সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী মামলায় প্রথম চার্জশিট দাখিল
Published: 26th, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা বৈষম্য বিরোধী মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রথম চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী সহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে মামলায় অভিযুক্ত দুইজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক মো.
এর আগে ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে নিহত আব্দুল লতিফ হত্যা মামলায় তার বাবা মো. নেজাবুদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় ১২ জনকে আসামী করেছিলেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ইয়াসিন মিয়া, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, আশরাফ, ইয়াসিন আরাফাত রাসেল, আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ও ওমর ফারুক।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ২০২৪ সালের ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালিন সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকার দশতলা বিল্ডিংয়ের সামনে ছাত্র-জনতার উপড় আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা চালায়। ওই হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল লতিফ নামে একজন মারা যায়।
এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী সাবেক সেতুমন্ত্রী এবং শামীম ওসমান সহ ১২ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই মামলাটির তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে স্থানান্তর করা হয়। সেই সাথে তদন্ত শেষে মামলায় উল্লেখিত ১২ জন সহ আরও দুইজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছেন। বুধবার চার্জশিটটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে উপস্থাপন করা হবে।
মামলার আগামী ধার্যতারিখ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর। চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে দুইজন গ্রেফতার রয়েছে এবং বাকীরা পলাতক রয়েছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন শ ম ম ওসম ন
এছাড়াও পড়ুন:
“শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাড়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কে আজ বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে যা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। স্বেচ্ছায় সড়কে শৃংখলার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো-ইজিবাইক চালকদের সংঘবদ্ধ হিংস্র হামলা প্রমান করে এটা পূর্ব পরিকল্পিত।
কিছু কিছু অটো চালক তাদের গাড়ির সিটের নিচে করে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসেছে। হামলার পরও প্রকাশ্যে একাধিক শিক্ষার্থীকে গণধোলাই দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে অটো চালকরা। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও পথচারীদের তথ্যমতে, অনেক অটো চালককে মনে হয়েছে কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী, নেশাখোরের মতো। তারা অন্যদের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিল।
অটো চালকদের কেউ কেউ থামানোর চেষ্টা করলেও আরেকটি পক্ষের হিংস্রতা দেখে মনে হচ্ছিল তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে এই ঘটনায়।
হামলার পর উল্টো অটো চালকরা নিজেদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দুই ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড ব্লক করে রাখে। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হলো, সড়ক বন্ধ করা হলো, রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ ডানপন্থী-বামপন্থী রাজনৈতিকরা। নিশ্চুপ অতি বিপ্লবীরাও।
মজার বিষয় হলো-স্বেচ্ছাশ্রমে রৌদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন হয়তো কারো কারো কাছে পছন্দ হচ্ছিলো না। কারণ, চাষাড়ায় অটো ঢুকতে দেয়াটাই ছিল অটো চালকদের দাবি। সেখান পর্যন্ত গেলে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া ও আয় বেশী হয়। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঁদাবাজরাও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এই চাঁদাবাজ ও অটো বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কথিত সাংবাদিক ও মাস্তানদের সমন্বয়ে একটি চক্র। এই চক্রের কারণে কখনোই অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটো রিকসা, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা যায়নি। হয়তো যাবেও না।
শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
লেখক -
বিল্লাল হোসেন রবিন
সহসভাপতি
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব