নিউ জিল্যান্ডের জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচ খেলার তিন বছর পার হওয়ার পর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন রস টেইলর। তবে এ বার তিনি নামছেন জন্মভূমি নয়, মাতৃভূমির প্রতিনিধিত্ব করতে। আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এশিয়া–ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক বাছাইপর্বে সামোয়ার হয়ে মাঠে নামবেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

টেইলর নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে লিখেছেন, “এটা এখন অফিসিয়াল। আমি নীল জার্সি গায়ে সামোয়ার প্রতিনিধিত্ব করব। এটা কেবল ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ নয়, বরং আমার শিকড়, সংস্কৃতি, গ্রাম আর পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করার এক বিশাল সম্মান।”

আরো পড়ুন:

ফের আলোচনায় বিসিবি নির্বাচন, গানম্যান চাইলেন সভাপতি

ইতিহাস গড়লেন ব্রিটজকে, ওয়ানডেতে রেকর্ডের পর রেকর্ড

৪১ বছর বয়সী টেইলরের মা সামোয়ার অধিবাসী হওয়ায় তার এই দলে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলার পর থেকে তিন বছরের সময়সীমা পূর্ণ হওয়ায় এখন তিনি দ্বিতীয় কোনো আন্তর্জাতিক দলের হয়ে খেলতে পারছেন।

নিউ জিল্যান্ডের হয়ে টেইলর খেলেছেন ৪৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। করেছেন ১৮ হাজার ১৯৯ রান (টেস্ট ৭ হাজার ৬৮৩, ওয়ানডে ৮ হাজার ৬০৭, টি-টোয়েন্টি ১ হাজার ৯০৯)। ২০২১ সালে নিউ জিল্যান্ডের ঐতিহাসিক ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলেও তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

টেইলর জানান, “হ্যাঁ, আমি ভীষণ উচ্ছ্বসিত। অনেকদিন ধরেই বিষয়টা ভাবছিলাম। অবশেষে দল ঘোষণা হলো। আর এখন আমি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে পারলাম। ভেবেছিলাম হয়তো কোচিং বা অন্য কোনো ভূমিকায় থাকব, খেলোয়াড় হিসেবে নয়। কিন্তু যখন সুযোগ এলো, আমি আর না বলিনি। আশা করি সামোয়ার হয়ে সেরাটা দিতে পারব।”

অবসরের পর নিয়মিত ক্রিকেট না খেললেও মাঝেমধ্যে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন তিনি। টেইলরের ভাষায়, “হ্যাঁ, আগের মতো আর ক্রিকেট খেলা হয়নি। তবে পুরোপুরি দূরে ছিলাম না। গত এক-দেড় মাস ধরে ট্রেনিং করছি, শরীর কেমন সাড়া দেয় দেখার জন্য। বয়স এখন ৪১, তাই আগের মতো ফুরফুরে নই। কিন্তু চেষ্টা করছি খেলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত হতে।”

আগামী ৮ অক্টোবর ওমানে নিজেদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অভিযান শুরু করবে সামোয়া। গ্রুপপর্বে তারা মুখোমুখি হবে ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সামোয়ার টি-টোয়েন্টি দল:
ক্যালেব জাসমাট (অধিনায়ক), রস টেইলর, ডেরিয়াস ভিসার, শন সোলিয়া, ড্যানিয়েল বার্গেস, ডগলাস ফিনাউ, স্যাম ফ্রেঞ্চ, কার্টিস হাইনাম-নাইবার্গ, বেন মাইলাটা, নোয়া মিড, সলোমন ন্যাশ, স্যামসন সোলা, ফেরেতি সুলুলোটো, সাওমানি তিয়াই ও ইলি তুগাগা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ইলর

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে

হঠাৎ মনে হতে পারে, কথাবার্তায় লোকটা এখন তো বেশ সাদামাটা। তা-ই কি?

মোটেও না। চেনা সেই ক্যারিশমা যে চলে যায়নি, সেটা বোঝা গেল ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উসাইন বোল্ট যখন সোজা বলে দিলেন, কেন তাঁর রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। মনে হবে, এই তো সেই বোল্ট। আবার একটু ধাক্কাও লাগবে পরের কথাগুলো শুনলে। একসময়ের সুপারম্যান এখন তাহলে এমন আটপৌরে জীবন কাটাচ্ছেন! যে জীবনে নাকি সিঁড়ি ভেঙে ওঠার সময় তাঁর দম ফুরিয়ে আসে! অথচ এই লোকটাই একসময় ১০০ মিটার দৌড়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে।

আরও পড়ুনআকাশছোঁয়ার অভিযানে ডুপ্লান্টিসের আবারও বিশ্ব রেকর্ড১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটা বোল্ট দিয়েছেন টোকিওতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে গেছেন সেখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২০১৭ সালে অবসরের পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসর দেখতে গেলেন আটবারের এই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। জাপানি দর্শকেরা অবশ্য তাঁকে দেখে ঠিকই উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তবে বোল্ট এখন বদলে গেছেন অনেকটাই। জ্যামাইকায় এখন তাঁর ঘরোয়া জীবনটা আলোয় থাকার সময়ের সেই জীবনের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।

অবসর নেওয়ার পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসরে এলেন বোল্ট। টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
  • ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে