বন্দরে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এজেন্টের মালামাল লুট
Published: 27th, August 2025 GMT
বন্দরে পাওনা টাকা না দেওয়ার জের ধরে সুন্দরবন কুরিয়া সার্ভিসের এজেন্ট ব্যবসায়ীকে অমানবিক নির্যাতনের পর প্রতিষ্ঠানের তালা খুলে ৪টি স্মার্ট ফোনের পার্সেল ও ১৫টি গিফট পার্সেলসহ দোকানে ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাওনাদার বন্ধু নাদিমসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী দেনাদার সুন্দরবন কুরিয়া সার্ভিসের এজেন্ট ব্যবসায়ী তপন চক্রবর্তী বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন রাতে পাওনাদার বন্ধু নাদিমসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ৩টায় বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের কাইতাখালী নদীরপাড়ে খোলা নির্জন মাঠে অমানবিক নির্যাতনের পর বন্দর সিরাজ দৌল্লা ক্লাব সংলগ্ন উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের তালা খুলে বিভিন্ন মালামাল লুটপাটের ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর জামাইপাড়া এলাকার দুলাল চক্রবর্তী ছেলে তপন চক্রবর্তী দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানার সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মার্কেটে দোকান নিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের এজেন্ট নিয়ে ব্যবসায় করে আসছে। এ সুবাদে বন্দর থানার কাইতাখালি এলাকার আবুল কালাম মিয়ার ছেলে তারেই বন্ধু নাদিম হোসেনের নিকট হইতে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেই।
উল্লেখিত টাকা হইতে ৩০ হাজার টাকা ছাড় দিয়ে পাওনাদার বন্ধু নাদিম দেনাদার বন্ধু তপন চক্রবর্তী পিতাকে জিম্মাদারী হিসেবে একটি কর্জ নামা দলিল সম্পাদন করেন যেখানে উল্লেখ থাকে যে, আগামী ৩০/০৯/২০২৫ তারিখের মধ্যে তিন ধাপে ১নং বিবাদীকে উক্ত টাকা পরিশোধ করা হবে।
এর ধারাবাহিকতা গত মঙ্গলবার পৌনে ৩টায় সময় পাওনাদার বন্ধু নাদিম দেনাদার বন্ধু তপন চক্রবর্তী বাড়িতে এসে তাকে তপন চক্রবর্তীকে বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ কাইতাখালী নদীরপাড়ে একটি খোলা নির্জন মাঠে নিয়ে যায়।
সেখানে ১নং বিবাদী নাদিমের বন্ধু হাসিব ও শিপন সহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক দেনাদার তপন চক্রবর্তী জন্য অপেক্ষা করছিলো। পরে উল্লেখিত ৩ জন দেনাদার তপন চক্রবর্তীকে হত্যার উদ্দেশ্য লাঠিসোটা দিয়ে বেদম ভাবে পিটিয় শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট নীলাফুলা জখম করে।
মারপিটের এক পর্যায়ে পাওনাদার নাদিম দেনাদার তপন চক্রবর্তীকে উল্লেখিত স্থানে আটক রেখে প্যান্টের পকেটে থাকা উক্ত দোকানের চাবি এবং দুইটি স্মার্ট ফোন ও একটি বাটন ফোন নিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে পাওনাদার নাদিম দেনাদার তপন চক্রবর্তীকে তার সহযোগিদের কাছে আটক রাখে সে নিজে বন্দর সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মার্কেটে সুন্দরবন কুড়িয়া সার্ভিস এজেন্টের তালা খুলে দোকানে থাকা ৪টি স্মার্ট ফোন এর পার্সেল এবং ১৫টি গিফট পার্সেলসহ দোকানে ক্যাশ বক্সে থাকা নগদ ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা লুট করে বাড়িতে রেখে পুনরায় উক্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পরে পাওনাদার ও তার ২ সহযোগী বিকেল ৫টায় মাদকসেবন করার জন্য মাঠের পাশে থাকা ঝোপের আড়ালে গেলে ওই সময় দেনাদার তপন চক্রবর্তী কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে প্রান রক্ষা পায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ন দরবন ক র য় ন দ র বন ধ উল ল খ ত ব যবস য় সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ