Risingbd:
2025-11-02@13:17:21 GMT

ডাকসুর ভিপি সাদিক ও জিএস ফরহাদ

Published: 10th, September 2025 GMT

ডাকসুর ভিপি সাদিক ও জিএস ফরহাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন শিবির-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সাদিক কায়েম। একই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বড় দূরত্ব গড়ে জিতেছেন এস এম ফরহাদ হোসেন। এই দুই শিবির নেতার পাশাপাশি সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদেও জয়ী হয়েছেন একই প্যানেল ও সংগঠনের মুহা.

মহিউদ্দিন খান। 

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেন ডাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলাপ শেষ করার ঘোষণা দিলেন কাদের

শিবিরের বেঈমানি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে: উমামা

ভিপি পদে ২২ নম্বর ব্যালটে সাদিক কায়েম ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২। ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ হোসেন পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪। 

শীর্ষ তিন পদে জয়ের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ঐতিহাসে এই প্রথমবার ডাকসুর নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেল ইসলামী ছাত্রশিবির। এর আগে কয়েকবার নির্বাচনে অংশ নিলেও কখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে পরেননি এই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্তির প্রকাশ ঘটিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ইসলামী ছাত্রশিবির। ব্যাপক সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর মধ্যেই ডাকুস নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হয় সংগঠনটি। নির্বাচন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আন্তরিক হওয়ায় ভোটমুখী হয় ডাকসু। শেষপর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ব্যাপক নিরাপত্তা বয়ল তৈরি করে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটা ভোটগ্রহণ হয়।

আটটি কেন্দ্রে আট শতাধিক ‍বুথে ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে রাত দেড়টার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও ছাত্রী মিলে মোট ১৮টি হল। একে একে ফলাফল ঘোষণা করা হয়, যা শেষ করতে সকাল হয়ে যায়। 

ভিপি পদে শিবিরের সাদিক পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮১০টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৯টি ভোট।

জিএস পদে শিবিরের ফরহাদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ছাত্রদলের তানভীর বারী হামিম, যিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩টি ভোট। 

 
তাতে ভিপি, জিএস ও এজিএসের সঙ্গে ডাকসুর ২৮টি পদে চূড়ান্ত ফলাফল জানানো হয়। অধিকাংশ পদে জয় পেয়েছে শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা। বেশিরভাগ হল সংসদেও জয় পেয়েছে শিবির-সমর্থিত প্যানেল।

এবার ৩৭তম ডাকসু নির্বাচন হলো। এতে ছাত্র-ছাত্রী মিলে মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। 

মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে ডাকসু নির্বাচন কমিশন জানায়, এবার ভোট পড়েছে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

ভোটের ফল ঘোষণা শুরু হওয়ার পর থেকে আলোচিত ভিপি প্রার্থীরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকেন। 

ভিপি পদে প্রার্থিতা করা ছাত্রদলের আবিদ ডাকসু নির্বাচন ‘প্রহসন’ ও ‘কারচুপির নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন। অবশ্য জিএস পদে লড়াই করা ছাত্রদলের হামিম শিক্ষার্থীদের রায়কে সম্মান জানানোর আহ্বান রাখেন। 

ভিপি পদে আলোচিত উমামা ফাতেমাও ভোটের ফল বর্জন করে ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিবিরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। শিবিরকে ‘বেঈমান’ আখ্যা দিয়ে পোস্ট করেন তিনি। 
জিএস পদে আলোচিত মুখ মেঘমল্লার বসু একাধিক পোস্ট করে নির্বাচনের সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, “ভোটের নামে প্ল্যানড ইঞ্জিনিয়ারিং চলতেসে। সবই খবর পাইতেসি। যে ধারা অব্যাহত আছে তাতে ডিটেইল রেজাল্ট দেখলে আপনারা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বুঝবেন।”

ভিপি পদে বেশ আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতা আবদুল কাদের। তিনি ফেসবুকে লেখেন, “ভিসি এবং প্রক্টরকে অভিনন্দন জানিয়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলাপ এখানেই শেষ করলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শুভকামনা, শিক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা। ঢাবি এবং দেশের মানুষের যেকোনো সংকটকালে আমি আছি, যেমনটা বিগত দিনে ছিলাম।”

কারচুপি ও বেঈমানির অভিযোগ সামনে এলেও ডাকসু নির্বাচনে কিছু অব‍্যবস্থাপনা থাকলেও বড় কোনো অসঙ্গতি ছিল না বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সংগঠনটি সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য বলা যায় না। 
 

ঢাকা/সৌরভ/ইভা/রাসেল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র ফরহ দ ফল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে প্রশাসন: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের বিধিমালা প্রণয়নে প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছে শাখা ছাত্রদল। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ অভিযোগ তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

ইডিএস মাস্টার্স ফেলোশিপ পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে  মাদকবিরোধী কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে: জবি উপাচার্য

লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত জকসু নীতিমালা প্রণয়ন করবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে, যা হতাশাজনক।”

তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা চাই এটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হোক—যাতে জকসু শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচনের মুক্ত মঞ্চে পরিণত হয়, কোনো দলীয় প্রভাবের শিকার না হয়।”

তিনি আরো বলেন, “জকসুর মেয়াদ ও দায়িত্বের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট ও বাস্তবসম্মত করা, সদস্যপদের যোগ্যতা সহজ করা এবং সংবিধানে শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের ক্ষমতা শুধু সহ-সভাপতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ সম্পাদক ও সহসাধারণ সম্পাদককেও যুক্ত করতে হবে।”

সংগঠনটি জকসুর কাঠামোতে নতুন ১০টি পদ সংযোজনের প্রস্তাব করেছে তারা। প্রস্তাবিত পদগুলো হলো— বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীবিষয়ক সম্পাদক, ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক (শুধু নারীদের জন্য), দক্ষতা উন্নয়ন (ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট) সম্পাদক, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক, মিডিয়া ও যোগাযোগ সম্পাদক, দফতর সম্পাদক, বিতর্ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, পরিবেশ সম্পাদক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পাদক এবং কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক।

এর আগে, ছাত্রদলের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং একটি সদস্য পদ জকসু বিধিমালায় সংযোজন করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা সবাই যোগ্য। তবে এখনো প্যানেল নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অধিক গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের নিয়েই প্যানেল প্রকাশ করা হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তা রাখা হয়নি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ থাকলেও জকসুতে তা নেই। এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্টদের বিচার না হওয়াটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।”

সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক, আহ্বায়ক সদস্যসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনসিপির জাতীয় ছাত্রশক্তির কমিটি ঘোষণা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জাহিদ–বাকের
  • জকসুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে প্রশাসন: ছাত্রদল