নুরের ওপর হামলার ঘটনায় কেউ ছাড় পাবে না, দ্রুত বিচার শেষ করা হবে
Published: 30th, August 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা নুরুল হক নুরের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে-এই ঘটনার সাথে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না এবং দ্রুততার সঙ্গে বিচার সম্পন্ন করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে হামলার নিন্দা জানিয়ে শনিবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে সরকার বলছে- কেবল নুরের ওপরই নয়, এই ধরনের সহিংসতা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ঐতিহাসিক সংগ্রামে জাতিকে একত্রিত করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্পিরিটের ওপরেও আঘাত বলে মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আরো পড়ুন:
সুতিয়াখালিতে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও চারা বিতরণ
‘গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার দিকে হাঁটছে দেশ’
এই নৃশংস ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে সম্পন্ন করা হবে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রভাব বা পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, জড়িত কোনো ব্যক্তি জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পাবে না। স্বচ্ছতা এবং দ্রুততার সাথে এর বিচার সম্পন্ন করা হবে।
বিবৃতে আরো বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে নুরুল হক নুর এবং তার দলের অন্যান্য আহত সদস্যদের চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রয়োজনে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে পাঠানো হবে।
এই সংকটময় সময়ে নুর এবং তার দলের আহত সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সঙ্গে পুরো জাতির প্রার্থনা এবং সংহতি রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
২০১৮ সালে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নুরুল হক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন উল্লেখ করে বিবৃতে সরকার বলেছে- একজন ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি তরুণদের সংগঠিত করেছিলেন, বিভিন্ন মত ও কণ্ঠকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। চব্বিশের জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং হেফাজতে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। নুরের ভূমিকা একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য আমাদের জনগণের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তার সাহস ও আত্মত্যাগ চিরকাল আমাদের জাতির ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।
জনবিরোধী সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
বিবৃতে বলা হয়, এই সংকটকালীন সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় আহ্বান জানায়। আমাদের সংগ্রামের অর্জন রক্ষা করতে, জনবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রে আমাদের সফল উত্তরণ নিশ্চিত করতে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে, এমন নিশ্চয়তার কথা জানিয়েছে সরকার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে উল্লেখ হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একনিষ্ঠ অঙ্গীকার। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার জন্য সকল ষড়যন্ত্র, বাধা অথবা প্রচেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের গণতন্ত্রপ্রেমী দেশপ্রেমিক জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে। জনগণের ইচ্ছা জয়ী হবে, কোনো অশুভ শক্তিকে গণতন্ত্রের পথে আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দেওয়া হবে না।
সূত্র: বাসস
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ল হক ন র র জন য আম দ র ত করত
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশ যেতে কেন বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন মিলনের
ইমিগ্রেশনে বাধা পেয়ে বিদেশে যেতে না পেরে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার ব্যাখ্যা দাবি করেছেন বিএনপি নেতা এহছানুল হক মিলন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, “আমি সরকারের কাছে জানতে চাই, কেন আমাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হলো না?”
আরো পড়ুন:
একটি মহল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
গণভোট নিয়ে ‘ক্রসরোডে’ সরকার
খালেদা জিয়ার ২০০১ সালের সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বিভাগ তাকে আটকে দেয়। ফলে তিনি আর বিদেশে যেতে পারেননি। কী কারণে তাকে আটকে দেওয়া হল, এ বিষয়ে সরকারি কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
এর ব্যাখ্যা চেয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এহছানুল হক আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ১৫ বছর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিরোধীদলের নেতাদের বিভিন্ন সময় বিদেশে যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনাগুলো তুলে ধরেন।
বিদেশযাত্রায় বাধা পেয়ে ক্ষুব্ধ হলেও এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করছেন না এহছানুল হক। তার ধারণা, কোনো ‘ভুল’ তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটকানো হয়েছে।
এহছানুল হক বলেন, “এই সরকার মহান চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সরকারের কোনো সংস্থা বা বিভাগ কারও ভুল তথ্য বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। আমিসহ দেশের সব নাগরিকের সাংবিধানিক, নাগরিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
সাবেক এই সংসদ সদস্য জানান, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি সচেষ্ট আছেন এবং থাকবেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে সরকারকে সহযোগিতা করতেও তিনি প্রস্তুত।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ