ছিনতাই: মোহাম্মদপুর থানার ৪ পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত
Published: 25th, July 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা থেকে মাত্র ৩ মিনিট হাঁটার দূরত্বে আহমাদ ওয়াদুদ নামের এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যের গাফিলতির কারণে ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এসআই ছাড়াও একজন এএসআই ও ২ জন কনস্টেবল রয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো.
তিনি জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ভোটের দিন সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা জারি ইসির
যদি কোনোদিন জেলে যেতে হয়, সেখানে উঁচু কমোড পাব?
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুর থানা থেকে মাত্র ৩ মিনিট হাঁটার দূরত্বে আহমাদ ওয়াদুদ নামের ওই সাংবাদিককে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে তার কাছে থাকা মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। পরে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে বিষয়টি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জানান। কিন্তু পুলিশ সদস্য দায়িত্বে অবহেলা করেছেন বলে দাবি করেন আহমাদ ওয়াদুদ।
ঢাকা/এমআর/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদপ র থ ন ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ