এক ইনিংসে দুই হ্যাটট্রিক! হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন!

আজ রঞ্জি ট্রফিতে আসামের বিপক্ষে সার্ভিসেস দলের দুই বোলার এক ইনিংসেই পেয়েছেন দুটি হ্যাটট্রিক। তাতে টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানেই গুটিয়ে গেছে আসাম।

দিনের প্রথম হ্যাটট্রিকটা করেছেন সার্ভিসেসের স্পিনার অর্জুন শর্মা। মধ্যাহ্নবিরতির পর দলের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটি করেছেন বাঁহাতি পেসার মোহিত জাঙ্গরা।

এক ইনিংসে দুই হ্যাটট্রিকের ঘটনা রঞ্জি ট্রফিতে এটি দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৬৩ সালে সার্ভিসেসেরই পেসার জোগিন্দার রাও একাই এক ইনিংসে দুটি হ্যাটট্রিক করেছিলেন। তবে এক ইনিংসে দুজনের হ্যাটট্রিক রঞ্জি ট্রফিতে এটিই প্রথম।

সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে দুই হ্যাটট্রিকের পঞ্চম ঘটনা এটি। প্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলের হয়েই খেলা বোলার আলবার্ট ট্রট। ১৯০৭ সালে মিডলসেক্সের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে কাউন্টিতে তিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন। দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন ভারতের জোগিন্দার রাও। এক ইনিংসে একই বোলারের দুই হ্যাটট্রিকের ঘটনা এই দুটিই।

এক ইনিংসে দুই বোলারের হ্যাটট্রিকের ঘটনা প্রথম ঘটে ১৯৮৬ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ক্লাইভ রাইস ও গার্থ লেরু জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ান একাদশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে এই কীর্তি গড়েছিলেন। এরপর ১৯৯৬ সালে ডিন হেডলি ও মার্টিন ম্যাকক্যাগ কেন্টের হয়ে ক্যান্টারবুরিতে হ্যাম্পশায়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে একটি করে হ্যাটট্রিক করেন। এই তালিকায় সর্বশেষ নাম লেখালেন সার্ভিসেসের দুই বোলার।

বাঁহাতি পেসার মোহিত জাঙ্গরা করেছেন হ্যাটট্রিক.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই ক র ত প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা

সচিবালয়ে কাজের পরিবেশের উন্নতি ও ‘সচিবালয় ভাতা’ চালুর দাবিতে দিনভর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে প্রায় ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে দপ্তর ছেড়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের সহায়তায় তিনি সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবন থেকে বের হন।

আরো পড়ুন:

৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও

প্রশাসনের ২২ কর্মকর্তার পদোন্নতি

দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরা দলবদ্ধ হয়ে অর্থ উপদেষ্টার কক্ষের সামনে জড়ো হন এবং ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতা ঘোষণার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে ভবনটির ভেতর ও বাইরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

এক পর্যায়ে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট আন্দোলনকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি এবং শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগান দেখা যায়। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হলে উপদেষ্টার নিরাপত্তায় চতুর্থ তলায় গিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সচিবালয়ের কর্মীদের বহুদিনের দাবি ‘সচিবালয় ভাতা’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জারি করা হবে। বিকেল ৩টার মধ্যে গেজেট প্রকাশের আশ্বাস পেয়ে কর্মচারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

আন্দোলনকারী এক কর্মচারী বলেন, “আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করি, দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করি, কিন্তু কোনো ওভারটাইম সুবিধা নেই। তাই সচিবালয় ভাতার দাবি ন্যায়সঙ্গত।”

সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি বাদিউল কবির বলেন, “দুদক পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে জিও জারি করতে পারে, সেখানে সচিবালয়ের ভাতা ঘোষণা নিয়ে এত জটিলতা কেন? আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নড়বনা।”

তিনি আরো জানান, সচিবালয় কর্মীরা প্রতিদিন জাতীয় প্রেসক্লাব–সচিবালয় এলাকাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সমাবেশ, মিছিল ও নিরাপত্তাজনিত চাপের মধ্যে কাজ করেন, যা অন্য দপ্তরের তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও শ্রমসাপেক্ষ। এ কারণে এই ভাতা চালু করা জরুরি ও যুক্তিসঙ্গত।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে ইতোমধ্যেই টিপ টপ ভাতা ও অতিরিক্ত কাজের আর্থিক সুবিধা চালু রয়েছে।তাই প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে সচিবালয়ে কর্মরতদের জন্যও একই ধরনের ভাতা ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই আসছিল।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ