চাকরির পাশাপাশি যে পাঁচটি কাজ আপনার আয় বাড়াবে
Published: 26th, October 2025 GMT
চাকরি আছে, তবু মাসের শেষে টান পড়ে। মুদ্রাস্ফীতি, বাসাভাড়া, সন্তানের টিউশন ফি—সব মিলিয়ে অনেকেরই মূল আয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই অনেক তরুণ-তরুণী, এমনকি চাকরিজীবী মানুষও খুঁজছেন অতিরিক্ত আয়ের পথ। আগে যেটিকে ‘টিউশনি’ বা ‘ছোটখাটো কাজ’ বলা হতো, এখন সেটাই হচ্ছে ‘পার্শ্বআয়’ বা বাড়তি উপার্জনের মাধ্যম। আর এই পথ এখন শুধু সামান্য আয়ে সীমাবদ্ধ নয়, অনেকেই এখান থেকে আয় করছেন মাসে লাখ টাকার বেশি।
লেন্ডিংট্রির সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ মানুষের পার্শ্বকাজ রয়েছে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেন, এই অতিরিক্ত আয় ছাড়া জীবন চলে না। বাংলাদেশেও একই প্রবণতা বাড়ছে। তবে এখানে ‘অতিরিক্ত আয়’ নয়, বরং ‘অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও স্বপ্নপূরণের পথ’ হিসেবেই পার্শ্বকাজকে দেখছেন তরুণেরা।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫ফাইল ছবি: রয়টার্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার: পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের পর তার মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে অপমান বোধ করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তবে ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক এবং নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে।
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলেনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর পরপর রাষ্ট্রপতির পদটি গুরুত্ব পায়। কারণ সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর তিনিই শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।
৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাওয়া উচিত। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হওয়ায় আমি আমার অবস্থান ধরে রাখছি।”
তিনি জানান, ড. ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সাথে দেখা করেননি, তার প্রেস বিভাগটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলি থেকে তার প্রতিকৃতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, “রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি ছিল, সমস্ত কনস্যুলেট, দূতাবাস এবং হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল এবং এক রাতেই হঠাৎ করে এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে যে সম্ভবত রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হচ্ছে। আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি।”
মো. সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ড. ইউনূসকে প্রতিকৃতি সম্পর্কে চিঠি লিখেছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঢাকা/শাহেদ