Risingbd:
2025-09-17@21:08:08 GMT

ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কী লাভ?

Published: 11th, September 2025 GMT

ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কী লাভ?

ভোরে ঘুম থেকে ওঠার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন— সকালে দিনটা ভালোভাবে শুরু করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন। ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করা। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার আরও অনেক উপকারিতা আছে। 

ব্যায়াম করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন
যদি আপনার কাছে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ হয়, কিন্তু সময় বের করতে সমস্যা হয়, তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা আপনার জন্য কাজ করতে পারে। সকালে প্রথমেই ব্যায়াম করলে শরীর সারাদিন ভালো বোধ করবেন। ব্যায়াম এন্ডোরফিন নিঃসরণ শুরু করে যা আপনার মেজাজ উন্নত করতে পারে। ব্যায়াম মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে। সকালের ব্যায়াম করলে সারাদিন মানসিক চাপ কম অনুভব করবেন, উদ্বেগ কম থাকবে এমনকি শক্তির মাত্রা বেশি অনুভব করবেন।

আরো পড়ুন:

ব্রেন ভালো রাখার কার্যকর উপায় জেনে নিন

অনলাইন ডেটিংয়ে ৬টি বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করুন

গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন
সকালে ঘুম থেকে উঠলে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হতে পারবেন। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। যার ফলে  বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ আপনাকে ছুঁতে পারবে না। 

ভালো ঘুম
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে হবে। চিকিৎসকেরা বলেন,  ‘একটানা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘন্টার বেশি ঘুম আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। একটানা ঘুমাতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এমনকি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা স্ট্রোকের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। 

সুস্থ ত্বক
ঘুমের ঘাটতি থাকলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। ফলে ব্রণ, সোরিয়াসিস, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, ত্বকের বার্ধক্য- দেখা দেয়। ভালো ঘুম আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্ন নেওয়ারও যথেষ্ট সময় পাবেন। 

সূত্র: হেলথ লাইন

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 

বিংশ শতাব্দীর আগে পৃথিবীর মানচিত্রে কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান নামের এই পাঁচটি দেশ ছিলো না।  মূলত ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই রাষ্ট্রগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। পরে চীনের সহায়তায় ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলগুলো বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল হিসেবে পুনরুত্থান হয়েছে। এখন প্রশ্ন  করা যেতে পারে, চীন কেন আবারও  এই অঞ্চলগুলোকে শক্তিশালী করে তুলছে?

ঐতিহাসিকভাবে মধ্য এশিয়া অঞ্চল সিল্করোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো। যা চীনকে মধ্যপ্রাচ্য এবং রোমান সভ্যতার সাথে যুক্ত করেছিলো।  বীজ গণিতের জনক আল খারিজমি, আবু সিনার মতো বিজ্ঞানীদের জন্ম হয়েছে এখানে। যাদের লেখা বই ইউরোপে শত শত বছর ধরে চিকিৎসা ও নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। চেঙ্গিস খানও এই অঞ্চলে তার সম্রাজ্যের নিদর্শন রেখে গেছেন। পাশাপাশি ঘোড়ার পিঠে আদিম যাযাবর জীবনের ঐতিহ্যও টিকে আছে এখানে। 

আরো পড়ুন:

রাশিয়ার ‍বিরুদ্ধে এবার রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ

রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা 

রাজনৈতিক প্রভাব ও সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করেছিলো রুশরা। উপনিবেশিক শাসন এমনভাবে চালু করেছিলো, যা অনেকটা ব্রিটিশ বা ফরাসি সম্রাজ্যের মতো দেখতে। 
রাজ্যগুলোকে শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নের ফলে বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এমনকি যাযাবর জাতিকে যুদ্ধ যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো। আর যাযাবর জাতিকে বসতি স্থাপনে বাধ্য করা হয়েছিলো। এরপর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ফলে কাজাখ জনগোষ্ঠীর চল্লিশ শতাংশ অর্থাৎ ২৫ শতাংশ মানুষ অনাহারে মারা যায়। এবং যাযাবর জনগোষ্ঠীর যে অর্থনীতি, তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ সোভিয়েত আমলে কাজাখ যাযাবররা যে পশুপালন করতো তার নব্বই শতাংশই মারা যায়। ফলে বাধ্য হয়ে কাজাখদের যাযাবর জীবনযাত্রা ছেড়ে দিতে হয়। বলতে গেলে সোভিয়েত আমলে কাজাখ সভ্যতা ও সংস্কৃতির বেদনাদায়ক পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। 

১৯৯১ সালে সোভিয়েন ইউনিয়নের পতন হয়, সৃষ্টি হয় এই পাঁচটি স্বাধীন দেশের। এই দেশগুলো স্বাধীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী বিশ্বে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের ব্যাপক সংগ্রাম করতে হয়। তবে বিগত কয়েক দশক ধরে মধ্য এশিয়ার যাযাবর জাতিগুলো নিজস্ব সীমানার মধ্যে এক অনন্য পরিচয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। যদিও তাদের ওপর বাইরের প্রভাবও রয়েছে। তুরস্ক এই অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি আরও বেশি জানান দিচ্ছে। সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত মিল আছে। এমনকি শিক্ষাগত কাঠামোতেও মিল রয়েছে। তুরস্ক মধ্য এশিয়ায় রাশিয়ার পণ্য রফতানির একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবেও বিবেচিত। 

জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় এক কোটি উইঘুর বাস করেন। যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। এদের নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া উইঘুর পরিচয় মুছে ফেলতে তাদের পুনঃশিক্ষা শিবিরে আটকে রাখার অভিযোগও আছে। যদিও চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। 

বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এর চীন মধ্য এশিয়ায় ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। এই অঞ্চলটিকে বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করতে চাইছে, যা অনেকটা সিল্করুটের মতোই। 

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় প্রাচীন সিল্ক রোড পুনরুজ্জীবিত করার একটি সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই রোড পুনরুজ্জীবিত হলে রাশিয়া আর চীনের প্রভাব বলয়ে থাকা এই অঞ্চলের ভূ রাজনৈতিক গুরুত্ব কতটা বাড়বে-সেটাও সময় বলে দেবে।  

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের কাজ কি শুধু ভাইভা নেওয়া
  • কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীতে বিদ্বেষ কেন
  • চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড: ট্রাম্প কি দাঙ্গা–ফ্যাসাদকেই নীতি হিসেবে নিয়েছেন