আমার নানি জীবনের শেষ ভোটটা দিতে পারেননি। নানির ডায়াবেটিস ছিল। গত নির্বাচনে রোদের মধ্যে হেঁটে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ভোটকেন্দ্রে ঢোকার মুখে নানিকে একজন বলেন, ‘খালা, আপনি কেন এসেছেন?’ নানি বলেছেন, ‘ভোট দিতে এসেছি।’ সেই লোক বলেন, ‘খালা, ভোট তো হয়ে গেছে। আপনার কষ্ট করে ভোট দিতে হবে না। আপনি চলে যান।’ নানিকে ভোট না দিয়েই বাড়িতে ফিরতে হয়েছে। নানি ২০২০ সালে মারা গেছেন। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার প্রথম চাওয়া, আগামী দিনে যেন এমনটা আর না ঘটে। আমরা আমাদের ভোটাধিকার ফেরত চাই। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটেছে। অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বিদ্যমান নতুন ও পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি চাওয়া, প্রতিটি দলই সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করুক। রাজনীতিটা শুধু দলের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য হোক।
নিজের জন্য রাজনীতি করতে হলে তো প্রত্যেকেরই একটি করে রাজনৈতিক দল খোলা উচিত। বাড়ির সদস্যদের নিয়ে যে কেউ একটা রাজনৈতিক দল খুলে ফেলতে পারেন। আরেকজন হয়তো আরেকটা খুলল। তাহলে দেশে যত মানুষ ততগুলো দল হবে। আমার জন্য তখন তো আরেকজন আর কাজ করবে না। দিন শেষে আমার জন্য যে কাজ করবে আমি তাকেই ভোট দেব। আমি তো কোনো মার্কা দেখে ভোট দেব না।
আন্দোলনে ‘কথা ক’, ‘আওয়াজ উডা’, ‘৫২’–সহ বেশ কয়েকটি র্যাপ গান আলোচিত হয়েছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ