জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ( জাকসু) নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিয়োগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেল।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য–২৪ এর পাদদেশে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

ছাত্র সংসদসহ ৯ দফা দাবিতে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

ডাকসু নির্বাচন: বামপন্থি প্যানেলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

এ সময় ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “আমাদের ভোটার তালিকায় অনেক অসংগতি ছিল, এখনো অনেক অসংগতি রয়েছে। ৫৬ জন শিক্ষার্থীর নাম দুই হলের ভোটার তালিকায় এসেছে। জাল ভোটের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এই প্রশাসন।”

তিনি বলেন, “আচরণবিধিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্যরা নিয়মিত তাদের একটি দলের প্রার্থীদের প্রচারণা করে যাচ্ছে। আমরা একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো ধরনের সুরাহা পাইনি। আমাদের মনে হচ্ছে, এই নির্বাচন কমিশন আমাদের কাছ থেকে শুনতে চায়, আমরা নির্বাচন চাই না। তবে আমরা বলতে চাই, আমরা যেকোনো মূল্যে ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু চাই।”

তিনি আরো বলেন, “এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা চাই, নির্বাচন কমিশন সব ধরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে। যদি এই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন জাকসু নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থাকার কোন ভিত্তি নেই।”

গত ২৯ আগস্ট প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। সেদিন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থিতা প্রত্যাহার ফরম জমা নেয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়া চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আটদিন পর ছাত্র ইউনিয়ন সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। এ ধরনের ঘটনাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর তফসিল সোমবার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।

জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি  আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।” 

আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।” 

ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন,  “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”

ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর তফসিল সোমবার