খাগড়াছড়িতে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে চা–দোকানি গ্রেপ্তার
Published: 23rd, July 2025 GMT
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শাহিন মিয়া (৫৩) নামে এক চা–দোকানিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
শিশুটির বাবা জানান, তাঁর মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। গতকাল দুপুরে মাদ্রাসা ছুটি শেষে সে বাড়ি ফিরছিল। তখন চা–দোকানি মো. শাহিন মিয়া তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই দোকানি বিকেলে মোটরসাইকেল দিয়ে মেয়েটিকে বাড়িতে দিয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পর তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ি মেয়েটির শরীরে রক্ত দেখতে পায়। এরপর ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পারেন।
জানতে চাইলে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আজ বুধবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রোকসানা আক্তার বলেন, ‘শিশুটির অবস্থা গুরুতর। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।