নড়াইলের নড়াগাতিতে মুন্নি খানম হত্যারহস্য উন্মোচন করে তার প্রেমিক সোহেল সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। 

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সোহেল সরদারকে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে নড়াগাতি থানার ডুমুরিয়া পশ্চিমপাড়ার সামাদ সরদারে ছেলে। ওইদিন নিহত মুন্নির মা বাদী হয়ে নড়াগাতি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন যশোরের পক্ষ থেকে এ সব তথ্য জানানো হয়। 

পিবিআই যশোর জানায়, নড়াগাতির শিমুল মিয়ার মেয়ে মুন্নির সঙ্গে খুলনা জেলার তেরখাদা থানার হৃদয় ফকিরের বিয়ে হয়। গত ২৯ আগস্ট মুন্নি বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওই দিনই সে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর পরিবারের লোকজন থানায় জিডি করে। পরে ২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ নলামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে মুন্নির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এরপর পুলিশ হত্যারহস্য উন্মোচনে তদন্তে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই যশোর জেলা পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন শুক্রবার (৫সেপ্টেম্বর) সকালে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছে মুন্নির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মুন্নি বাড়িতে এলে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রেমের টানে তারা নলামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে দেখা করে। এ সময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে সোহেল মুন্নিকে হত্যা করে ডোবায় কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেয়। 

ঢাকা/শরিফুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা