পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ ব্যাপারে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি।’’  

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন এবং বিআরটিএ পঞ্চগড় সার্কেলের যৌথ আয়োজনে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ (নিহত/আহত) ৩২টি পরিবারের অনুকূলে বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ডের মঞ্জুরিকৃত অর্থের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ঝালকাঠিতে বাসের ধাক্কায় বিএনপি নেতা নাসিম আকন নিহত

রাজশাহীতে যানজট সচেতনতায় সাইকেল শোভাযাত্রা

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘কোনো লক্কর-ঝক্কর গাড়ি মহাসড়কে আমরা চলতে দিবো না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি গাড়িগুলোও কিন্তু ছাড় পাবে না। আমি বিআরটিএ’র গাড়িও ডাম্প করেছি।’’ 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ইমাম রাজী টুলুর সঞ্চালনায় ও জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ফরহাদ হোসেন; বাস, মিনিবাস, কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান; পঞ্চগড় জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪ এর সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেনসহ নিহত পরিবারের স্বজনেরা বক্তব্য রাখেন। 

এ সময় বিআরটিএ ঠাকুরগাঁও সার্কেলের সহকারী পরিচালক তন্ময় কুমার ধর, পঞ্চগড় বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক হিমাদ্রী ঘটক, নিহতের পরিবারের স্বজন, জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/নাঈম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন ব আরট এ

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ