কুরিয়ারে আসা ১৫ হাজার ইয়াবা জব্দ, দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 17th, October 2025 GMT
ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের পাশাপাশি দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। শুক্রবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন হোসেন আলী (৪১) ও শামীম আহম্মেদ (৩৪)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুজন একটি সংঘবদ্ধ মাদক কারবারি দলের সদস্য। তাঁরা ‘জননী কুরিয়ার সার্ভিসের’ মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে একটি মাদকের চালান ঢাকায় নিয়ে আসেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদকের এই চালান জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
ঢাকা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উর্মি দে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজন পেশাদার মাদক কারবারি। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে মাদক এনে ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় সরবরাহ করছিলেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় তাঁরা এভাবে মাদকের চালান নিয়ে এসেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা উর্মি দে বলেন, এই চক্রের ঢাকা ও কক্সবাজারে সক্রিয় সদস্যদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র দ জন
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা
সচিবালয়ে কাজের পরিবেশের উন্নতি ও ‘সচিবালয় ভাতা’ চালুর দাবিতে দিনভর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে প্রায় ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে দপ্তর ছেড়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের সহায়তায় তিনি সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবন থেকে বের হন।
আরো পড়ুন:
৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও
প্রশাসনের ২২ কর্মকর্তার পদোন্নতি
দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরা দলবদ্ধ হয়ে অর্থ উপদেষ্টার কক্ষের সামনে জড়ো হন এবং ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতা ঘোষণার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে ভবনটির ভেতর ও বাইরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট আন্দোলনকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি এবং শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগান দেখা যায়। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হলে উপদেষ্টার নিরাপত্তায় চতুর্থ তলায় গিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সচিবালয়ের কর্মীদের বহুদিনের দাবি ‘সচিবালয় ভাতা’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জারি করা হবে। বিকেল ৩টার মধ্যে গেজেট প্রকাশের আশ্বাস পেয়ে কর্মচারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
আন্দোলনকারী এক কর্মচারী বলেন, “আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করি, দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করি, কিন্তু কোনো ওভারটাইম সুবিধা নেই। তাই সচিবালয় ভাতার দাবি ন্যায়সঙ্গত।”
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি বাদিউল কবির বলেন, “দুদক পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে জিও জারি করতে পারে, সেখানে সচিবালয়ের ভাতা ঘোষণা নিয়ে এত জটিলতা কেন? আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নড়বনা।”
তিনি আরো জানান, সচিবালয় কর্মীরা প্রতিদিন জাতীয় প্রেসক্লাব–সচিবালয় এলাকাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সমাবেশ, মিছিল ও নিরাপত্তাজনিত চাপের মধ্যে কাজ করেন, যা অন্য দপ্তরের তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও শ্রমসাপেক্ষ। এ কারণে এই ভাতা চালু করা জরুরি ও যুক্তিসঙ্গত।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে ইতোমধ্যেই টিপ টপ ভাতা ও অতিরিক্ত কাজের আর্থিক সুবিধা চালু রয়েছে।তাই প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে সচিবালয়ে কর্মরতদের জন্যও একই ধরনের ভাতা ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই আসছিল।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ