চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাারের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইউনিটের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা করতে গেলে আরেক ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর পক্ষের লোকজন তাকে ‘চাঁদাবাজ’ ও ‘ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। এ সময় সাব্বিরের পক্ষের লোকজনও তাদের উদ্দেশে দুয়োধ্বনি দেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। জেলা প্রশাসক মো.

আব্দুস সামাদ ও জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আবার শুরু হয় অনুষ্ঠান।

ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাংবাদিকদের বলেছেন, “অনুষ্ঠানে আমি বাধা দেওয়ার কেউ না। আমি বাধা দিইনি। জুলাই যোদ্ধাদের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাদের কোনো মূল্যায়নই করা হয়নি। এই অকৃতজ্ঞতার প্রতিবাদ জানিয়েছি সচেতন নাগরিক হিসেবে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসনের। এটি আমাদের নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান নয়। এখানে দাওয়াত দেওয়ার বিষয়ে আমরা কেউ না। এই অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো দায়িত্বই ছিল না। শুধু তাই নয়, আমাকে বক্তৃতার জন্য ডাকা হবে, এটা আমি নিজেও জানতাম না।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ মো. রেজাউল করিম বলেছেন, “মঞ্চে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওই দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এ নিয়েই তাদের ঝামেলা হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও অনুষ্ঠান শুর হয়।”

এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

ঢাকা/শিয়াম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইনব বগঞ জ পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বন্ধ থাকবে স্টার সিনেপ্লেক্স

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স সাধারণত সারা বছরই খোলা থাকে। ছুটির দিন হোক কিংবা উৎসব—দর্শকের ভিড়েই জমজমাট প্রেক্ষাগৃহ। কিন্তু এবার বিশেষ একটি দিন উপলক্ষে ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, ৫ আগস্ট (জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস) তাদের সকল শাখা একদিনের জন্য বন্ধ থাকবে। পরের দিন (৬ আগস্ট) থেকে আবারো সব শাখায় সাধারণ কার্যক্রম ও প্রদর্শনী শুরু হবে।  

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। তবে আমাদেরকে আলাদাভাবে বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েই আমরা দিনটিতে কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে আর কোনো বাট বা কিন্তু নেই।” 

আরো পড়ুন:

মেয়েকে অবহেলার গুঞ্জনে ক্ষুব্ধ পরীমণির কড়া জবাব

দুই স্ত্রীকে খুশি রাখা অসম্ভব, শাকিব প্রসঙ্গে জয়

উল্লেখ্য, সরকারি ছুটির দিনেও সাধারণত মাল্টিপ্লেক্সগুলো বন্ধ থাকে না। কারণ, সেসব দিনই মূলত দর্শকের ভিড় বেশি হয়। তাই এই ঘোষণাকে স্টার সিনেপ্লেক্সের একটি সচেতন এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস: মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠান চলছে
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে মহানগর যুবদলের পুষ্পস্তবক অর্পণ
  • জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারী ১৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর শাস্
  • ওয়ান ইলাভেনের দিকে যাবে দেশ: এবি পার্টি
  • শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধায় সারা দেশে পালিত হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান দিবস
  • ‘এত বড় আন্দোলনের সঙ্গে থাকতে পারাটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া’
  • শেকল ভাঙার দিন আজ 
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান: সিরাজগঞ্জে ৪ আগস্ট নিহত হয় ২৯ জন
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বন্ধ থাকবে স্টার সিনেপ্লেক্স