১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনের দাবি খেলাফত মজলিসের
Published: 26th, July 2025 GMT
মৌলিক সংস্কার দ্রুত শেষ করে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। একই সঙ্গে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের। এ সময় আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুম, খুন, গণহত্যা ও অপকর্মের দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঝগড়া-বিবাদ জনমনে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সংশয়-শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ‘মবের’ ঘটনা সরকার ও রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উসকানিমূলক বক্তব্য ও অশালীন ভাষা ব্যবহার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পুরোনো ধারার প্রতিচ্ছবি বয়ে বেড়াচ্ছে।
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি দাবি করে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের সংলাপ অব্যাহত রাখলেও মৌলিক সংস্কার বিষয়ে দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে লিপ্ত রয়েছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
পতিত স্বৈরাচারী শক্তির পুনরুত্থান ঠেকাতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান আহমদ আবদুল কাদের। তিনি জানান, ইসলামী দল ও মতাদর্শগুলোর ঐক্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনের বিপরীতে একজন প্রার্থী দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে আগস্টের মধ্যে ৩০০ আসনে পর্যায়ক্রমে প্রার্থী ঘোষণা করার কথা বলেন তিনি।
খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির নায়েবে আমির সিরাজুল হক, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক ও আবদুল হামিদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, আবদুল জলিল, এ এ তাওসিফ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক মজল স র আবদ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব