৩৩ হাজার মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 8th, September 2025 GMT
এবার সারা দেশে প্রায় ৩৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
পূজা উদ্বোধনে কোন তারকা কত টাকা নেন?
কুবিতে সিদ্ধিদাতা গণেশের বন্দনা
বৈঠকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কোনো ধরনের উদ্যোগ প্রকাশ করেছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “এবার কোনো ধরনের উদ্বেগই তারা প্রকাশ করেনি। অন্যান্য বার তারা দু-একটি উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকেন। এবার তারা কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। তারা বলেছেন, গতবার শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে, এবার আরো শান্তিপূর্ণভাবে হবে।”
পূজায় নাশকতার কোনো তথ্যে আছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “যারা দুষ্কৃতকারী তারা সব জায়গায় দুষ্কর্ম করার চেষ্টা করে। এটা শুধু পূজা নয়, সব জায়গায় করার চেষ্টা করবে। এটা প্রতিহত করার দায়িত্ব হলো আমাদের, আপনাদের, আমাদের সবার। আমরা সবাই মিলে এটি প্রতিহত করবো।”
এবার মণ্ডপের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকা মহানগর এলাকায় মণ্ডপের সংখ্যা ২৫৫টি। দেশের মহানগরীতে ১২৭০টির মত। মণ্ডপের এই সংখ্যা আনুমানিক। সব তালিকা এখনো আমরা পাইনি, আবার কোথাও কোথাও লিস্ট আপডেট হবে।”
“তালিকার বাইরে কোনো মণ্ডপ করলে আমাদের জন্য অসুবিধা হয়ে যায়। আমরা তাদের (পূজা উদযাপন কমিটির নেতা) অনুরোধ করেছি, আপনারা যে যেখানে যেটাই করেন না কেন, আমাদের কাছে তালিকাটা আগে দিয়ে দেবেন। যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমরা ওই জায়গায় দিতে পারি।” সবাই যাতে সন্ধ্যা ৭টার আগে বিসর্জন শেষ করে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি জানান, “পূজা উপলক্ষে আশপাশের যে মেলা বসে এবার কোনো মেলা হবে না। তবে ছোটখাটো দুই একটা দোকান থাকতে পারে। কমিটির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওই দোকানগুলো স্থাপন করতে পারবে। নিরাপত্তায় আনসার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি থাকবে। সীমান্তের পূজা মণ্ডপগুলোতে বিজিবি মূল দায়িত্বে থাকবে। আর আনসার সব জায়গায় থাকবে। আনসারই থাকবে প্রায় সাড়ে তিন লাখ।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মিথ্যা প্রচার দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে: মির্জা ফখরুল
মিথ্যা প্রচার ও প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে দেশে এক ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “৭ নভেম্বর আমাদের কাছে এবং গোটা জাতির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন মানুষ অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে রয়েছে, তখন আবারো দেশের শত্রুরা মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে- এ অবস্থায় ৭ নভেম্বরের ঐক্যের চেতনা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক।”
তিনি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন এবং দ্রুতই দেশকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যান, যেখানে পূর্বে যেভাবে বাংলাদেশকে ‘বটমলেস বাস্কেট’ বলা হতো, সেখান থেকে তিনি দেশকে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্তে তুলে ধরেন। তার আমলেই শুরু হয় বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ- একটি ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনা।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, আজ তারই উত্তরসূরি তারেক রহমানও সুদূর প্রবাস থেকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে সংগ্রামের ধারাবাহিকতা গড়ে উঠেছিল, সেটিই আজ অব্যাহত রেখেছেন তারেক রহমান- জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন।”
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে
৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ওই দিন সকাল ৬টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হবে। ৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি'র উদ্যোগে ওই দিন বেলা ৩টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, সারা দেশে বিএনপির উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা