এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) প্রায় ২০২ কোটি ডলার পরিশোধের পর ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আজ মঙ্গলবার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। এরপর ওই মাসের ১৫ তারিখ সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার হয়। এছাড়া সব সময়ই ৩১ বিলিয়নের নিচে ছিলো।

গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হয় ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মেনে হিসাব প্রকাশের পর থেকে যা ছিলো সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে গ্রস রিজার্ভের পাশাপাশি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

২০২৩ সালের জুনে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে নেমে যায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে এখন বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রিজার্ভ বৃদ্ধির মূল কারণ অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। হুন্ডি প্রবণতা কমে যাওয়ায় গত অর্থবছরের প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায়া যা প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি।

আবার আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ কম সুদের ঋণ পেয়েছে। সব মিলিয়ে ডলার বাজার ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যা ভূমিকা রাখছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ রস র জ র ভ দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ হলুদ আমদানি

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) রেকর্ড পরিমাণ শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে। এ সময় ৩২ হাজার ২৯১ টন শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে। এর বাজারমূল্য ৫৪২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে ৩০ হাজার ৪৫০ টন শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছিল। যার মূল্য ছিল ৪৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আমদানি বেড়েছে ১ হাজার ৮৪১ টন।

আমদানি বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরার মসলা বাজারে গুঁড়া হলুদের দাম কমে এসেছে। জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের মেসার্স ঠাকুর স্টোরে বর্তমানে প্রতি কেজি গুঁড়া হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। দেড় মাস আগেও এটি ছিল ৩২০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জানান, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় গুঁড়া হলুদের দাম কিছুটা কমেছে।

সাতক্ষীরা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস এম আবদুল্লাহ বলেন, আমদানি বৃদ্ধি ও বাজারে সরবরাহ বাড়ায় গুঁড়া হলুদের দাম কমেছে। একই সঙ্গে অন্যান্য মসলার দামও সহনীয় রাখতে নিয়মিত বাজার তদারক করা হচ্ছে।

ভোমরা বন্দরভিত্তিক মসলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অন্যান্য সময়ের তুলনায় তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে শুকনা হলুদ আমদানি করা হয়েছে। এসব পণ্য ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এল ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি
  • ৩ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায়
  • ঋতুপর্ণাদের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার
  • জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮৬%
  • টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কার দল ঘোষণা, ফিরলেন শানাকা-চামিকা
  • দুই অঙ্কের গড় মূল্যস্ফীতি
  • দুই অঙ্কে গড় মূল্যস্ফীতি
  • টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ ইনিংস, মুল্ডারের নামটি মনে রাখুন
  • ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ হলুদ আমদানি