নেত্রকোনায় নলকূপের পাইপে জ্বলছে আগুন
Published: 5th, September 2025 GMT
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের উত্তর পাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে নলকূপের পাইপ দিয়ে কয়েকদিন ধরে গ্যাস বের হচ্ছে। সেখানে অগ্নিসংযোগ করা হলে মুহূর্তেই জ্বলে ওঠে। ওই গ্যাস দিয়ে দুই দিন রান্নাও করা হয়েছে। তবে, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এখন আর রান্না করা হচ্ছে না।
সম্প্রতি উত্তর পাড়া গ্রামের কৃষক আবুল কাশেমের বাড়িতে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে কাশেম তার বাড়ির পাশে ২৬০ ফুট গভীর একটি নলকূপ বসান। কিছুদিন পর থেকেই নলকূপের পাইপ দিয়ে শোঁ শোঁ শব্দ বের হতে থাকে। এতে বিরক্ত হয়ে সম্প্রতি কাশেম নলকূপটি খুলে ফেলেন। এরপর পাইপ থেকে আরো তীব্র শব্দ বের হচ্ছে।
গত বুধবার দুপুরে কৌতূহলবশত দিয়াশলাই কাঠি দিয়ে অগ্নিসংযোগ করলে জ্বলে ওঠে সেই গ্যাস। এরপর দুই দিন সেই গ্যাস দিয়ে রান্না করা হয়।
কৃষক আবুল কাশেম বলেছেন, “নলকূপ বসানোর পর থেকেই অস্বাভাবিক আওয়াজ হতো। কয়েক দিন আগে আগুন ধরালে দেখি, শিখা জ্বলছে। তখন রান্নাও করেছি। কিন্তু, বড় দুর্ঘটনার ভয়ে আর ব্যবহার করছি না।”
সাবেক ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বলেছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এই গ্যাসে রান্না করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা।
কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অসতর্কভাবে ব্যবহার করলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেছেন, “মাটির নিচে পচনশীল কোনো কিছু থেকে এ ধরনের গ্যাস বের হতে পারে। সম্ভবত এটি বায়োগ্যাস। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।”
ঢাকা/ইবাদ/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বল ছ ন নলক প
এছাড়াও পড়ুন:
বোনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরেন, পুলিশ জিজ্ঞেস করলে জানান বস্তায় গম
ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে এক তরুণ তাঁর বোনকে খুন করে লাশ একটি বস্তায় ভরে রেখেছিলেন। ওই বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে ভেতরে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘এর মধ্যে গম আছে।’
উত্তর প্রদেশের ৩২ বছর বয়সী রাম আশিস নিষাদ তাঁর ১৯ বছর বয়সী বোন নীলমকে খুন করেন।
ওই এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। আশিসের বাবা চিংকু নিষাদ সেখানে সরকারের জমি অধিগ্রহণ বাবদ ছয় লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, ওই ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া অর্থের ভাগাভাগি নিয়েই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই রুপি বোনের বিয়েতে খরচ করা হবে জেনে রাম আশিস ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাম আশিস একটি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে বোন নীলমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর নীলমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙে ফেলে দেহটি একটি বস্তায় ভরেন। পরে বাইকের সঙ্গে বেঁধে তিনি গোরখপুর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কুশীনগরের একটি আখখেতে বস্তাটি ফেলে আসেন।
সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে অভিযুক্ত
সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে রাম আশিসকে একটি বস্তা নিয়ে যেতে দেখা যায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই বস্তার মধ্যে ছিল তাঁর বোনের লাশ। কুশীনগর যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে থামিয়ে বস্তায় কী আছে জানতে চেয়েছিল।
রাম আশিস পুলিশকে জানান, বস্তায় গম আছে। পরে আবার তিনি কুশীনগরের দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে যান। সেখানে তিনি আখখেতে নীলমের লাশ ফেলে দেন।
এরপর নীলমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর বাবা প্রথমে ধরে নেন, মেয়ে ছটপূজার জন্য কোথাও গেছে। তবে প্রতিবেশীরা যখন জানান, সোমবার রাম আশিস একটি বস্তা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তখন পরিবারের সন্দেহ হয় এবং ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ প্রথমে নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ও তদন্ত শুরু করে। গত মঙ্গলবার নীলমের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, রাম আশিসই নীলমকে খুন করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাম আশিস প্রথমে কিছু না জানার ভান করেন। তবে পুলিশের টানা জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পরে বোনকে খুনের কথা স্বীকার করেন। গত বুধবার রাতে আখখেত থেকে নীলমের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আগামী জানুয়ারি মাসেই নীলমের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছিল।
রাম আশিসের বাবা চিংকু অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই ছয় লাখ রুপি মেয়ের বিয়েতে খরচ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ কারণে রাম ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। কারণ, তিনি জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই রুপির ভাগ চেয়েছিলেন।