ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের জটিল সমস্যা চারকোট আর্থ্রোপ্যাথি কেন হয়, চিকিৎসা কী
Published: 4th, December 2025 GMT
কেন হয়, লক্ষণ কী
দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু বিকল হওয়ার কারণে এটা হয়। ব্যথা কম অনুভূত হওয়ায় ছোট ছোট আঘাত টের না পেয়ে হতে পারে। আর হাঁটাচলায়
হাড়ে বাড়তি চাপ পড়ার কারণে ক্ষুদ্র হাড়ের অংশে ধীরে ধীরে ভাঙন হয়। এ ছাড়া অ্যালকোহলিক নিউরোপ্যাথি, কুষ্ঠরোগ, সিফিলিস, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির মতো কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে।
প্রথম দিকে পা গরম, লাল ও ফুলে যায়। এ ধরনের সমস্যায় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে ব্যথা প্রায় থাকে না। পা ঢিলে মনে হয় বা অনুভূতিশূন্য মনে হয়। পরে ধীরে ধীরে হাড় ভেঙে বিকৃতি দেখা দেয়। একে বলে রকার বটম ডিফরমিটি। পায়ের তলায় ক্যালাস বা ঘা থাকতে পারে। হাঁটাচলায় সমস্যা হতে থাকে।
আরও পড়ুনবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল, ধূমপান ছাড়লে প্রথম দিন থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত শরীরে কী কী ঘটে১ ঘণ্টা আগেরোগনির্ণয় ও চিকিৎসাপায়ের এক্স-রে বা এমআরআই করে রোগ নির্ণয় করা হয়। আক্রান্ত পায়ের তাপমাত্রা অপর পায়ের তুলনায় বেশি থাকে। রক্ত পরীক্ষায় সচরাচর সংক্রমণের মতো উচ্চ মার্কার থাকে না।
এ সমস্যার চিকিৎসার কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় টোটাল করটাক্ট কাস্ট ব্যবহার করা, যাতে আক্রান্ত পাটির কোনো ওজন না নিতে হয়। ওজন না নিয়ে চলাফেরার জন্য ক্রাচ বা হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হবে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্যথা থাকলে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হবে। ঘা থাকলে তার চিকিৎসা প্রয়োজন। পরবর্তী পর্যায়ের চিকিৎসায় বিশেষ ধরনের জুতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজনও হতে পারে।
আরেকটি হলো ফিজিক্যাল মেডিসিন ও পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনা। এ ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে কোনোভাবেই ওজন না নিতে হয় তেমন ব্যবস্থা করা, যাকে নন–ওয়েট বিয়ারিং বলা হয়ে থাকে। ক্রাচ/ওয়াকার ব্যবহার শেখানো হয়। পা উঁচু করে বিশ্রাম নেওয়া।
অ্যাংকেল আইসোমেট্রিক, হিপ নি স্ট্রেংথ, কোর এক্সারসাইজের মতো ব্যায়াম করতে হবে। খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। পরবর্তী পর্যায়ে ধীরে ধীরে ওজন নিতে হবে। হাঁটার প্রশিক্ষণ, পায়ের শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম, ভারসাম্য রক্ষার প্রশিক্ষণ ও প্রতিদিন পায়ের তলা পর্যবেক্ষণ করার মতো কাজগুলো করতে হবে।
আরও পড়ুননিজের ভালোর জন্য নিজেকে যে ৭টি প্রশ্ন করতেই হবে৫ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন জীবনে করণীয়সহায়ক জুতা ব্যবহার করতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীরা খালি পায়ে কখনো হাঁটবেন না। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এড়িয়ে চলতে হবে। সিঁড়ি যতটা পারা যায় কম ব্যবহার করবেন। ভারী জিনিস তোলা যাবে না।
রান্না/কাপড় ধোয়ার কাজ বসে করতে হবে। প্রতিদিন আয়নায় পায়ের তলা পর্যবেক্ষণ করুন। সঠিক পুনর্বাসনের জন্য ফিজিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
ডা.
সাকিব আল নাহিয়ান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর পর য য় ওজন ন সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত: মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্তি। একভাগ ৭২-এর বাকশালপন্থি, আরেকভাগ ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থি শক্তি।’’
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগরীর ঐতিহাসিক বাবরী চত্বরে (শিববাড়ী মোড়) জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, ‘‘রক্তের সাগর পেরিয়ে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে যেই ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করা হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ আর বাংলার মাটিতে আসবে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি কার্যকরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। এই সনদের চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। সব একসঙ্গে তালগোল পাকিয়ে এই মাহাত্ম্যকে নষ্ট করবেন না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক।’’
খুলনায় আট দলের বিভাগীয় সমাবেশ মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীরসাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম।
এর আগে, দুপুর ১২টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব