‘আমি শিখেছি, শিল্প আসে সহজ জিনিস থেকে’
Published: 30th, September 2025 GMT
ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধরা দেয় গভীর নদীর টান
ভ্রম
শর্পবিষে নীল এই ভূমিশয্যা
কুঠারসময় চিরে নিচ্ছে আলো, মায়া, দান-প্রতিদান।
ওই দিকে জীবিতরা হারিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্যহীন...
যতই বলি না কেন ‘ফিরে এসো’,
ধরা দেয় গভীর নদীর টান, নিশ্চুপ সময়
আরও কিছু মৃতের গন্ধ।
অথচ কথা ছিল
তুমি নেবে পূর্ণিমার চাঁদ, আমি আষাঢ়ের জল।
কিম্ভূত রসায়ন...
গন্তব্যমুখী মানুষ উঠে পড়ছে
ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বাসস্টপেজ
স্বামীর কাঁধে সহধর্মিণী
প্রেমিকের বাহুতে জড়ানো প্রিয়তমা
সত্য এই, আমি পারিনি,
নকল আত্মায় জমেনি প্লেটোনিক প্রেম,
শুধু অদ্ভুত রসায়নে ঘন হয় কাঁথা–বালিশ।
প্রেমার্ত পুতুল, স্বপ্নপ্রতিমা—চুকিয়ে নাও ধুলোমাটির সংসার
অপরাধামে উঠে পড়ছে মানুষ!
ঋষিপ্রতিম কালপুরুষ গগনে চন্দ্রচূড়
তুমি কী আমাকে অভিশাপ দিচ্ছ?
আমি এক জন্মশরণার্থী
চিনেছি শুধুই পুনর্বাসন,
তুমি তাকে অমরত্ব দিয়েছ—
ঐতিহাসিক বন্দনা।
আজ যেন ক্লাসরুমগুলো
বড় বেশি ফাঁকা লাগে,
ভোরের শানানো ব্লেডে কাটে দিন
একে অপরের কাঁধে রাখি শ্বাস;
এখন শরণার্থীর বোবাযুদ্ধ নৃত্য করে
পায়ে তার নূপুরের শিকল,
ছায়া ক্রমশ হ্রস্ব হচ্ছে কি?
জ্যান্ত আকাশ ছোঁয় পুনর্জন্মের
চরণ ও পঙ্ক্তি।
কলিং বেল...
দরজাটা হাট করা ছিল
দু-একটি আঙুল, নড়ে ওঠে ভ্রুযুগল;
চোখের কোনো ইশারা নেই,
দূর-কণ্ঠে বিষম–কথা:
খয়েরি দানার ভোরে শূন্য বোধিমূলে
গেঁথে আছে বাঁশি।
তার করুণ সুরে বেড়ে ওঠে একাকী বেলা!
ছুঁয়ে যাই মেঘমর্ম, কাঁটার সুড়ঙ্গ বেয়ে
নেমে আসে বিধ্বস্ত সময়—
আমাদের ঘোরলাগা মুখ!
দূরে সাইকেলের টিউব ফাটার শব্দ
সত্তা গমনের এ-ও এক নিগূঢ় খেলা।
একটি মন্মথ গান...
ঝরে পড়ছে স্বরলিপি।
কুচি কুচি সকালের সোনা রোদ
ঝলসে যাওয়া পাখির ডানা বয়ে আনে
শোক আর শ্রদ্ধার পদাবলি।
ওই গড়িয়ে যাচ্ছে দেখো
পলাতক মানুষের চরণ ও মুণ্ডু!