ফরিদপুরে পুলিশ বিএনপির নেতা–কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

নায়াব ইউসুফ ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। ওই আসনে সর্বশেষ সংসদ সদস্য ছিলেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ।

সদর উপজেলার পরমানন্দপুর বাজারে গত রোববার বিকেলে এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। যুবদলের কর্মীরা নায়াব ইউসুফের ছবিসংবলিত লিফলেট বিতরণের একপর্যায়ে ওই হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নায়াব ইউসুফ। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। লিখিত বক্তব্যের শুরুতে নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘গত দুদিন যাবৎ আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে। ফরিদপুরের পুলিশ প্রশাসন এসব আওয়ামী দোষরকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’

পরমানন্দপুরের ঘটনার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘১৯ অক্টোবর পরমানন্দপুর বাজারে পূর্ব ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারপত্র বিতরণের সময় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এ কে আজাদের সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত হন। নিষিদ্ধঘোষিত যুবলীগ, ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আপত্তিকর ভাষা ও স্লোগান দিয়ে আমাদের নেতা–কর্মীদের ওপর চড়াও হওয়ায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থিত জনতা তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, একপর্যায়ে উৎসুক জনগণ তাদের ঘটনাস্থলে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। তখন সেখানে থাকা বিএনপি নেতা–কর্মী ও প্রশাসনের সাহায্যে এ কে আজাদসহ তাঁর সফরসঙ্গীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় একজন যে আমাদের দলের কেউ নয়, আখ বা স্থানীয় গেন্ডারি দিয়ে গাড়িতে হালকা আঘাত করে। আমাদের নেতা–কর্মীরা তাকে নিবৃত্ত করে গাড়িটিকে সেই স্থান ত্যাগ করার সুযোগ করে দেয়।’

আরও পড়ুনফরিদপুরে এ কে আজাদের গণসংযোগে যুবদলের হামলা, দুটি গাড়ি ভাঙচুর১৯ অক্টোবর ২০২৫

এর আগে এ কে আজাদের বাড়িতে বিএনপি চড়াও হওয়ার ঘটনাকে নায়াব ইউসুফ ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এ জাতীয় ঘটনা আগামীতে যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে নজর দেওয়া হবে। রোববারের ঘটনা সম্পর্কে নায়াব ইউসুফ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ মিলছে না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে নায়াবের পাশে থাকা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া বলেন, ওই ভিডিওতে ঘটনার অংশিক এসেছে।

পরে সংবাদ সম্মেলনের এসব অভিযোগের বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয় এ কে আজাদের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনের নামে তিনি (নায়াব ইউসুফ) মিথ্যাচার করেছেন। পরমানন্দপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা সব মিডিয়ায় এসেছে, পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন আমার সঙ্গে দলীয় কোনো লোকজন ছিলেন না। মিডিয়া স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবেই ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশ যা দেখেছে সেভাবেই ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

আরও পড়ুনআওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করছি—উনি এটা প্রমাণ করুক: এ কে আজাদ২০ অক্টোবর ২০২৫

এ কে আজাদ অভিযোগ করেন, ‘তিনি (নায়াব ইউসুফ) এখনো তাঁর নেতা–কর্মী দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে বেড়াচ্ছেন। সোমবার সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ১০ হাজার গ্রামে প্রাতরাশের দাওয়াত থাকলেও বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরোধিতার কারণে আমি সেখানে যেতে পারিনি। আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে আমি বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। আমার কর্মী, সমর্থক ও অনুসারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন য় ব ইউস ফ কর ম দ র ব য বদল র ব এনপ র আজ দ র আম দ র য গ কর র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন কমিশনকে ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

নির্বাচন কমিশনকে ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী একভাগ নিয়েছে, বিএনপি এক ভাগ নিয়েছে ও জামায়াতে ইসলামী এক ভাগ নিয়েছে। কিন্তু এনসিপি নির্বাচন কমিশনকে জনগণের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। বেলা ১১টার দিকে ইসি সচিবালয়ের সচিবের সঙ্গে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম বৈঠক করেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিবের কার্যালয়ের সামনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের এই গণ–অভ্যুত্থানটা যে হলো এখানে কিন্তু আওয়ামী লীগের অনেকগুলো অ্যাসেট (সম্পদ) তারা রেখে চলে গিয়েছিল। এবং এই নির্বাচন কমিশনটাও ১৫ বছর তারা নিজেদের মতন সাজিয়েছিল। এই যে তারা এই গণিমতের মালগুলা রেখে গিয়েছিল সেই গণিমতের মাল উপদেষ্টা, বিএনপি, জামাত—সবাই এই গণিমতের মালগুলা ভাগ করে নিয়েছে। এবং এই রাষ্ট্রের বর্তমান যা অবস্থা এই ইলেকশন কমিশনও তারা গনিমতের মাল হিসেবে ভাগ করেছে। আর্মি এক ভাগ নিয়েছে, বিএনপি একভাগ নিয়েছে, জামাত একভাগ নিয়েছে। কিন্তু আমরা তো জনগণের একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই নির্বাচন কমিশনকে দেখতে চাই।’

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান নির্বাচন কারচুপি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটা (নির্বাচন কমিশন) ধ্বংসের অন্যতম কারিগর ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন এই এনসিপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ইতিমধ্যেই গুমের ঘটনায় আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে যারা কলঙ্কিত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, তাদেরকে বিষয়গুলো আদালতের পর্যবেক্ষণে এসেছে এবং সেখানে তারা গৃহবন্দি হয়েছে।'

একইসঙ্গে যারা গত ১৫ বছরে নির্বাচন কমিশনে এ সব কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আর্মি থেকে একজন; তারপর হলো জুডিশিয়ারি থেকে একজন, যিনি জুডিশিয়ারি থেকে এসেছেন উনি একটি নির্দিষ্ট দলের পক্ষে কাজ করতেছেন। যিনি সিভিল সিভিল সার্ভিস থেকে এসেছেন, উনি একটি নির্দিষ্ট দলের পক্ষে কাজ করতেছেন। আর যিনি ডিজিএফআইয়ের প্রেসক্রিপশন বা আর্মি থেকে এসেছেন, উনি ওখানে কাজ করতেছেন।’

এনসিপি নির্বাচন কমিশনকে ‘জনগণের নির্বাচন কমিশন’ হিসেবে দেখতে চায় উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এটা কোনো দলের নয়। জুডিশিয়ারিতে যারা বসেছে, দখল দিয়েছে, তাদেরও নয়। যারা সিভিল সার্ভিসে বসেছে, তাদেরও নয়। কোনো ক্যান্টনমেন্টেরও নয়।… এটারে কোনো ক্যান্টনমেন্ট সদর দপ্তর বানানো যাবে না। … এই চারটি যে অন্তরায় রয়েছে, অদৃশ্য শক্তি রয়েছে, এগুলো থেকে, করাল গ্রাস থেকে, নির্বাচন কমিশনকে মুক্ত করতে হবে।’

মৃত ভোটার বা প্রবাসে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের এখনও ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ইলেকশন কমিশনে এখনও আওয়ামী লীগের যারা কর্মকর্তা, ইন্টারচেঞ্জ (স্থানান্তর হয়ে) করে আছে। … প্রতিষ্ঠান এটা দুর্নীতিগ্রস্ত। কমিশন চার ভাগ হয়ে রয়েছে। একজনকে নিয়েছে আর্মি, বাকি তিনজনকে দলগুলো ভাগ করে নিয়েছে। মাঠ লেভেলে (পর্যায়ে) যে প্রিজাইডিং অফিসার সেখানেও আওয়ামী লীগের লোক। তারপরে যারা নির্বাহী দায়িত্বে থাকবেন… পুলিশের কোনো চেঞ্জ হয় নাই। ন্যাশনাল সিকিউরিটিতে (জাতীয় নিরাপত্তায়) ব্যবসায়ী কোনো নিরাপত্তা নাই। এই পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন কীভাবে হবে, সেটা আমাদের প্রশ্ন।’

এসব সমস্যার সমাধান না করলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক। এনসিপির শাপলা প্রতীক পাওয়ার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা বিজ্ঞপ্তিটা দেবে। তারা (এনসিপি) বলেছে, তাদের শাপলা—সাদা শাপলা বা লাল শাপলা প্রতীক দিতে হবে। তারা (ইসি) এই কথা এ পর্যন্ত বলেনি যে শাপলা দেবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, তাঁরা প্রতীক বাড়াতেও পারেন অথবা কমাতেও পারেন। এনসিপি আজ ইসিকে বলে এসেছে শাপলাকে দ্রুত এনলিস্ট (তালিকাভুক্ত) করে জনগণকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।’

নির্বাচন কমিশনের ‘রিমোট কন্ট্রোল’ আগারগাঁওয়ে নেই: হাসনাত

এ সময় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ও কাজ করে তাঁদের মনে হয়েছে, এই সিদ্ধান্তগুলো আসলে চাপিয়ে দেওয়া। গতকালও (শনিবার) তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের যে ‘রিমোট কন্ট্রোল’, সেটা অন্য জায়গায়। নির্বাচন কমিশনের ‘রিমোট কন্ট্রোল’ আগারগাঁওয়ে নেই, এটা অন্য কোনো জায়গা থেকে পরিচালিত হয়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাঁরা যখনই কথা বলেন, মনে হয় এই ডিসিশনটা (মার্কা দেওয়ার সিদ্ধান্ত) তাঁরা (কমিশন) নিজেরা নেয় না। এই সিদ্ধান্তটা নির্বাচন কমিশনকে নিতে বাধ্য করা হয়।

এনসিপি শাপলা ছাড়া বিকল্প কোনো প্রতীকের কথা ভাবছে না বলে জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা বিকল্প কেন নেব? এটার আইনগত তো ব্যাখ্যা লাগবে। আমরা দেখেছি, এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত ব্যাখ্যা, কোনো কিছুই নির্বাচন কমিশন আমাদের দিতে পারেনি।’

এজেন্সি (সংস্থা), বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে এনসিপিকে কনভিন্স (রাজি করানো) করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘এনসিপিকে কি মার্কা দেওয়া হবে বা হবে না, তা নিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের অনেক আগ্রহ রয়েছে।’ এ বিষয়টি শঙ্কার বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন অবশ্যই আইনগত নীতিমালার ভিত্তিতে চলবে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ব্যক্তির ইচ্ছা হলেই মাইক দেখে ‘মাইক মার্কা’ দিয়ে দেওয়া যাবে না। মার্কা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন একটি স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্য আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে হলে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এ পর্যায়ে তিনি এ ধরনের কথা বলছেন। এই ধরনের কমিশনে বসে রাজনৈতিক বক্তব্য বা এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। জনগণ একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না, সেটির ওপরে আসলে নির্ভর করবে নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে, কি হচ্ছে না।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ আখ্যায়িত করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, তাঁরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই নির্বাচন কমিশনের অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন করার কোনো ধরনের যোগ্যতা নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রতিশ্রুতির চাইতে অনেক কম ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল
  • গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল, অভিযোগ কাতারের
  • গাঠনিক ক্ষমতাই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ
  • মৌলভীবাজারে ‘আপনার এসপি’ নামে বিশেষ সেবা চালু
  • রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলেছেন: ফখরুল
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন হলে সরকার শহীদ পরিবারের মুখোমুখি হবে
  • জনগণের বিপদ-আপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে : সাখাওয়াত
  • নির্বাচন কমিশনকে ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে বিএনপিতে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই: মির্জা ফখরুল