‘আমি আমার মেয়েদের সঙ্গে আরো বেশি দিন বাঁচতে চাই’
Published: 3rd, October 2025 GMT
ছোট পর্দার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। ব্যক্তিগত জীবনে ভীষণ উড়াই-উতরাই দেখেছেন। সবকিছু পেছনে ফেলে পাড়ি জমিয়েছেন কানাডায়। কন্যা ওয়ারিশাকে নিয়ে সেখানে এখন বসবাস করছেন তিন্নি। দূর দেশ থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব এই অভিনেত্রী। নিজের ভাবনা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে এ মাধ্যমকে বেছে নেন এই তারকা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকালে তিন্নি তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, কন্যার গালে চুমু খাচ্ছেন তিন্নি। এ ছবির ক্যাপশনে এই অভিনেত্রী লেখেন, “আমি কখনো ডাক্তার দেখাইনি এই ভেবে যে, সম্ভবত আমার কোনো বড় অসুখ হইছে। কিন্তু এবার আমি নিজেই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছি। কারণ আমি জানতে চাই—আমি সুস্থ আছি না কি নাই।”
আরো পড়ুন:
আপনার অনুপস্থিতি এখনো অবিশ্বাস্য মনে হয়: শাকিব খান
ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে ছিল বাংলার মাটি ও সংস্কৃতির স্পন্দন: শাকিব
পরের ঘটনা বর্ণনা করে তিন্নি লেখেন, “আমি আজ ডাক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি চমৎকার একজন মানুষ। আমাকে অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছেন এবং সেগুলো করিয়েছি। আমার টেস্টের রিপোর্ট যাতে ভালো আসে, এজন্য আমি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। দয়া করে…। আমি আমার মেয়েদের সঙ্গে আরো বেশি দিন বাঁচতে চাই। আমি এতটুকুই চাইলাম তোমাদের থেকে।”
জীবন নিয়ে উপলদ্ধির কথা জানিয়ে তিন্নি লেখেন, ‘মানবজনম বড়ই মধুর, যদি হও মানুষ’—এটা কারো কথা বা কোট না, এটা আমার কথা…। আর আমার দাদুর কথা হলো, ‘মানুষ আপন, টাকা পর, যত পারিস মানুষ ধর।’ শুভ হোক মানব জন্মের।”
২০০৬ সালে অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলকে বিয়ে করেন তিন্নি। এ সংসারে জন্ম নেয় কন্যা ওয়ারিশা। ২০১২ সালে বিচ্ছেদ হয় এই দম্পতির। এরপর হিল্লোল বিয়ে করেন নওশীনকে। ২০১৪ সালে আদনান হুদা সাদকে বিয়ে করেন তিন্নি। এ সংসারে আরিশা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে তিন্নির এ সংসারও ভেঙে যায়।
২০০২ সালে আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় পঞ্চম রানার আপ নির্বাচিত হন তিন্নি। তারপর মডেলিংয়ের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
২০০৪ সালে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী নির্মিত ধারাবাহিক ‘৬৯’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর অসংখ্য জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক দর্শকদের উপহার দেন এই অভিনেত্রী। ‘ডুবসাঁতার’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিন্নি।
কেবল তাই নয়, একসময় শাকিব খানের সঙ্গে মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমায়ও অভিনয় করেন তিন্নি। ২০১২ সালে মুক্তি পায় ‘সে আমার মন কেড়েছে’ শিরোনামের সিনেমাটি। মুক্তির পর তিন্নিকে ঢালিউড গ্রহণও করেছিল। তাকে নিয়ে বেশ আলোচনাও তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকজন পরিচালক তিন্নিকে নিয়ে কাজের পরিকল্পনাও করেন। কিন্তু ওই সময়ই হিল্লোলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ফলে অনিয়ন্ত্রিত জীবনের ফাঁদে পড়েন; আর জনপ্রিয়তার মধ্যগগন থেকে ছিটকে পড়েন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র কর ন ত ন ন আম র ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারকের ছেলে হত্যা: লিমন ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করে তার ছেলেকে হত্যা এবং স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি লিমন মিয়ার (৩৪) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন:
আশরাফুলের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন কোহিনূর: র্যাব
রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তিনি আরো জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাধীন লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর থেকে তাকে আদালতের হাজতে রাখা হয়। দুপুর ২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত থেকে তাকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার ঘটনার ব্যাপারে লিমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় আকস্মিক প্রবেশ করেন গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া। এরপর তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৫) ছুরিকাঘাতে ও শ্বাসরোধে খুন করেন। লিমন মিয়ার ছুরিকাঘাতে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসি (৪৪) আহত হন। এ সময় ধ্বস্তাধ্বস্তিতে হামলাকারী লিমন মিয়াও আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিজে বাদী হয়ে লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। আসামি এ হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/বকুল