পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের মংগলসুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে অভিভাবকেরা হাতুড়ি ও ইলেকট্রিক যন্ত্র দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেন। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার হামিদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে তাঁরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মংগলসুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। শিক্ষকেরা অনুপস্থিত। অভিভাবকেরা কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মংগলসুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও রহমতপুর কেজিএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাদুরতলী কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাসন্তী মণ্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রাজেন্দ্র প্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা পরীক্ষার আয়োজন করেছেন। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক কর্মবিরতিতে থাকায় তাঁরা অনুপস্থিত।

মঙ্গলসুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যারেন্টস-টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিটিএ) সভাপতি ও অভিভাবক নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষকেরাও আসলে অভিভাবক। আমাদের সন্তানদের পড়াশোনাসহ আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সব দায়িত্ব শিক্ষকদের ওপরই আমরা ছেড়ে দিই। অথচ শিক্ষকেরা আজ আমাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করলেন না। শিক্ষকেরা তাঁদের দাবির কথা বলতেই পারে, তারও একটা সময় আছে। দুঃখজনক হলো, বার্ষিক পরীক্ষার এমন সময়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন করা ঠিক হয়নি।’

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিউলী আক্তার বলেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে মোট ৭০২ জন শিক্ষার্থী। আজ সকালের শিফটে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ১১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিকেলের শিফটে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশিক্ষণে আছেন। আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। আমার সঙ্গে আরও একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আছেন। ১৩ জন শিক্ষক অনুপস্থিত আছেন।’

ইউএনও কাউছার হামিদ বলেন, ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক পরীক্ষার এ সময় শিক্ষকেরা পরীক্ষা নেবেন—অভিভাবকেরা এ আশায় ছিলেন। অথচ শিক্ষকেরা নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়। যাঁরা বিদ্যালয়ে না এসে আন্দোলন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুরোধ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন শ ক ষ পর ক ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও

দেশের ৭৭টি উপজেলায় নতুন করে ৭৭ জন কর্মকর্তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

প্রশাসনের ২২ কর্মকর্তার পদোন্নতি

সচিবালয়ে কর্মরত ঠাকুরগাঁও কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ন্যস্ত করা কর্মকর্তাদের তাদের নিজ অধিক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর সেকশন-১৪৪ এর ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

এর আগে ২৬ নভেম্বর বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনে ১৬৬ জন কর্মকর্তাকে ইউএনও নিয়োগ দেওয়া হয়।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্লিনিকের বাথরুম থেকে নবজাতক উদ্ধার, দায়িত্ব নিলেন ইউএনও
  • আরো ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও
  • ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও