ফিলিস্তিনি বিয়েতে ‘জাফ’ এবং ‘লাইন ড্যান্স’সহ আরও যা যা হয়
Published: 4th, December 2025 GMT
ফিলিস্তিনি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা কয়েকদিন ধরে চলে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নতুন বরের হাতে মেহেদি লেপ্টে দিচ্ছেন একজন নারী। হ্যাঁ, ফিলিস্তিনের বিয়ের সামাজিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে মেহেদি অনুষ্ঠান অনেক বেশি গুরুত্ব পায়। কনের হাতে জটিল নকশা ফুটিয়ে তোলা হয় আর বরের হাতে লেপ্টে দেওয়া হয় মেহেদি। এর সঙ্গে মাটির সংযোগ রয়েছে বলে ফিলিস্তিনিরা বিশ্বাস করেন। শুধু বর কনে নয় বিয়ের অনুষ্টানে উপস্থিত নারীরা একে অন্যের হাত মেহেদিতে রাঙিয়ে দেন। অনেক সময় কনে নিজেই বরের হাতে মেহেদি রাঙিয়ে দেন।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের অনেক অংশে, মানসাফ হলো ঐতিহ্যবাহী খাবার। যা দুঃখজনক এবং উৎসবমুখর উভয় অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়। মানসাফ এক অঞ্চলে একভাবে তৈরি করা হয়। তবে সাধারণত এটিতে ভাতকে গম্বুজের আকারে সাজিয়ে উপরে পরিবেশিত ভেড়ার মাংসের টুকরো থাকে, যা নিজেই রুটির স্তরের উপরে থাকে। মানসাফের সাথে সাধারণত দই বা জামিদ থাকে, যা ছাগলের দুধ থেকে তৈরি।
আরো পড়ুন:
যেসব অভ্যাসে ‘ডিমেনশিয়ার’ ঝুঁকি বাড়ে
শীতের সকালে পাতে পড়ুক ‘পোড়া বেগুনের ভর্তা’
ফিলিস্তিনি বিবাহের সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল জাফ। যা বিবাহের মিছিল নামে পরিচিত। এই শোভাযাত্রায় গায়ক, সঙ্গীতজ্ঞ, নৃত্যশিল্পী এবং বিবাহের অতিথিরা অংশ নেন।
বিবাহ অনুষ্ঠান জুড়ে, কনেকে সম্মান জানাতে এবং নবদম্পতির জন্য শুভকামনা জানাতে গান পরিবেশন করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী গান পরিবেশন করেন তারা।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে থাকে লাইন ড্যান্স। সাজানো মঞ্চে নৃত্যের সময়, একজন গায়ক বরের প্রশংসা করে একটি গান গেয়ে থাকেন, উপস্থিত অতিথিরা এবং অন্যান্য নৃত্যশিল্পীরা গানের কথার প্রতিধ্বনি তৈরি করে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ আহত ১৫
মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর ওপর ভাঙ্গাগামী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ওয়েলকাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বরিশাল যাচ্ছিল। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের আড়িয়াল খাঁ সেতুর ওপর একটি পণ্যবাহী ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয় বাসটি। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসের সামনের দিকে থাকা একজন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আরও দুজন মারা যান। এ দুর্ঘটনায় বাসের কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুর্ঘটনার পর ভাঙ্গাগামী লেনে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতাপ দাস নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি অন্য একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই বিকট শব্দ হলো। দেখি, ভাঙ্গাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সামনে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের মধ্যে ঢুকে গেল।’
শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত গতির কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।