‘শিবিরের সঙ্গে ছবি তুললেই তাকে শিবির বানিয়ে প্রচার করা আওয়ামী প্রজেক্ট’
Published: 2nd, September 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও ডাকসুতে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী এসএম ফরহাদ বলেছেন, “শিবিরের সঙ্গে কেউ কথা বললেই, ছবি তুললেই তাকে শিবির বানিয়ে প্রচার করাটা আওয়ামী প্রজেক্ট।”
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) শিবিরের জিএস পদপ্রার্থী এসএম ফরহাদের প্রার্থিতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা রিটকারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে ফেসবুকে ‘বিতর্কিত’ পোস্ট করা আলী হুসেনের একটি ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, তার মাথায় ‘জামায়াত ইসলামী’ লেখা ক্যাপ রয়েছে। এ নিয়ে রাত ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারে থাকবেন না মেঘমল্লার
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চলমান সংকট দ্রুত কেটে যাবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
তিনি বলেন, “আজ আমাদের ক্যাম্পেইনে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ছবি তুলেছে। তাহলে কি সবাই শিবির? শুধু ছবি তোলা মানেই শিবির হয়ে যাওয়া- এই ভ্রান্ত ধারণা ছড়ানো হচ্ছে। এটা ঠিক না। বরং যে অপরাধ করেছে, তার অপরাধে শিবির কোনো সহযোগিতা করেছে কি না, তার সঠিক তথ্য প্রমাণ নিয়ে আপনি অভিযোগ করেন। হলে যারা, তাদের আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো প্রোগ্রামের সঙ্গেই আলী হুসেনের সম্পৃক্ততা নেই। ছবির বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।”
জহুরুল হক হলের ওই শিক্ষার্থীর নারী শিক্ষার্থীর প্রতি বাজে ভাষায় ফেসবুক পোস্টের বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। অথচ বিএনপিপন্থি অ্যাক্টিভিস্ট ফাহাম আব্দুস সালাম অপরাধীকে শিবির নেতা বানিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। মাগরিবের পর থেকে সিন্ডিকেট পদ্ধতিতে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “যারা অপরাধীদের শিবির নেতা বানিয়ে ট্যাগিং করছে, তারা মূলত শিবিরের ওপর দায় চাপানোর রাজনীতি করছে। তাদের অন্তত ন্যূনতম আইকিউ থাকা উচিত। যে শিক্ষার্থী আমার প্রার্থিতার রিট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, সে যদি সত্যিই শিবির হত, তবে কালই দিত।”
ফরহাদ বলেন, “নারীর প্রতি শ্লাট-শেমিং এবং বাজে সংস্কৃতির বিরুদ্ধে শিবির লড়াই চালিয়ে যাবে। এটি সামাজিক সমস্যা, এর বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ সমন্বিত থাকবে।
এ শিবির নেতা জানান, সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রক্টরের বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। সেখানে তিনটি বিষয় উল্লেখ থাকবে। সেগুলো হলো- যে শিক্ষার্থী রিট করেছে, তাকে নিয়ে বাজে প্রতিক্রিয়া দেওয়া শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ; চারুকলায় ব্যানার ভাঙা ও নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বাজে মন্তব্যের অভিযোগ; সম্পাদক পদপ্রার্থী ফাতেমা তাসনীম জুমার বিরুদ্ধে চলমান শ্লাট-শেমিং ও হুমকি দেওয়া।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।
এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী