আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব, বিবিসি বাংলাকে সিইসি
Published: 13th, July 2025 GMT
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন ঠিক কবে হবে—এই প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে সন্দেহ, সংশয় তৈরি হয়েছে। এমন পটভূমিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ ও নিজের নিরপেক্ষতার প্রশ্নেও জবাব দিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নিতে পারা না–পারার প্রশ্ন, নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির।
বিবিসি বাংলা: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারে যোগ দেওয়ার জন্য। আপনি এমন একটা সময়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েছেন, যখন কিনা বাংলাদেশ একটা ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন আছে। বড় প্রশ্ন এখন, নির্বাচন কবে হবে, সেটা কি এখন আপনি বলতে পারবেন?
নাসির উদ্দীন: ইটস ভেরি ডিফিকাল্ট ফর মি টু রেসপন্ড, বিকজ আই মাইসেলফ ওন্ট নো এক্স্যাক্ট ডেট (সুনির্দিষ্ট তারিখ)। পোলিং ডেটটা জানি না। এপ্রিলে ফার্স্ট হাফে (প্রথমার্ধে) বলা হচ্ছে। দ্যাট কাইন্ড অব থিং, উইল বি কমিউনিকেট টু আস, উইথ সাম আইডিয়া দ্যাট—প্লিজ গো অ্যাহেড—দিস ইজ দ্য রেঞ্জ।
বিবিসি বাংলা: সরকার আপনাদের জানাবে যে এই সময়ের মধ্যে ভোট হতে পারে। সেটা কি এখনো জানায়নি?
নাসির উদ্দীন: আপনি যেমন জানেন, আমিও তেমনি জানি যে, আইদার ফেব্রুয়ারি, মানে রমজান মাসের আগে অথবা এপ্রিলে। যেটা সব সময় উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলে আসছেন। সেটাই জানি, যেটা আপনি জানেন, দেশবাসী জানে, ওনার বক্তব্য থেকে। সেটা আমিও জানি।
বিবিসি বাংলা: সরকার থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা প্রস্তুত হতে বলেছে। সরকার আপনাদের কিছু বলেনি যে কবে নির্বাচন হতে পারে বা কোন সময়ের মধ্যে ভোট হতে পারে?
নাসির উদ্দীন: না সে রকম বলেনি। আমরা ধরে নিচ্ছি, ইট ইজ আওয়ার অ্যাজাম্পশন (আমাদের ধারণা) যে বর্তমানে যে টাইম ফ্রেম বলা হচ্ছে, আইদার আর্লি ফেব্রুয়ারি বিফোর রমাদান, অর ইট মে বি সাম টাইম ইন দ্য ফার্স্ট হাফ অব এপ্রিল। এপ্রিলের প্রথম দিকে হতে পারে।
আমরা প্রথম থেকেই ডিসেম্বরকে টার্গেট করে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কারণ, তখন তিনি ডিসেম্বর টু জুন বলেছিলেন। এ জন্য আমরা ডিসেম্বরকে টার্গেট করে—ফ্রম ডে ওয়ান উই স্টার্টেড প্রিপেয়ারিং আওয়ারসেলভ।
বিবিসি বাংলা: সেটা কবে থেকে? আপনারা যখন শুরু করলেন তখন থেকে?
নাসির উদ্দীন: হ্যাঁ, তখন থেকেই আমরা শুরু করলাম। তারপর থেকে আই ওয়াজ হ্যাভিং মিটিং উইথ মাই অফিশিয়ালস হেয়ার।
বিবিসি বাংলা: আপনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, তখন আপনাকে কোনো টাইম ফ্রেম বা সময়সীমা নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়া হয়েছিল যে এ সময়ের মধ্যে দেওয়া হতে পারে?
নাসির উদ্দীন: না দেওয়া হয়নি। বাট আমি ধরে নিয়েছি যে ইলেকশন তো একটা হবে। আমি প্রথমে আমার অফিসারদের সাথে বসেছি যে একটা ইলেকশন করতে গেলে কী কী দরকার, কী কী কাজ আমাদের করতে হবে, কী কী কাজ বাকি আছে। ওনারা আমাদের একটা চার্ট করে দেবেন এবং কোন কাজ করতে কত দিন লাগে, সেটা দেবেন। তখন তো আমরা জানি না, ডিসেম্বর বা অন্য কোনো টাইমলাইন তো তখনো আসেনি।
বিবিসি বাংলা: ডিসেম্বরকে লক্ষ্য করে আপনার প্রস্তুতি কবে থেকে শুরু করলেন?
নাসির উদ্দীন: যখন থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেন; সম্ভবত গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর উনি যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তখন আমি মৌলভীবাজারে ছিলাম। ওখানে বসেই আমি শুনলাম যে ‘আইদার ইট উইল বি ইন ডিসেম্বর, অর ইন জুন’—এটা শুনলাম ওনার বক্তব্যের মধ্যে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড স ম বর প রস ত ত প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।