৫ দিনে রাশমিকার সিনেমার আয় ১৪৭ কোটি টাকা
Published: 26th, October 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। গত বছরের শেষ থেকে দারুণ সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। টানা দুটি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এবার হরর-কমেডি ঘরানার ‘থাম্মা’ সিনেমা নিয়ে পর্দায় হাজির হয়েছেন। আদিত্য সরপতদার পরিচালিত এই সিনেমায় রাশমিকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা। দীপাবলি উপলক্ষে ২১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
কয়েক দিন আগে মুক্তি পায় এ সিনেমার ‘পয়জন বেবি’ গান। দীর্ঘ দিন পর এ গানের মাধ্যমে পর্দায় ফিরেছেন মালাইকা আরোরা। জেসমিন স্যান্ডলাস, সচিন-জিগর ও দিব্যা কুমারের এ গানে রাশমিকা-মালাইকার নাচে বুঁদ হয়ে আছেন দর্শকরা। তাছাড়া ‘তুম মেরে না হুয়ে’ গানে আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে দেখা যায় আবেদনময়ী রাশমিকাকে। ফলে মুক্তির আগে থেকেই ‘থাম্মা’ সিনেমা আলোচনায় রয়েছে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত হিন্দি ভাষার ৩১টি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয়কৃত সিনেমার তালিকায় ‘থাম্মা’ এর অবস্থান চতুর্থ। এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি), দ্বিতীয় ‘ওয়ার টু’ (২৮ কোটি রুপি), তৃতীয় সিকান্দার (২৫ কোটি রুপি)। চলুন জেনে নিই, ৫ দিনে কত টাকা আয় করেছে রাশমিকার সিনেমাটি।
স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘থাম্মা’ সিনেমা পাঁচ দিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ৯৪.
ম্যাডক ফিল্মসের হরর-কমেডি ইউনিভার্সের নতুন সিনেমা ‘থাম্মা’। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি রুপি। ইউ/এ ১৬+ রেটিংসহ অনুমোদিত সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড।
সিনেমাটির গল্প প্রসঙ্গে আয়ুষ্মান খুরানা ভারাইটিকে বলেন, “এ সিনেমা সরাসরি ভারতীয় পুরাণ ও কিংবদন্তি থেকে অনুপ্রাণিত। আমরা প্রায়ই পশ্চিমা ধারণার দিকে তাকাই, কিন্তু অনেক ধারণার মূল আমাদের নিজেদের। এটি পশ্চিমা ধারার আগে থেকেই আমাদের সংস্কৃতিতে বিদ্যমান।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে আয়ুষ্মান খুরানা বলেন, “এটি আমার প্রথম প্রকৃত ফ্যান্টাসি প্রকল্প। আমি এখানে একটি বেতাল চরিত্রে অভিনয় করছি—ভারতীয় লোককথার প্রেতাত্মা। কমেডি ও আবেগ আসে সাধারণ মানুষের অসাধারণ ক্ষমতার সঙ্গে মিশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে। এটি হরর নয়, বরং কমেডি; রোমান্স ও অ্যাকশন মিশ্রিত সিনেমা।”
এ সিনেমা নিয়ে ভ্যারাইটিকে রাশমিকা মান্দানা বলেন, “সিনেমাটির গল্প শোনার পর থেকেই এই ইউনিভার্সের অংশ হতে উদ্গ্রীব হয়ে ছিলাম। সিনেমাটির চরিত্রগুলো আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণ যুক্ত।”
আয়ুষ্মান খুরানা, রাশমিকা মান্দানা ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী, পরেশ রাওয়াল, গীতা আগরওয়াল শর্মা, ফয়সাল মালিক। তাছাড়া সিনেমাটিতে একঝাঁক তারকা অতিথি হিসেবে অভিনয় করেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন—মালাইকা আরোরা, নোরা ফাতেহি, অমর কৌশিক, সত্যরাজ, বরুণ ধাওয়ান, সুনীল কুমার।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার: পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের পর তার মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে অপমান বোধ করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তবে ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক এবং নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে।
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলেনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর পরপর রাষ্ট্রপতির পদটি গুরুত্ব পায়। কারণ সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর তিনিই শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।
৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাওয়া উচিত। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হওয়ায় আমি আমার অবস্থান ধরে রাখছি।”
তিনি জানান, ড. ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সাথে দেখা করেননি, তার প্রেস বিভাগটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলি থেকে তার প্রতিকৃতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, “রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি ছিল, সমস্ত কনস্যুলেট, দূতাবাস এবং হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল এবং এক রাতেই হঠাৎ করে এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে যে সম্ভবত রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হচ্ছে। আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি।”
মো. সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ড. ইউনূসকে প্রতিকৃতি সম্পর্কে চিঠি লিখেছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঢাকা/শাহেদ