এখন আমার মোবাইলে ওর কোনো ফোন আসে না
Published: 3rd, August 2025 GMT
ঘরে তাকে তাকে সাজিয়ে রাখা বই। টেবিলে খাতা, আর নানা অর্জনের মেডেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। প্রতিটি কোনায় থাকা স্মৃতি চিহ্নগুলো পরিবারকে আফিকুল ইসলাম সাদের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে ঢাকার ধামরাইয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ এই শিক্ষার্থীর স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছেন তার মা-বাবা। ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা তারা। ছেলে হারানোর বেদনায় দিন কাটে তাদের। মা-বাবার একটাই দাবি, ছেলে হত্যার বিচার।
পুলিশ বলছে, মামলায় অন্তত অর্ধ শতাধিক আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিগগিরই দেওয়া হবে তদন্ত প্রতিবেদন।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু
রবিবার সমাবেশ, ঢাকাবাসীর কাছে ছাত্রদলের অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকালে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল অ্যন্ড কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ চলছিল। এসময় কলেজছাত্র সাদ গুলিবিদ্ধ হন। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর ৮ আগস্ট সকালে তিনি মারা যান।
সাদ সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ধামরাইয়ের রথখোলা এলাকায় বাবা মো.
আফিকুল ইসলাম সাদ
ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সাদের মা জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘‘ও যতক্ষণ বাইরে থাকত, কিছুক্ষণ পরপরই কল দিয়ে খোঁজ নিত, নিজের খোঁজ জানাত। এখন আমার মোবাইলে ওর কোনো ফোন আসে না।”
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার সন্তানকে আল্লাহ শহীদের মর্যাদা দান করেছেন। আল্লাহ যেন আমার সন্তানকে জান্নাতে নেয়।”
শোককে ধারণ করে ছেলে হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবি করেন সাদের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘‘যে ফ্যাসিস্টরা তাকে শহীদ করেছে, আমাদের বুক খালি করেছে, আমার সন্তানকে নিয়ে নিয়েছে তাদের বিচার যেন এই বাংলার মাটিতে হয়।”
সাদকে হত্যার ঘটনায় গত বছরের ২১ আগস্ট ধামরাই থানায় মামলা করেন তার নানা আজিম উদ্দিন। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৮০-৯০ জনকে।
এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবীর মোল্লাসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেপ্তারে চলছে অভিযান।
ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সাদ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন। শিগগিরই মামলার প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন ক ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বড় লোকসানে আইএফআইসি ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৪) ও নয় মাসের (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য নয় মাসের প্রান্তিকে ব্যাংক দুটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে বড় লোকসানে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বুধবার (২৯ অক্টোবর) কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
আইএফআইসি ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৩.৫৩) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.০৪ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে।
এছাড়া, চলতি হিসাববছরের নয় মাস বা তিন প্রান্তিক মিলে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৯.৪০) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৩৬ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে এ কোম্পানি শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮.৯১ টাকা।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১০.৯৪) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৩৬) টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ১০.৫৮ টাকা বা ২৯৩৮.৮৯ শতাংশ।
এছাড়া, চলতি হিসাববছরের নয় মাস বা তিন প্রান্তিক মিলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১৫.২৮) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.১৪ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২.৮৭ টাকা।
ঢাকা/এনটি/রফিক