উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে জাকসুর ভোটগ্রহণ, দীর্ঘ লাইন ভোটারদের
Published: 11th, September 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (জাকসু) ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। ৩৩ বছর পর আয়োজন করা জাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় ভোট কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। ২১টি ভোটকেন্দ্রের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে।
আরো পড়ুন:
এলাকাবাসীর চোখে নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম যেমন
ডাকসুর ভিপি-জিএস দুজনই বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার ছাত্র
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য। ভোট দিতে ছাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
ভোট দিতে আসা ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাইফ বলেন, “ঈদ ঈদ লাগতেছে। উৎসব মুখর পরিবেশে সবাই একত্র হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছি। আমি আশাবাদী, ভালো নেতা উঠে আসবেন।”
তিনি বলেন, “আশা থাকবে, সৎ নেতা আসুক সৎ পন্থায়, কেউ অনৈতিকভাবে উঠে না আসুক। কারণ অনৈতিকভাবে যিনি আসবেন তিনি অসৎ হবেন।”
ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস বলেন, “ভোট দিতে এসে ভালো লাগতেছে। উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রার্থীরা কাছে আসছেন, গুরুত্ব দিচ্ছেন এটা বেশি ভালো লাগছে।”
ভোট প্রদান শেষে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে জিএস পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, “যতটা জটিলতা সবাই মনে করেছিল, ভোট প্রদান প্রক্রিয়া আসলে তত জটিল নয়। আপনারা সকলে ভোট দিতে আসুন। নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। স্বৈরাচারী শাসনামলে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের ভোটাধিকার হরণ করে রাখা হয়েছিল। স্বৈরাচারের পতনের পর যে অধিকারটি ফিরে পেয়েছি আমরা, সেই অধিকারটি আপনারা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসুন।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী:
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে রয়েছে বিজিবি ও আনসার সদস্যারা। ভোট কেন্দ্রসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
বহিরাগত প্রবেশ ঠেকাতে রাত থেকেই প্রবেশ গেটে বিশেষ পাহারা বসানো হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা স্পেশাল কার্ড দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারছেন। মোতায়েন করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ জন পুলিশ, বিশেষায়িত টিম, সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আরাফাত ইসলাম বলেছেন, “জাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে স্ব স্ব হলে ভোট গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো.
২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী:
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার জাকসুর ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনের মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে জাকসু কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা সবার।
২১টি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা
ভোট কেন্দ্রগেুলোর নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে প্রায় ৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এসব সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে কেন্দ্রের পরিবেশ নজরদারি করা হচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি টিম, প্রক্টরিয়াল বডি ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পুরো ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করছেন। জাকসুর জন্য তিন পৃষ্ঠার এবং দুটি হলের জন্য দুই পৃষ্ঠার এবং বাকি হলগুলোর জন্য এক পাতার ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে।
ভোটার:
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৮৪৩ জন। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৭২৮ জন ছাত্রী এবং ৬ হাজার ১১৫ জন ছাত্র। ছাত্রী ভোটার ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ, ছাত্র ভোটার ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ।
ছাত্র ভোটারদের মধ্যে আল বেরুনী হলে ২১০ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৯৯২ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ৩৯৮ জন এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রী ভোটারদের মধ্যে ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, ফজিলতুন্নেসা হলে ৭৯৮ জন, বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন ভোটার রয়েছেন।
৮টি প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা:
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট আটটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্যানেলগুলো হলো—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল, ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’, ছাত্র ইউনিয়ন অপর অংশের সমর্থিত ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের নেতৃত্বে গঠিত ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টোর প্যানেল। এর বাইরে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, সংবাদ সংগ্রহকারী ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীদের সামনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ব্যালট বাক্স দেখিয়ে সিলগালা করা হয়েছে।
ঢাকা/আহসান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘ ল ইন র পর ব শ সমর থ ত প রব শ র জন য ইসল ম সমন ব গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতা ভিন্ন
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিস্তর অভিযোগ ছিল বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন, বেআইনি আটকসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের। রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর শৃঙ্খলা ধ্বংস করে সেগুলোকে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডসহ গুম ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করেছে, সেটি নিশ্চিতভাবেই ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। কিন্তু এ সরকারের ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা, কারা হেফাজতে মৃত্যু, মব সহিংসতায় মৃত্যুসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোও সমানভাবে উদ্বেগজনক।
মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’–এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৪ মাসে ৪০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি—৯টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল; আর গত তিন মাসে ঘটেছে ১১টি। ৪০ জনের মধ্যে গুলিতে মারা গেছেন ১৯ জন, নির্যাতনে মারা গেছেন ১৪ জন, পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে। গত তিন মাসে যে ১১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন; সেখানে পুলিশ, যৌথ বাহিনী ও সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) অক্টোবর মাসের যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বর মাসে কারা হেফাজতে যেখানে ৮ জন মারা যান, এক মাস পর সেখানে ১৩ জন মারা গেছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যা ও কারা হেফাজতে মৃত্যুর এই তথ্য যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইঙ্গিত দেয়, একই সঙ্গে জনমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি করে। মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতি আর মাঠের বাস্তবতার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক, সেই চিত্রই পরিষ্কার করে তুলে ধরে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে মব সহিংসতা ও রাজনৈতিক সহিংসতায় মৃত্যুর পরিসংখ্যানও দিয়েছে অধিকার। এ সময়ে মব সহিংসতায় ১৫৩ জন এবং রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৮১ জন নিহত হয়েছেন। এমএসএফ জানাচ্ছে, সেপ্টেম্বর মাসে ৫২টি ও অক্টোবর মাসে ৬৬টি অজ্ঞাতপরিচয় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো পরিসংখ্যানই স্বস্তিদায়ক নয়। এই চিত্র সরকারের দুর্বলতা ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার ভঙ্গুরতারই প্রতিচ্ছবি। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে ও ভারত থেকে পুশ ইন ঠেকাতে জোরালো কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতেও সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোকে রাজনৈতিক চর্চার বাইরে গিয়ে দেখার অবকাশ নেই। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেখা খোলাচিঠিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক ছয়টি মানবাধিকার সংগঠন, ছয়টি নির্বিচার গ্রেপ্তার বন্ধ এবং গ্রহণযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার ও খারিজের আহ্বান জানিয়েছে।
বিচারবহির্ভূত হত্যা, কারা হেফাজতে মৃত্যুর মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের লাগাম টানতে হলে অবশ্যই সবার আগে বাহিনীগুলোর ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কারের প্রশ্নটি সে কারণেই সবচেয়ে জরুরি কর্তব্য। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর তাদের সুপারিশে র্যাব বিলুপ্তি এবং বিজিবিকে সীমান্ত রক্ষা ও ডিজিএফআইকে সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিল। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশের পোশাক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া বাস্তবে কোনো সংস্কার করতে পারেনি। ফলে নির্বাচন–পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের আমলেও বাহিনীগুলোকে রাজনৈতিক ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাচ্ছে।
শুধু প্রতিশ্রুতি আর কথায় নয়, বাস্তবেও মানবাধিকার রক্ষায় সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যা, কারা হেফাজতে মৃত্যুর অবসান হতে হবে।