জাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম
Published: 7th, September 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ( জাকসু) নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিয়োগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেল।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য–২৪ এর পাদদেশে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
ছাত্র সংসদসহ ৯ দফা দাবিতে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি
ডাকসু নির্বাচন: বামপন্থি প্যানেলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
এ সময় ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “আমাদের ভোটার তালিকায় অনেক অসংগতি ছিল, এখনো অনেক অসংগতি রয়েছে। ৫৬ জন শিক্ষার্থীর নাম দুই হলের ভোটার তালিকায় এসেছে। জাল ভোটের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এই প্রশাসন।”
তিনি বলেন, “আচরণবিধিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্যরা নিয়মিত তাদের একটি দলের প্রার্থীদের প্রচারণা করে যাচ্ছে। আমরা একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো ধরনের সুরাহা পাইনি। আমাদের মনে হচ্ছে, এই নির্বাচন কমিশন আমাদের কাছ থেকে শুনতে চায়, আমরা নির্বাচন চাই না। তবে আমরা বলতে চাই, আমরা যেকোনো মূল্যে ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু চাই।”
তিনি আরো বলেন, “এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা চাই, নির্বাচন কমিশন সব ধরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে। যদি এই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন জাকসু নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থাকার কোন ভিত্তি নেই।”
গত ২৯ আগস্ট প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। সেদিন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থিতা প্রত্যাহার ফরম জমা নেয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়া চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আটদিন পর ছাত্র ইউনিয়ন সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। এ ধরনের ঘটনাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য
এছাড়াও পড়ুন:
মনোনয়নপত্র নিতে এসে স্লোগান, আচরণবিধি ভাঙলেন এক শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) মনোনয়নপত্র নিতে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তাঁর নাম সালমান রহমান। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে চাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।
নির্বাচনী আচরণবিধি–২ এর ক অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। প্রার্থী পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, সালমান রহমান ৮ থেকে ১০ জন সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে আসেন। মনোনয়নপত্র নেওয়ার পর চাকসু ভবনের ভেতরেই সালমানের নাম ধরে স্লোগান দেন সমর্থকেরা। স্লোগান দিতে দিতে চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে নামেন তাঁরা। এ সময় সালমান রহমান সবার মাঝখানেই ছিলেন। তাঁকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা যায়।
আচরণবিধি ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করে সালমান রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে লড়বেন। তাঁর সমর্থকেরা না বুঝে স্লোগান দিয়েছেন। এ ধরনের ভুল আর হবে না।
জানতে চাইলে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এসব বিষয় দেখভালের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ২৭ হাজার ৬৩৭ জন। গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র বিতরণ। আজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার শেষ দিন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়নপত্র বুধবার পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।