দেড় টন ইলিশসহ ৪৬ জেলে আটক, পাঁচজনকে কারাদণ্ড
Published: 21st, October 2025 GMT
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৪৬ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁদের পাঁচজনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড এবং বাকি জেলেদের এক লাখ সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
নৌ পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু জেলে হাতিয়ায় মেঘনা নদী থেকে ইলিশ শিকার করে আসছেন। গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালানো হয়।
হাতিয়ার ইউএনও মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, জব্দ করা ইলিশের বেশির ভাগই জাটকা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার কারণে পাঁচ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ৪১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জব্দ করা ইলিশ উপজেলার প্রায় ৫০টি এতিমখানা ও মাদ্রাসা এবং স্থানীয় গরিব অসহায় মানুষদের বিতরণ করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সাবেক প্রধান শিক্ষকের নামে ইউএনওর চাঁদাবাজির মামলা
নড়াইলের লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম খানের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করেছেন লোহাগড়া উপজেলার ইউএনও মো. আবু রিয়াদ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে তিনি নিজে বাদী হয়ে আবদুর রহিম খানসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে বুধবার সকালে পুলিশ আবদুর রহিম খানকে আতোষপাড়া তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সুধীজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযুক্ত আবদুর রহিম খান মল্লিকপুর ইউনিয়নের আতোষপাড়া গ্রামের মৃত মঞ্জেল খানের ছেলে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তিনি চাকরিচ্যুত হন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর ইউএনও আবু রিয়াদ অফিস শেষে ডাক বাংলোয় যাওয়ার পথে আবদুর রহিম অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে নিয়ে ইউএনওর গাড়ির গতিরোধ করেন। এ সময় তারা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আবদুর রহিম ইউএনওর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে বিভিন্ন সময় টাকা চেয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ টেক্সট করেছে এবং তা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করে ইউএনওর সম্মানহানি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আবদুর রহিম খান বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
ঢাকা/শরিফুল//