বন্দরের লাঙ্গলবন্দে মন্দিরের কমিটি দখলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরের বর্তমান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সাহা ও তার পরিবারের উপরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে 'মব' সৃষ্টি করে কমিটি দখলের চেষ্টা করছে এডভোকেট রাজীব মন্ডলের নেতৃত্বে একটি পক্ষ।

এ ঘটনায় বিপ্লব সাহার পিতা সুরেশ সাহা বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১১, তারিখ ০৭-০৭-২০২৫।

মামলায় আসামি করা হয়েছে এডভোকেট রাজিব মন্ডল, রিপন দাস, বিজয় দাস কাব্য, কার্তিক ঘোষ, সুফল সাহা, সুকেন দাস, রঞ্জন দাস, খোকন দাস, সাগর দাস, সুভাষ দাস ও অপু মালাকারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জনকে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, লাঙ্গলবন্দে হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনো আসামী গ্রেফতার হয়নি তবে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, বিবাদীরা আমার প্রতিবেশী বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত। আমার ছেলে বিপ্লব সাহা বন্দর থানাধীন লাঙ্গলবন্দ বাজার গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু রাজঘাট মন্দিরের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মন্দির পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। যার কারনে এক নং বিবাদী আমার ছেলেকে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হুমকি প্রদান করতো।

১নং বিবাদী গত ১২-০৬-২৫ তারিখে রাত সাড়ে নয়টায় তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বার হতে আমার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে ফোন করিয়া অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং আমি যাতে মন্দিরের কমিটিতে না থাকি সে বিষয়ে আমাকে হুমকি প্রদান করে।

গত ৪-৭-২০২৫ তারিখে সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ছয়টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন লাঙ্গলবন্দ বাজার গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু রাজঘাট মন্দিরে জগন্নাথ রথযাত্রা অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় বিবাদীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

আমার ছেলে প্রতিবাদ করায় বিবাদীরা তাকেও অতর্কিত মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত যখন সহ হত্যার চেষ্টা করে। তার ডাক চিৎকারে অন্তর দাস ও তপন মালাকার আগাইয়া আসিলে বিবাদীগণ তাদেরকেও মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত নীলা ফুলা জখম করে।

তখন আমার ছেলের স্ত্রী পপি দাস প্রতিবাদ করায় ১, ৪ ও ৫ নং বিবাদীগণ আমার ছেলের স্ত্রীকে চড় থাপ্পড় মারিয়া নীলা ফুলা যখম করে এবং ১০ হাজার টাকা এমন একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

সকলের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বিবাদীগণ আমার ছেলেসহ আমার পরিবারের লোকজনকে প্রকাশ্যে খুন করার হুমকি প্রদান করে। স্থানীয় লোকজন আমার ছেলেসহ আহতদের বন্দর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর লাঙ্গলবন্দের বিভিন্ন কমিটি দখলের জন্য একটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা লাঙ্গলবন্দের পূণ্য স্নান উদযাপন কমিটিসহ স্থানীয় বিভিন্ন মন্দিরের পরিচালনা কমিটিগুলোতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে 'মব' সৃষ্টির চেষ্টা করে। চলতি বছরে লাঙ্গলবন্দের পূণ্য স্নান আয়োজনের পূর্বে এরকম 'মব' সৃষ্টি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

লাঙ্গলবন্দের সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী লাঙ্গলবন্দ পূণ্য স্নান উৎসব আয়োজনে একটি কমিটি রয়েছে যা দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত সফলভাবে এই আয়োজনটি করে আসছে। এই কমিটির সভাপতি সরোজ কুমার সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক অশোক কর্মকার।

এই কমিটি আর সাথে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মিলেমিশে এই স্নান উৎসব আয়োজন করে আসছে অনেক বছর যাবত। কিন্তু হঠাৎ করে কিছুদিন আগে আরেকটি পক্ষ এই পূণ্য স্নান আয়োজনে স্বঘোষিত একটি কমিটি ঘোষণা করে আর এরপর থেকেই শুরু হয় বিভক্তি আর উত্তেজনা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, নারায়ণগঞ্জের সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত যে ঐক্য বিরাজ করছিলো তা ভেঙ্গে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে । ৫ আগষ্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর একটি মহল এই বিভক্তির বিষবাস্প ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে যা নারায়ণগঞ্জের সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন ভালো চোখে দেখছে না।

এরই অংশ হিসেবে গত ৪ জুলাই লাঙ্গলবন্দ বাজার গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু রাজঘাট মন্দিরে জগন্নাথ দেবের রথ উৎসবের অনুষ্ঠান শেষে 'মব' সৃষ্টি করে মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সাহার উপরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের মানুষ  সব সময়ই শান্তিপ্রিয়। সকল ধর্মের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। সেইসাথে সকল ধর্মের উৎসব পার্বনও এখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে পালন করা হয়ে থাকে। এখানে পবিত্র রমজান মাসে শারদীয় দূর্গাপূজা পালিত হয়েছে, কোথাও কোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির এই অনন্য নজির নারায়ণগঞ্জে চলে আসছে সুদীর্ঘকাল যাবত।

নারায়ণগঞ্জের সনাতন সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে দুটি সংগঠন সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এসেছে। এর একটি হলো পূজা উদযাপন পরিষদ আরেকটি হলো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন থেকে শুরু করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা সমস্যা সমাধানে প্রশাসন ও সরকারের সাথে সমন্বয় সাধনের কাজটি সব সময়ই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করে এসেছে এই সংগঠন দুটি।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানয় অবস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী স্নান উদযাপনের জন্যেও একটি কমিটি রয়েছে যা দীর্ঘকাল যাবত এই স্নান কাজ পরিচালিত করে আসছে। সকল সরকারের আমলেই তারা মিলে মিশে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে।

গত ৫ আগষ্টের পরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে যে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো তা দুর করতে পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপি, জমায়াত, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করে হিন্দু ধর্মের উপাসনালয় ও তাদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন যাতে করে তাদের মন থেকে সেই আতঙ্ক দুর হয়েছে এবং তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরেছেন।

তাদের মতে, ৫ আগষ্টের পর একটি নতুন চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ঐক্য বিনষ্ট করার জন্যে। তাদেরকে ইতিপূর্বে কখনো মাঠে দেখা যায়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি তাদের দু:সময়ে এদেরকে কখনো পাশে পাননি।

এসব ভূইফোড় নেতাদের ৫ আগষ্টের পর উদ্ভব হয়েছে। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যে আমাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে ইতিমধ্যে।

গত কিছুদিন পূর্বে লাঙ্গলবন্দের স্নান উৎসব উদযাপনের জন্যে নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে অথচ এখানে আগেরই একটি কমিটি রয়েছে যারা বিগত সময়গুলোতে অত্যন্ত সফলভাবে স্নান উৎসব আয়োজন করে আসছে।

বিভক্তি কখনো কল্যাণ বয়ে আনেনা। আর যারা বিভক্তি সৃষ্টি করছে তাদেরকে বিগত সময়ে কখনো আমাদের সুখ দু:খে পাওয়া যায়নি। তারা পেশী শক্তি ব্যবহার করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে কিন্তু সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন তা হতে দেবে না বলে জানিয়েছেন এবং যেকোনো মূল্যে তাদের প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল ঙ গলবন দ র ন র য়ণগঞ জ র স ন ন উৎসব ৫ আগষ ট র আম র ছ ল র ল কজন পর চ ল র বন দ র জন য ট র পর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জের সকল গ্লানি ও দূর্নাম মুছে ফেলতে হবে : গিয়াসউদ্দিন

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন,  সারা দেশের মানুষ বিএনপির পদ সদস্য সংগ্রহ করার জন্য স্বাচ্ছন্দে এগিয়ে আসছেন।

একজন মানুষ যদি বিএনপি'র সদস্য হয় সে সর্বপ্রথম দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারবেন। যে আজকে বিএনপির সদস্য হবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আছেন এটা গর্ব করে সব জায়গায় বলে যেতে পারবেন। 

যদি কেউ বিএনপির সদস্যপদ গ্রহণ করে তাহলে বর্তমান রাজনৈতিক যে অবস্থা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের একজন সহকর্মী হতে পারবেন। কেউ যদি সদস্য হোন তাহলে বৃহত্তম পরিসরে আপনি বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের সহকর্মী হতে পারবেন।

যেখানে আপনি পরিচয় দিবেন আপনি বিএনপির একজন সদস্য দেশের শত শত মানুষ হাজার হাজার মানুষ আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। আপনার সাথে তার একটা বন্ধুত্বের বন্ধন রচনা হবে। 

সোমবার (৭ জুলাই) ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের হাটখোলা মাঠে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের  উদ্যোগে আয়োজিত  বিএনপির সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন,  নারায়ণগঞ্জের সকল মানুষই ভালো। শুধু একটি পরিবার ও তাদের ছত্রছায়া যারা ছিল তারা কুলাঙ্গার তারা খারাপ তাদের কারণে বদনাম হয়েছে নারায়ণগঞ্জের। ৫ তারিখে তারা পালিয়ে গেছে এখন আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের কাজ কি। আমাদের এই বদনাম গোছাতে হবে।

আগামী দিন যেন আমাদের সন্তানরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে নারায়ণগঞ্জের পরিচয় দিতে পারে। একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। নারায়ণগঞ্জের যত গ্লানি যত দূর্নাম আছে আমাদের মুছে ফেলতে হবে। 

তিনি বলেন, বিএনপি যখন নির্বাচন করে এই কাশীপুর থেকে বিজয় লাভ করে। কাশীপুরের সবচেয়ে বেশি যেমন দলীয় নেতা কর্মী রয়েছে তেমনি রয়েছে সমর্থক। আপনারা এখান থেকে সদস্য ফরম নিবেন এবং দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সদস্য হবেন।  আমার সহকর্মী নেতৃবৃন্দ যারা আছেন তাদেরকে আমি আহবান করব প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্যসপদ সংগ্রহ করবেন।

সবাইকে এ দলের সদস্য করা যাবে শুধু করা যাবে না এদেশে যারা খারাপ মানুষ ভালো মানুষ হলেই সদস্য করবেন। যে আগ্রহ দেখাবে তাকে সদস্য করবেন কাউকে ফিরাবেন না। যত সদস্য বেশি করবেন ততই আমাদের দলসমৃদ্ধি হবে। বিশাল পরিষদে কাজ করতে পারবো। 

গিয়াসউদ্দিন বলেন, ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামের সবচেয়ে বেশি ভূমিকায় রেখেছে বিএনপি। সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলি। এত আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচার এত রক্ত ঝরিয়েছে রাজপথে। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছি। কখনো মাঠ থেকে পালিয়ে যায়নি। 

যত মিথ্যা মামলা হয়েছে জেলে নিয়েছে হত্যা গুম হয়েছে তারপরও আমরা আন্দোলন ছেড়ে কোনদিন পালিয়ে যাইনি। জেলে নিয়েছে জেল খেটেছে মামলা হয়েছে ফেইস করেছি কিন্তু দেশ ছেড়ে পালায় নাই। আর যারা সিংহ পুরুষ ছিল। যারা গডফাদারদের অন্যতম ছিল, হুংকার দিত অনেক সুন্দর কাহিনী নিয়ে।

নারায়ণগঞ্জে তারা প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে রাজনীতি করেছে। অনেক মায়ের বুক খালি করেছে। তারা কি সিংহ পুরুষ। যুদ্ধের মাঠে কারা পালিয়ে যায় কাপুরুষ। আর পালিয়ে যায় চোর ডাকাতরা।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিন তার লেফটেন্ট স্যারদের নিয়ে পালিয়েছে। সে একটা কাপুরুষ, সে একটা চোর, সে একটা ডাকাত, বাটপার এদশের এদেশের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। গণহত্যা করেছে সে পালিয়ে গেছে এরা দেশে ফিরে আসতে পারে না। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে তারা দেশ ছাড়া নাই। 

নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে কিন্তু এমন ভাবে পালিয়ে যায় বিশ্বের ইতিহাসে আর কোথাও নাই। আবার তারা স্বপ্ন দেখছে এদেশে তারা ফিরে আসবে এ দেশকে দখল নিবে। তাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের নাকি তারা শায়েস্তা করবে এখনো তারা মাতৃগর্ভে আছে। 

নারায়ণগঞ্জের তিন, চার ও পাঁচ এই তিনটি আসন ছিল ওসমান পরিবারের হাতে। এই তিনটি আসনে শামীম পরিবার সন্ত্রাসী করতো। আর বাকি আসনে নিজস্ব এমপি বলে সন্ত্রাসী ছিল।

তারা অন্যায় অবিচার করেছে, নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুনাম সূখেতি ধ্বংস করেছে কে যদি বলি একটাই পরিবার সে জোহা পরিবার। বাটপার, চোর, ডাকাত মিথ্যাবাদী অভিনেতা এই একটি পরিবার নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুনাম সুখেতি সব ধ্বংস করেছে।

কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মইনুল হোসেন রতনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফ মন্ডল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, ফতুল্লা থানা সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কবির প্রধান, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব বিল্লাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ও ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আলমগীর হোসেন, থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ হাজি মাসুদুর রহমান, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ রাসেল মাহমুদ,  এমএইচ হোসেন প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘অন্তর্বর্তী সরকার বিচারপ্রক্রিয়া আবার শুরু করলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই’
  • নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি প্রার্থী সিরাজুল  মামুনের পক্ষে মিশনপাড়ায় গণসংযোগ
  • সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই তেলের আস্তানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, বিপুল তেল জব্দ
  • ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও দগদগে ব্রাজিলের সেই ক্ষত
  • ডিসি-এসপির সাথে ইসলামী আন্দোলন ও অন্যান্য দলের মতবিনিময়
  • একুশ বছরে বাতিঘর, উৎসবে সাজবে কাল
  • নারায়ণগঞ্জের সকল গ্লানি ও দূর্নাম মুছে ফেলতে হবে : গিয়াসউদ্দিন
  • বড় কিছুর আশায় পবিত্র নগরীতে মিরাজরা
  • ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ