আর ২ জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করল হামাস, ইসরায়েল দিল ১৫ বন্দীর মরদেহ
Published: 22nd, October 2025 GMT
যুদ্ধবিরতির আওতায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস গতকাল মঙ্গলবার আরও দুজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। একই দিনে ইসরায়েল ১৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহ ফেরত দিয়েছে। তবে হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে। কারণ, তারা এখনো মিসরের সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাফা সীমান্তটি নতুন করে খুলে দিচ্ছে না।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আজ বুধবার ভোর নাগাদ তাঁদের পরিচয় শনাক্ত হয়। তাঁরা হলেন ৮৫ বছর বয়সী বেসামরিক নাগরিক আরিয়ে জালমানোভিচ ও ৩৮ বছর বয়সী সেনাসদস্য তামির আদার।
আরও পড়ুনমধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে: ট্রাম্প৪ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বলেছে, গাজায় হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহগুলো প্রথমে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তারা মরদেহগুলো ইসরায়েলের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, আরিয়ে জালমানোভিচ ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর গাজায় জিম্মিদশায় মারা যান। আর তামির আদার ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে নিহত হন। পরে তাঁর মরদেহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
হামাস এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মোট ১৫ জন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। চুক্তির আওতায় তাদের আরও ১৩ জন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা। তবে হামাসের দাবি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ এবং গাজার কিছু অংশে এখনো ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় মরদেহ উদ্ধারের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
হামাস এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মোট ১৫ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। চুক্তির আওতায় তাদের আরও ১৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা। তবে হামাসের দাবি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ এবং গাজার কিছু অংশে এখনো ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় মরদেহ উদ্ধারের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির শুরুতে হামাস এক দিনে ২০ জীবিত বন্দীকেও মুক্তি দিয়েছিল।
এদিকে ইসরায়েলে আটক অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ গতকাল গাজায় ফেরত পাঠিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা সূত্র বলছে, মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তের জন্য নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলে আটক অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ গতকাল গাজায় ফেরত পাঠিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা সূত্র বলছে, মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তের জন্য নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার জীবিত ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। তারা আরও ৩৬০ মৃত ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের ফেরত দেওয়া প্রায় ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ পরীক্ষা করেছে ফরেনসিক দল। ওই দলের সদস্যরা বলেছেন, কিছু মরদেহে তখনো শিকল বাঁধা ছিল এবং মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা হত্যার শিকার।
আরও পড়ুনগাজায় কি তাহলে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেছে৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ল স ত ন র মরদ হ জ ম ম র মরদ হ ত র আওত য় ইসর য় ল র র কর ছ র আরও গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাবিক বললেন, ‘আমাদের জীবন ঝুঁকিতে’
কৃষ্ণসাগরে গত ২৮ নভেম্বর একটি তেল পরিবহনকারী জাহাজে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ৪জনসহ ২৫ নাবিক। হামলার দুই দিন পর ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি তীরের কাছে আনতে গিয়ে উল্টো এখন জাহাজটিতে আটকা পড়েছেন বাংলাদেশিসহ ১০ নাবিক। বাংলাদেশি ওই নাবিকের নাম মাহফুজুল ইসলাম।
আজ শনিবার হোয়াটসঅ্যাপে ওই নাবিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অচল জাহাজটি তুরস্কের উপকূল ছেড়ে ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে বুলগেরিয়ার জলসীমায় চলে যায়। ড্রোন হামলায় এর ইঞ্জিন ধ্বংস হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তাঁদের উদ্ধারে কেউ সাড়া না দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নাবিকেরা।
তুরস্কের উপকূলে কৃষ্ণসাগর অতিক্রম করার সময় গত ২৮ নভেম্বর জাহাজটিতে হামলা করেছিল ইউক্রেনের নৌবাহিনী। জাহাজের ২৫ নাবিকের চারজন ছিলেন বাংলাদেশি। জ্বালানি তেলবাহী জাহাজটি রাশিয়ার ‘ছায়া নৌবহরের’ অংশ বলে বিবিসি জানায়।
হামলার পর নাবিকদের উদ্ধার করে তুরস্কের কোস্টগার্ড। ইতিমধ্যে জাহাজটিতে থাকা বাংলাদেশের তিনজন নাবিক দেশের উদ্দেশে তুরস্ক থেকে রওনা হয়েছেন। এই তিনজন হলেন কুষ্টিয়ার আল আমিন, ঢাকার ধামরাইয়ের হাবিবুর রহমান এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার আজগর হোসাইন। তবে মাহফুজুল ইসলামসহ মোট ১০ জনকে জাহাজটি নিরাপদে তীরে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর জাহাজটি তীরে আনতে গিয়ে আটকা পড়েন মাহফুজুল ইসলাম।
ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল। বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডায় জীবনের ঝুঁকিতে পড়েছেন নাবিকেরা