সালমানের বিগ বস প্রতিযোগী কাব্য মেহরা নিয়ে আলোচনা, মানুষ না অন্য কিছু
Published: 23rd, July 2025 GMT
ভারতের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’–এর ভক্তদের জন্য আসছে বড় চমক। সালমান খান সঞ্চালিত এ শোর ১৯তম সিজন শুরু হচ্ছে আগামী মাসে। এবার এর পরিধি হবে আগের চেয়ে অনেক বড়—চলবে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস। তবে প্রতিযোগীদের তালিকা এখনো প্রকাশিত না হলেও ইতিমধ্যে একজন প্রতিযোগীর নাম ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। তিনি হলেন কাব্য মেহরা।
কাব্য মেহরা হলেন ভারতের প্রথম এআই ইনফ্লুয়েন্সার মা, যাঁকে তৈরি করেছে কালেকটিভ আর্টিস্ট নেটওয়ার্ক। তবে তিনি শুধু ভার্চ্যুয়াল চরিত্র নন, একজন আধুনিক ভারতীয় মায়ের প্রতিচ্ছবি। রান্না, পরিবার, জীবনের নানা দিক এবং মানসিক-শারীরিক সুস্থতা নিয়ে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করেন তিনি। তাঁর এই গল্পগুলো তৈরি করা হয়েছে আসল মায়েদের অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। তাই তাঁর কনটেন্ট ভারতীয় মায়েদের কাছে বাস্তবধর্মী বলে মনে হয়।
শুধু তা–ই নয়, কাব্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেন, জীবনধারা ও ফ্যাশন কনটেন্ট তৈরি করেন নিয়মিত। আর এবার যদি তিনি সত্যিই বিগ বসে প্রবেশ করেন, তা হবে ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লাইলীকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে চান আনোয়ার
বরগুনার বিষখালী নদীর পাড়ে বেড়ে উঠেছেন লাইলী বেগম। বাবার মৃত্যুর পর ভাইয়েরা অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান, তখন কন্যা হয়েও লাইলী সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। অভাব, ক্ষুধা আর সমাজের অবহেলা তার নিত্যসঙ্গী হয়। তারপরও থেমে যাননি লাইলী।
জীবনের চাকা ঘুরাতে, মাছ ধরা থেকে বর্গাচাষ—সবই করেছেন লাইলী। গত ২১ বছর ধরে নদী ও সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বরগুনা জেলার সরকারিভাবে নিবন্ধিত একমাত্র নারী জেলে তিনি। এই লাইলীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ‘উত্তরের বৈঠা’। এটি নির্মাণ করেছেন আনোয়ার হোসেন।
পরিচালক আনোয়ার হোসেন
আরো পড়ুন:
জসীমের কবরে রাতুলকে সমাহিত করে দুই ভাইয়ের আবেগঘন পোস্ট
নীনার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে কী বলেছিলেন ক্রিকেটার ভিভ?
এ নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন পরিচালক আনোয়ার হোসেন। তরুণ এই নির্মাতা বলেন, “এই চলচ্চিত্র শুধু একজন নারী জেলের গল্প নয়, এটি একজন মানুষের বেঁচে থাকার অদম্য চেষ্টা, একাকিত্বে গড়ে ওঠা সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি। লাইলী বেগম যখন নদীতে জাল ছুঁড়ে দেন, সেই মুহূর্তে তিনি শুধু মাছ খোঁজেন না—তিনি খুঁজে ফেরেন নিজের অবস্থান, নিজের সম্মান, আর অস্তিত্বের উত্তর।”
লাইলীর চোখ দিয়ে বাস্তবতা দেখাতে চেয়েছেন নির্মাতা। তার ভাষায়, “এই ফিল্মে আমি কোনো কৃত্রিম কণ্ঠ বা নাটকীয় ভাষা ব্যবহার করিনি। কারণ আমি চেয়েছি দর্শক যেন লাইলীর চোখ দিয়েই এই বাস্তবতা দেখেন। তার নীরবতা, তার কথাবার্তা, তার দৃষ্টি—সবই যেন একেকটি দৃশ্যপট হয়ে ওঠে। একজন নির্মাতা হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল শুধু একটি ফ্রেম তৈরি করে দেওয়া, বাকিটা বলে গেছেন লাইলী নিজেই—তার জীবনযাত্রা, নদী এবং অব্যক্ত যন্ত্রণা দিয়ে।”
‘লাইলী’-কে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে চান পরিচালক। তা জানিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, “এই ফিল্মটি তাদের জন্য, যারা নিঃশব্দে লড়াই করেন এবং যারা কখনো আলোয় আসেন না। এখানে আমি সংক্ষিপ্ত আকারে প্রামাণ্য চিত্রটি তৈরি করেছি, পূর্ণদৈর্ঘ্য আকারে তৈরি করার প্রস্তুতি চলছে। আপনাদের সহযোগিতা ও আগ্রহ আমাকে অনুপ্রাণিত করবে। এই জীবন সংগ্রামের কথা বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে চাই।”
সমাজের বাঁকা চোখ উপেক্ষা করে লাইলী প্রমাণ করেছেন, নারীর স্থান কেবল ঘরে নয়, সাহস আর সংগ্রামেও। লাইলী কেবল একজন নারী জেলে নন, এক অনুপ্রেরণার নাম। নারী চাইলে সব পারে—লাইলী তা নিঃশব্দে প্রমাণ করেছেন বলেও মনে করেন নির্মাতা।
ঢাকা/শান্ত