রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকট ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
Published: 3rd, December 2025 GMT
একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কিংবা মৌলিক বদলের পেছনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। নেতৃত্ব হতে হবে এমন, যা দলকে ছাপিয়ে দেশের স্বার্থ বাস্তবায়নের অগ্রাধিকার নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা সেই রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছি, যা বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে ক্যারিশম্যাটিক গুণাবলির যে ধারণা বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক ম্যাক্স ওয়েবার তুলে ধরেছেন, সেটি বিশ্লেষণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েবার বলেন, যেকোনো একটি সংকট–পরবর্তী সময়ে ক্যারিশম্যাটিক চারিত্রিক গুণাবলি নিয়ে যিনি রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসবেন, তিনি দেশের মানুষের আস্থা এবং জনপ্রিয়তা অর্জনে অধিক কার্যকর হবেন।
বাংলাদেশের সংকটের সময়ে নেতৃত্ব নিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার সুযোগ বেশ কয়েকবারই রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে এলেও তার সঠিক প্রতিদান তাঁরা দিতে পারেননি। জুলাই–পরবর্তী সময়কে আমরা সাম্প্রতিক সময়ের এক বড় উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারি।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনার রাজনীতি কেন এতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিল২৫ নভেম্বর ২০২৫ইতিহাসের দিকে তাকালে ’৭৫–পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের আবির্ভাব হতে দেখি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে। বিশেষ করে দেশ পুনর্গঠন এবং দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে একটি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সব জনগোষ্ঠীকে একটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষার পতাকাতলে নিয়ে এসে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তিনি দেশের মানুষকে দেখাতে পেরেছিলেন।
ওয়েবেরিয়ান ধারণা অনুযায়ী, ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার পেছনে যেসব গুণ থাকা প্রয়োজন, তার অনেকটাই জিয়াউর রহমানের মধ্যে দৃশ্যমান। যেমন সততার ভিত্তিতে গড়ে তোলা নির্মোহ জীবন, ব্যক্তিক জীবনে নিয়মানুবর্তিতা এবং রাজনৈতিক আদর্শ ও দেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বাগ্রে রেখে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা ইত্যাদি।
আরও পড়ুনবিবিসির সাক্ষাৎকারে ‘নতুন’ তারেক রহমান০৭ অক্টোবর ২০২৫জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সাহসিকতা এবং জেমস বার্নসের রূপান্তরমূলক নেতৃত্বের ধারণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, যা জিয়াউর রহমানকে একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেও তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয় আমাদের দেশ।
যেকোনো সময়েই ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের উপযোগিতা অনস্বীকার্য; কিন্তু সংকটের সময়ে এ ধরনের নেতৃত্ব আমাদের দেশের জন্য অধিক জরুরি, যা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে।
আরও পড়ুনহাসিনার সাজার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী২১ নভেম্বর ২০২৫আমরা ভেবেছিলাম যে বাংলাদেশ হয়তো শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেই নেতৃত্ব অর্গানিকভাবে গড়ে উঠবে, যার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ যখন একটি ক্রান্তিকাল পার করছে, আমাদের সেই প্রত্যাশা এখনো অধরাই রয়ে গেছে।
যদিও আমরা জানি যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নেতৃত্ব কিংবা নতুন রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা পাওয়া এবং রাষ্ট্রকাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা খুব সহজ নয়। সেটি তখনই সম্ভব, যখন কোনো নেতার মধ্যে আমরা সেই ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের উত্থান কিংবা দূরদর্শী চিন্তার সমন্বয় দেখি। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, জুলাই–পরবর্তী সময়ে তেমন নেতার আবির্ভাব আমরা দেখতে পাইনি। তাই হয়তো নতুন রাজনৈতিক দলগুলো জনতার আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জনে পিছিয়ে আছে।
আমরা যদি জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতার দিকে তাকাই, তাহলে বড় দল হিসেবে বিএনপির কথা বলতে পারি। একটা সময় আওয়ামী লীগের কেমন দাপট ছিল, তা আমরা জানি।
আরও পড়ুনসব দোষ এনসিপির, সব ভুল তরুণদের...?২৮ অক্টোবর ২০২৫বিএনপির রয়েছে জিয়াউর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের ঐতিহ্য এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মতো দুই প্রজন্মের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা। বিএনপির সামনে গণপরিসরে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং হলেও অসম্ভব কাজ নয়। সে জন্য প্রয়োজন ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব।
তবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল হলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যে একেবারে হারিয়ে গেল, সেই উপসংহারে পৌঁছানোর সময় বোধকরি এখনো আসেনি।
এ দুটি দলের বাইরে তাৎপর্যপূর্ণ নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থান আমরা এখনো দেখতে পাইনি। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে এনসিপি একটি প্রত্যাশা তৈরি করলেও, জনপ্রিয়তা এবং ভোটের রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপির ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা আগামী জাতীয় নির্বাচনই বলে দেবে।
ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের উত্থান না হলে বাংলাদেশের প্রথাগত রাজনৈতিক ঐতিহ্য ভাঙা যে একটি কঠিন বিষয় হবে, তা বলাই বাহুল্য। আমরা অতীতে দেখেছি, নানাবিধ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে কী করে নির্বাচনের আগের দিন ভোটের সব হিসাব উল্টে যায়।
এ ছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবারভিত্তিক রাজনীতির যে ঐতিহ্য আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছে, এখনো তাকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় জনগণ ভোট দিয়ে থাকেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠী তাদের সেই পরিবারের বা তার পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে নিজেদের একধরনের কল্পিত এবং বর্ধিত জ্ঞাতি সম্পর্কের ভিত্তিতে যুক্ত করে দেখে। ফলে ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বকে এই ঐতিহ্য মেনে নিয়েই বেড়ে উঠতে হবে।
কাঠখোট্টা তত্ত্বীয় কাঠামোর ভেতরে দাঁড়ানো নতুন দলগুলো মূলত শহরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির তরুণদের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পেরেছে, যা একই সঙ্গে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি করে দেয়। তাদের মধ্যে তাত্ত্বিক আলাপ–আলোচনার প্রভাব বেশি থাকে, যেখানে নানা ধরনের জার্গন ব্যবহারের প্রবণতা লক্ষণীয়, যা আদতে দেশের নিম্নবিত্ত কিংবা গ্রামের মানুষের মধ্যে আবেদন তৈরি করতে খুব একটা সহায়ক নয়। ফলে তাদের জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়, যা গণপরিসরে জনপ্রিয়তা তৈরি করতে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুননির্বাচনী কৌশলই নির্ধারণ করবে এনসিপির ভবিষ্যৎ০৪ আগস্ট ২০২৫অপর দিকে বিএনপির রয়েছে জিয়াউর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের ঐতিহ্য এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মতো দুই প্রজন্মের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা। বিএনপির সামনে গণপরিসরে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং হলেও অসম্ভব কাজ নয়। সে জন্য প্রয়োজন ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব।
বুলবুল সিদ্দিকী অধ্যাপক, রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
*মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক ন ত ত ব র জন ত ক দল উর রহম ন র জনপ র য ত রহম ন র ম র র জন ত ব এনপ র পরবর ত এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত খুলনা: ১৬ মাসে ট্রিপল-ডাবলসহ ৪৮ খুন
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গত ১৬ মাসে খুলনায় ট্রিপল ও ডাবলসহ ৪৮টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ, মাদক ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে ২০টি। চলতি নভেম্বর মাসেই সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (৩০ নভেম্বর) খুলনার আদালত পাড়ায় প্রকাশ্যে দুইজনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইদিন রাতে নগরীর জিন্নাপাড়া এলাকায় আরো এক যুবককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
একের পর এক হত্যাকাণ্ডে ভয় আর আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা। দিন-দুপুরে আদালত এলাকার মতো জনবহুল জায়গায় হত্যাকাণ্ড স্থানীয় বাসিন্দাদের আরো উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
আরো পড়ুন:
আলোচিত রায়হান হত্যার রায় ৭ জানুয়ারি
খলাপাড়ার গণহত্যা দিবস: স্বাধীনতার প্রান্তে শহীদ হন ১০৬ জন
পুলিশের তথ্য বলছে, গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারের কালভার্ট এলাকায় বাড়ির মধ্যে নানি মহিতুন্নেসা (৫৫), তার নাতি মুস্তাকিম (৮) এবং নাতনি ফাতিহাকে (৬) হত্যা করা হয়। ওই রাতেই করিমনগরে নিজ বাড়ির ভেতর আলাউদ্দিন মৃধা নামের এক যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গত ২৭ নভেম্বর রাতে খালিশপুর ফেয়ার ক্লিনিকের সামনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় যুবক ইমানকে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কর্মচারী মো. মহসিন শেখ লিটুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। ২৮ অক্টোবর ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে মহানগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা খুঠিরঘাট এলাকার ওই বাড়িতে গুলিবর্ষণ হয়। তবে, কেউ আহত হননি।
গত ৯ অক্টোবর সকালে খালিশপুর হাউজিং বাজার এলাকায় সবুজ খান (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে খুলনার রূপসা উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইমরান হোসেন মানিক (৩৪) নামে এক যুবক নিহত হন।
সে সময় রূপসা থানার ডিউটি অফিসার জনি আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “রাতে মানিক একটি ভ্যানযোগে ইলাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় কয়েকজন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করেন। তারা মানিককে লক্ষ্য করে পরপর দুইটি গুলি ছোড়েন। একটি গুলি মানিকের মাথায় লাগে। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।”
এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা মহানগরীর রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে প্রকাশ্যে এক যুবককে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ওই যুবকের নাম নিক। তিনি নগরীর কালীবাড়ী এলাকার মন্টু দাশের ছেলে।
একের পর হত্যাকাণ্ডে উদ্বিগ্ন নাগরিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। ধারাবাহিক হত্যা ও সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে খুলনা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন হচ্ছে। এছাড়া, আইনশৃখলা পরিস্থিতি অবনতির প্রতিবাদে গত শনিবার নগরীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন আইন অধিকার বাস্তবায়ন ফোরাম। তার একদিন পরেই রবিবার দুটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটল। এর আগে, খুলনার আদালত চত্বর থেকে ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গত ২০ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে বস্তুটি পাওয়া যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে চরমপন্থিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল খুলনা। নতুন শতাব্দির শুরুতেও তা বহাল ছিল। বোমা মেরে অথবা গুলি করে মানুষ হত্যা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়। চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারান সাংবাদিকসহ অসংখ্য মানুষ। পরবর্তীতে চারদলীয় জোট সরকার দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে র্যাব গঠন করে। যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে শুরু হয় অপারেশন ক্লিনহাট, অপারেশন স্পাইডার ওয়েব। এসব অপারেশন অধিকাংশ চরমপন্থি সন্ত্রাসী নিহত ও অনেকে গ্রেপ্তার হন। ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসে খুলনায়। খুলনার আইনশৃখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আবারো বিশেষ অভিযান শুরুর দাবি জানিয়েছেন নাগরিক নেতারা।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, “একের পর এক হত্যাকাণ্ড সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলছে। এ থেকে খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের দমনে পুলিশ প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে।”
খুলনায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি বিশেষ করে গতকাল রবিবার আদালত অঙ্গনে দিনে দুপুরে লোমহর্ষক জোড়া খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু এবং সদস্য সচিব শেখ নুরুল হাসান রুবা। আদালত অঙ্গনে নিরাপত্তা জোরদারসহ খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ প্রশাসন এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আরো কঠোর ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, “বেশিরভাগ হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। রবিবার দুপুরে দুই হত্যার সঙ্গে জড়িতরাও দ্রুত গ্রেপ্তার হবেন।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ