ধর্ষণের অভিযোগে অভিনেতা গ্রেপ্তার
Published: 4th, September 2025 GMT
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হিন্দি টিভি ধারাবাহিকের অভিনেতা আশীষ কাপুরকে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) পুনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। এনডিটিভি এ খবর প্রকাশ করেছে।
পুলিশ জানায়, ইনস্টাগ্রামে অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে পরিচয় আশীষ কাপুরের। এরপর বন্ধুর হাউজ পার্টিতে ওই নারীকে আমন্ত্রণ জানান আশীষ। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে এ পার্টির আয়োজন করা হয়, সেখানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ।
আরো পড়ুন:
‘আপনি যখন অতিরিক্ত কাজ করবেন, তখন জীবন মিস করবেন’
আমার কষ্ট আর যন্ত্রণা একাই সামলেছি: কারিশমা
মামলায় প্রাথমিকভাবে আশীষ কাপুর, তার বন্ধু, বন্ধুর স্ত্রী এবং দুই অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম ছিল। পরে, ওই নারী তার বক্তব্য পরিবর্তন করে শুধু আশীষ কাপুরকেই ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করেন।
ওই নারী অভিযোগ করেন, ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল, তবে পুলিশ এখনো এমন কোনো ফুটেজ উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনার পর আশীষ কাপুরের বন্ধুর স্ত্রী ওয়াশরুমের বাইরে ওই নারীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। তবে আশীষ কাপুরের বন্ধুর স্ত্রী পুলিশকে খবর দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ও সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আশীষ ও তার বন্ধু এবং বন্ধুর স্ত্রীকে বাথরুমে ঢুকতে দেখা যায়। অনেকক্ষণ তাদের না দেখতে পেয়ে সকলে যখন খোঁজাখুঁজি শুরু করে, তখনই বাথরুমে তাদের পাওয়া যায়। এরপর উপস্থিত সকলের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক জড়ান অভিনেতা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র বন ধ র স ত র ওই ন র র বন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে সে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত আটটার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়।
সেসময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রেমিকার আত্মীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় আগে করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/কেয়া/এস