কক্সবাজারের উখিয়ায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে, এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

১১ মাসে ৭৫৪ কোটি টাকার পণ্য জব্দ বিজিবির

কক্সবাজারে ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার 

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে পালংখালী বিওপির একটি টহল দল উখিয়ার ফারিরবিল এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় মিয়ানমারের দিক থেকে দুই ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশকালে বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা তিনটি কালো ব্যাগ ফেলে সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যায়। ব্যাগগুলো তল্লাশি করে স্কচটেপে মোড়ানো ৩৬টি কার্টনে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। ঘটনার পর পুরো এলাকায় রাতভর অভিযান চালানো হলেও কোনো মাদক কারবারিকে আটক করা যায়নি।

জব্দ করা ইয়াবা উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদক কারবারিদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের অনুষ্ঠানে গান বাজানোয় সালিস ডেকে কনের বাবা, মা, ভাইকে বেত্রাঘাত

বিয়ের অনুষ্ঠানে সাউন্ড বক্সে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের পর ডাকা হয়েছিল সালিস। স্থানীয় যুবদলের এক নেতা এ সালিস ডাকেন। পরে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারাও এতে অংশ নেন। সে সালিসেই কনের বাবা, মা ও ভাইকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ওই সালিসে কনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

গত ২০ অক্টোবর নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। তবে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় কনের ভগ্নিপতির অটোরিকশা আটক করা হয়। অটোরিকশাটি আটকে রাখার সূত্রে আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হয়। যদিও স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যস্থতায় অটোরিকশা আবার ফেরত দেওয়া হয়।

কনের পরিবারের অভিযোগ, ২০ অক্টোবর ওই বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সে অনুষ্ঠানের আগের রাতে সাউন্ড বক্সে গান বাজায় তারা। ওই দিন রাতেই স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিন কেন গান বাজানো হয়েছে, সে কৈফিয়ত চান। এ নিয়ে কনের ভাইয়ের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। এ ঘটনার পরের দিন রাতে কনের বাড়িতেই সালিস বসে। সালিসে গান বাজানোর কারণে কনের মা, বাবা ও ভাইকে ১০ ঘা বেত্রাঘাত করা হয়।

জানতে চাইলে কনের ভাই প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা রাত ১০টা পর্যন্ত গান বাজিয়েছিলেন। কথা–কাটাকাটির পরের দিন রাত ৯টার দিকে আফছার তাঁর দলীয় লোকজন নিয়ে এসে তাঁদের বিরুদ্ধে সালিস বৈঠক বসান। সে বৈঠকে তাঁদের বিরুদ্ধে সাউন্ড বক্সে গান বাজানোর পাশপাশি ৫০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়। টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ সত্য নয়। এ অভিযোগে তাঁদের প্রকাশ্যে ১০ ঘা বেত্রাঘাত করা হয়।

তবে কনের ভাইয়ের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন যুবদল নেতা আফছার উদ্দিন। তিনি দাবি করেন, তিনি জেলা শহরের সোনাপুর থেকে জেলেদের মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। তখন বাড়ির সামনে কনের ভাইকে দাঁড়ানো দেখে সাউন্ড বক্সে গান বাজানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে কনের পরিবারের লোকজন তাঁর ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁর ৫০ হাজার টাকা হারিয়ে যায়।

তবে সালিসের কথা স্বীকার করেন আফছার উদ্দিন। তিনি বলেন, বিষয়টি দলীয় লোকজন জানার পর রাতে সালিস হয়। ওই সালিসে বেত্রাঘাতের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তছলিম উদ্দিন ও স্থানীয় বাসিন্দা আলা উদ্দিন মাঝি এ সালিস পরিচালনা করেন। মো. তছলিম উদ্দিনই বেত্রাঘাত করেছেন বলে কনের পরিবারের অভিযোগ। জানতে চেয়ে তছলিম উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে আলা উদ্দিন মাঝি সালিসের জরিমানার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে বেত্রাঘাত করা হয়নি বলে দাবি করেন।

জানতে চাইলে আলা উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিয়েবাড়িতে গান বাজানোর ঘটনায় স্থানীয় এক রিকশাচালক প্রতিবাদ করেছিলেন। পরে কনের বাড়ির লোকজন ওই রিকশাচালক ও আফছারের ওপর হামলা করেছেন। এ নিয়ে সালিস হয়েছিল। এতে বিয়েবাড়ির লোকজনের কারণে আফছারের ৫০ হাজার টাকা হারানোর কারণে তাঁদের ওই টাকা জরিমানা করা হয়।

জানতে চাইলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ