জমিয়ত নেতা মুশতাকের খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে সড়কে ব্লকেড
Published: 7th, September 2025 GMT
সুনামগঞ্জে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর (৫২) নিহতের ঘটনার তদন্ত ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক ব্লকেড করা হয়েছে।
আজ রবিবার ( ৭ সেপ্টেম্বর ) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দিরাই রাস্তা মোড়ে এ ব্লকেড কর্মসূচি চলে। আড়াই ঘণ্টার ব্লকেডের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক ও দিরাই-মদনপুর সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
আরো পড়ুন:
অটোরিকশা ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় চালককে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
বগুড়ায় ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ারকে গলা কেটে হত্যা
ব্লকেড কর্মসূচিতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার বড় মোহা দারুল উলুম ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী যোগদান দেন। এছাড়া সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার শত শত মানুষও কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা সড়কের দুইপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে বেরিকেড করে রাখে।
সুনামগঞ্জে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর পুরাতন সুরমা নদী থেকে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ মাওলানা মুশতাক আহমদের লাশ উদ্ধার করে বলে জানান দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
মুশতাক আহমদ শান্তিগঞ্জ উপজেলার গাজীনগর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় বড় মোহা দারুল উলুম ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
মাওলানা মুশতাক আহমদ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সেজন্য তিনি স্থানীয়দের মধ্যে প্রচারও শুরু করেছিলেন।
ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালে ‘মুশতাক গাজীনগরী কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ ‘এক দফ এক দাবি, খুনিদের হোক ফাঁসি’ স্লোগান দেন।
জমিয়তে উলামায়ের নেতা মাওলানা হাম্মাদ আহমেদ গাজীনগরী বলেন, ‘‘মুশতাক গাজীনগরী সুপরিচিত আলেম ছিলেন। তাকে গুম করে হত্যার ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছে না। স্বেচ্ছায় জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। পুলিশ বার বার আশ্বাস দিলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করছে না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা প্রশাসনের আশ্বাসে এখন আর আস্থা রাখতে পারছি না। আগামীকাল সুর্যোদয়ের আগে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’’
জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘‘মুশতাক গাজীনগরীকে গুম করার পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। প্রশাসন খুনিদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। আসল সত্য হলো, খুনিদের ধরতে পুলিশ গড়িমসি করছে। খুনি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। তবুও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকায়। আমরা আগামীতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’’
ঢাকা/মনোয়ার/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য সড়ক পর বহন স ন মগঞ জ গ জ নগর উপজ ল র ক ড কর ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব