বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও ডাকসুতে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী এসএম ফরহাদ বলেছেন, “শিবিরের সঙ্গে কেউ কথা বললেই, ছবি তুললেই তাকে শিবির বানিয়ে প্রচার করাটা আওয়ামী প্রজেক্ট।”

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) শিবিরের জিএস পদপ্রার্থী এসএম ফরহাদের প্রার্থিতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা রিটকারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে ফেসবুকে ‘বিতর্কিত’ পোস্ট করা আলী হুসেনের একটি ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, তার মাথায় ‘জামায়াত ইসলামী’ লেখা ক্যাপ রয়েছে। এ নিয়ে রাত ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারে থাকবেন না মেঘমল্লার

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চলমান সংকট দ্রুত কেটে যাবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

তিনি বলেন, “আজ আমাদের ক্যাম্পেইনে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ছবি তুলেছে। তাহলে কি সবাই শিবির? শুধু ছবি তোলা মানেই শিবির হয়ে যাওয়া- এই ভ্রান্ত ধারণা ছড়ানো হচ্ছে। এটা ঠিক না। বরং যে অপরাধ করেছে, তার অপরাধে শিবির কোনো সহযোগিতা করেছে কি না, তার সঠিক তথ্য প্রমাণ নিয়ে আপনি অভিযোগ করেন। হলে যারা, তাদের আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো প্রোগ্রামের সঙ্গেই আলী হুসেনের সম্পৃক্ততা নেই। ছবির বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।”

জহুরুল হক হলের ওই শিক্ষার্থীর নারী শিক্ষার্থীর প্রতি বাজে ভাষায় ফেসবুক পোস্টের বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। অথচ বিএনপিপন্থি অ্যাক্টিভিস্ট ফাহাম আব্দুস সালাম অপরাধীকে শিবির নেতা বানিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। মাগরিবের পর থেকে সিন্ডিকেট পদ্ধতিতে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “যারা অপরাধীদের শিবির নেতা বানিয়ে ট্যাগিং করছে, তারা মূলত শিবিরের ওপর দায় চাপানোর রাজনীতি করছে। তাদের অন্তত ন্যূনতম আইকিউ থাকা উচিত। যে শিক্ষার্থী আমার প্রার্থিতার রিট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, সে যদি সত্যিই শিবির হত, তবে কালই দিত।”

ফরহাদ বলেন, “নারীর প্রতি শ্লাট-শেমিং এবং বাজে সংস্কৃতির বিরুদ্ধে শিবির লড়াই চালিয়ে যাবে। এটি সামাজিক সমস্যা, এর বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ সমন্বিত থাকবে।

এ শিবির নেতা জানান, সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রক্টরের বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। সেখানে তিনটি বিষয় উল্লেখ থাকবে। সেগুলো হলো- যে শিক্ষার্থী রিট করেছে, তাকে নিয়ে বাজে প্রতিক্রিয়া দেওয়া শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ; চারুকলায় ব্যানার ভাঙা ও নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বাজে মন্তব্যের অভিযোগ; সম্পাদক পদপ্রার্থী ফাতেমা তাসনীম জুমার বিরুদ্ধে চলমান শ্লাট-শেমিং ও হুমকি দেওয়া।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

টাঙ্গাইল সদরের মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আনিছুর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী লিলি বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বাড়ির পাশে ‘লিওন বেকারি’ নামে নিজ প্রতিষ্ঠানেই এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই এসএম আনিছুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুইজবাড়ী বাজারের কাছে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান উত্তমের বাড়ির পাশেই নিজেদের ‘লিওন বেকারি’ নামে বিস্কুটের ফ্যাক্টরি রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নামাজ শেষ করে উত্তম ফ্যাক্টরিতে যেতেন। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তমের ফ্যাক্টরিতে যেতে দেরি হওয়ায় তার স্ত্রী লিলি আক্তার সেখানে যান। সেসময় কয়েকজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিলিকে কোপাতে থাকে। সেসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লিলিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রেখেছে পুলিশ।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, “কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানা যায়নি। আমরা এ ঘটনায় শোকাহত। জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ বলেন, “মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়না তদন্ত শেষে দুপুরের মধ্যে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/কাওছার/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা