যুবদল নেতাকে থাপ্পড়ের অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার
Published: 27th, August 2025 GMT
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে যুবদল নেতা আমিনুল ইসলামকে থাপ্পড় মারার অভিযোগে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে গাছ থেকে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতেই অভিযুক্ত এসআই রাসেলকে প্রত্যাহার করে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।”
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম উত্তর চরপাড়ার মৃত মান্নানের দুই ছেলে মিঠু আকন্দ ও মিজু আকন্দের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গত সোমবার সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে মিঠু আকন্দ উপস্থিত ছিলেন না।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন। ক্ষুব্দ স্থানীয় লোকজন এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে ফোন করে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামকে থানায় ডেকে নেয় পুলিশ।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত ভিপির উপস্থিতিতে থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) রুমে বৈঠক হয়। সেখানে এসআই রাসেল ও আমিনুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমিনুল ও এসআই রাসেলকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
যুবদল নেতা আমিনুল বলেন, “রুম থেকে বেরিয়ে আসার পর আরেকটি রুমে নিয়ে এসআই রাসেল আমাকে থাপ্পড় মারেন। আমি কানে শুনতে পাচ্ছি না। সিনিয়র নেতারা অনুমতি দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করব।”
এর আগে অভিযুক্ত এসআই রাসেল বলেছিলেন, “জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমিনুল অভিযোগকারীদের পুলিশের সামনে মারধর করেন। পরে তাকে থানায় নেওয়া হয়। ওসির নির্দেশে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। সেখানে তাকে মারধর করা হয়নি।”
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, “যুবদল নেতা আমিনুল পুলিশের কাজে বাঁধা দিয়েছিলেন। তাকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। পরে দায়িত্বর এসআইয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নেতাদের ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ এসআই র স ল য বদল ন ত আম ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩
যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
আরো পড়ুন:
বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬
বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু
নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।
তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র্যাবে কর্মরত ছিলেন।
তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ