বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণছুটিতে
Published: 7th, September 2025 GMT
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ, চাকরিচ্যুত ও বরখাস্তকৃতদের পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে গণছুটিতে গেছেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা গণছুটিতে যান।
সদর উপজেলার পোলঘাটে সমিতির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্ষ ও চেয়ার ফাঁকা। অনেকে অফিস প্রাঙ্গণে আছেন কিন্তু কক্ষে বসেননি। প্রতিদিনের মতো গ্রাহকরা বিলসহ বিভিন্ন সেবা নিতে এসেছেন। এতে সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎস্পর্শে শ্রমিকের মৃত্যু
গ্যাসের অভাবে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ
সেবা নিতে আসা গ্রাহক রুহুল আমিন বলেন, ‘‘সকালে এসেছিলাম বিল সংক্রান্ত কাজে। অফিসে কোনো লোকজন নেই। পরে ফিরে যাচ্ছি। আমার মতো অনেকে এসে ফিরে যাচ্ছে। আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।’’
এ বিষয়ে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শুশান্ত রায় মুঠোফোনে বলেন, ‘‘অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটির আবেদন দিয়ে চলে গেছেন।’’
অফিসে কাজ না করা ও গ্রাহকদের ভোগান্তি নিয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তারা ধারণা করছেন, গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড তাদের শাস্তির আওতায় আনতে পারে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে গণছুটি কর্মসূচির ঘোষণা করেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-দপ্তর সম্পাদক অঞ্জু রানী মালাকার। এর অংশ হিসেবে সারা দেশে তারা গণছুটি কর্মসূচি পালন করছেন।
চার দফা দাবি হলো-
১.
২. ২০২৫ সালের ১৭ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি হয়রানিমূলকভাবে চাকরিচ্যুত, বরখাস্ত করা ও সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত আদেশ বাতিল করে আগের কর্মস্থলে পদায়ন করতে হবে।
৩. জরুরি সেবায় নিয়োজিত লাইনক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিকালীন যোগদান করতে না পারা পাঁচজন লাইনক্রুকে আগের কর্মস্থলে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত বরখ স ত র কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা ও নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ করে ভোটারদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে দ্রুত গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবিগুলো উঠে আসে। বক্তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সংসদীয় আসনে নারী আসন বৃদ্ধি, যুব প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষের স্বার্থ রক্ষার সুপারিশ করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা সদরের উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে জেলা পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় একশনএইডের নেতৃত্বে সুশীল প্রকল্পের অধীনে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে। এ আয়োজনের প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।
বিএনপির ৩১ দফায় নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর মর্যাদার কথা বলা আছে উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বৈঠকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমাদের দল নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নে নারীদের জন্য সুযোগ রাখবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে চরাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু ও যুবসমাজের প্রতিনিধি আরও বাড়ানো হবে।’
‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে