কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি কেন্দ্র করে সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংকের কয়েকটি শাখায় হাতবোমা কিংবা পেট্রলবোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এর ঠিক পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে প্রথম আলোর নামে তৈরি একটি ফটোকার্ড, যেখানে দাবি করা হয়েছে, ‘গ্রামীণ ব্যাংক হামলার পরিকল্পনা; সকল শাখা থেকে গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’

লিংক: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

কিন্তু যাচাই করে দেখা যাচ্ছে, প্রথম আলো এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। গ্রামীণ ব্যাংকের হামলা বা গ্রাহকদের টাকা উত্তোলন–সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দেননি।

ফটোকার্ডটিতে প্রথম আলোর লোগো এবং ১৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ ব্যবহার করা হয়েছে। ডিজাইনটি প্রথম আলোর ব্যবহৃত ফটোকার্ডের মতো করে বানানো হয়েছে; কিন্তু এর সঙ্গে প্রথম আলোর প্রচলিত ফটোকার্ডের ফন্ট, লেআউট ও ফ্রেমে সূক্ষ্ম পার্থক্য দেখা যায়। প্রথম আলো ছবি ও শিরোনাম দিয়ে ফটোকার্ড প্রকাশ করলে তার মধে৵ ছোট আকারে ছবির ক্যাপশন লেখা থাকে, যা এই  ফটোকার্ডে দেখা যায়নি।

প্রথম আলোর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে এ–সংক্রান্ত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি।

লিংক: এখানে, এখানে, এখানে

বরং প্রথম আলো নিজেই তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটি ভুয়া।

লিংক: (প্রথম আলো নিজেই তাদের ফেসবুক পেজে)

এই ভুয়া ফটোকার্ডটি নতুন নয়। গত ১৪ নভেম্বর একই নকশা ও একই দাবিতে এটি প্রচারিত হয়েছিল। তখনো দেশের কয়েকটি স্থানে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় অগ্নিসংযোগের চেষ্টা লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

প্রকাশিত সংবাদের লিংক: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

দৃশ্যত সেই পটভূমিকে কাজে লাগিয়ে বিভ্রান্তিমূলক পোস্টটি ছড়ানো হয়েছিল।

লিংক: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

প্রকাশের তারিখে ১৪ নভেম্বর উল্লেখ থাকলেও সেদিন প্রথম আলো এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। ‘গ্রামীণ ব্যাংক’, ‘গ্রাহকদের টাকা উত্তোলন’, ‘ড.

ইউনূসের নির্দেশ’—এই ধরনের কি–ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এমন খবর পাওয়া যায়নি।

প্রথম আলোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ–সংক্রান্ত কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি; বরং ভুয়া ফটোকার্ডটি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সুতরাং, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের হামলার পরিকল্পনা ও টাকা উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস’—প্রথম আলোর নামে ছড়ানো এ ফটোকার্ডটি পুরোপুরি ভুয়া।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল র ফ সব ক প জ প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

৩ কোটি টাকা! ‘মিস ইউনিভার্স’ ফাতিমা আর কী পাচ্ছেন

৭৪ তম মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতলেন ‘মিস মেক্সিকো’ ফাতিমা বশ। আজ সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চূড়ান্ত পর্বে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।

বিশ্বের ১২০ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছেন ২৫ বছর বয়সী ফাতিমা। তাঁকে মুকুট পরিয়ে দেন গত বছরের বিজয়ী ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগ।

মুকুট পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন ফাতিমা, বাকি প্রতিযোগীদের জড়িয়ে ধরে কাঁদতে দেখা গেছে তাঁকে।

মেক্সিকোর তাবাস্কো অঙ্গরাজ্যের সান্তিয়াগো দে তেয়াপায় জন্ম ফাতিমার। তিনি মেক্সিকোতে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

বিশ্বের ১২০ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছেন ফাতিমা বশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ