বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার দুর্গম এলাকার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার অনুমোদন দিয়েছে জেলা পরিষদ। বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আবেদনের ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতি, অনিয়মিতভাবে দায়িত্ব পালন ও বিভিন্ন প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। দীর্ঘদিনের তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। পরবর্তীতে সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বান্দরবান জেলা পরিষদ মামলার অনুমোদন প্রদান করে।

আরো পড়ুন:

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আয়াকে প্রধান শিক্ষকের হুমকি, থানায় অভিযোগ

চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও

আলীকদম উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.

কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২০২৪ সালে এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতি, দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আমরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন পাঠাই। পরে জেলা অফিস বিভাগীয় মামলার আবেদন করলে জেলা পরিষদ তা অনুমোদন করে।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, রেংপু হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক, সহকারী শিক্ষক হারুন আর রশিদ, নার্গিস তামান্না, হাবেকুন্নার ও মোতাহার বেগম। রাইতুমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্বাছ উদ্দিন, রিয়াজুল জান্নাত, মো. জাবেদ।

এছাড়া মেনকেউ মেনক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজীব স্রো, সহকারী শিক্ষক তাসলিমা আক্তার, কোহিনুর আক্তার, বদিউর রহমান রুস্তম ও রোমেন দাশ। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই বলেন, “জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তদন্তের মাধ্যমে এসব শিক্ষকের বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতি ও অনিয়মের প্রমাণ পায়। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার মান রক্ষায় আমরা কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করব না। তাই বিভাগীয় মামলার আবেদন পাওয়ার পর জেলা পরিষদ তা অনুমোদন করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল ও জবাবদিহিমূলক রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চলছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/চাই মং/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম মল ব ন দরব ন জ ল

এছাড়াও পড়ুন:

১২ বছর পর থাইল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ, প্রথমার্ধে পিছিয়ে ঋতুপর্ণারা

১২ বছর পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে আগের হিসাব পাল্টানোর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের।

তবে ব্যাংককের থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল মাঠে প্রীতি ম্যাচের প্রথমার্ধে সেই স্বপ্নে আপাতত ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে ১–০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেছেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা।

বাংলাদেশ নারী দল এর আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল, ২০১৩ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে। সেই ম্যাচে ৯–০ গোলের বড় হার দেখেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও মুখোমুখি দুই দল।

ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ায় দেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষা ফল জানার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রথমার্ধেই স্বাগতিকরা এগিয়ে গেছে এক গোল করে।
এ ম্যাচ দিয়েই সাড়ে তিন মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী দল।

একই সঙ্গে আগামী বছরের এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিও শুরু হলো এই প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে থাইল্যান্ড ৫৩তম, বাংলাদেশ আছে ১০৪ নম্বরে। ম্যাচের আগে গোলকিপার রুপনা চাকমা বলেছিলেন, ‘অবশ্যই সেরাটা দিতে চাই, আমাদের লক্ষ্য জেতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ