধার
  • নতুন টেলিকম নীতিমালা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উদ্বেগ  
  • ফ্যাসিস্টদের দোসররা নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে: মির্জা ফখরুল