কিডনি প্রতিস্থাপনে নতুন সাফল্য
Published: 26th, October 2025 GMT
কিডনি একবার সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গেলে বেঁচে থাকার জন্য ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া উপায় থাকে না। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন অনেক ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। শুধু তা–ই নয়, নির্ধারিত রক্তের গ্রুপ না মিললে চাইলেও কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায় না। এ সমস্যা সমাধানে কিডনিদাতা যে রক্তের গ্রুপের হন না কেন, সেই কিডনিকে ও গ্রুপে রূপান্তরের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে রক্তের গ্রুপ ভিন্ন হলেও এক ব্যক্তির কিডনি অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রতিস্থাপন করা যাবে।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া জানিয়েছে, এক দশকেরও বেশি সময়ের কাজের ফল নতুন এই আবিষ্কার। বিজ্ঞানী উইদার্স ও জয়চন্দ্রন কিঝাক্কেটু রক্তের গ্রুপ নির্ধারণকারী শর্করা সরিয়ে ফেলে সর্বজনীন দাতা রক্ত তৈরির জন্য কাজ করেছেন। এই আবিষ্কার একটি গুরুতর সমস্যার সমাধান করছে। ও গ্রুপের কিডনির চাহিদা খুব বেশি হওয়ায় রোগীদের কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দুই থেকে চার বছরের বেশি অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমান প্রতিস্থাপন পদ্ধতিতে রোগীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দমন করতে হয় ও শুধু জীবিত দাতাদের মধ্য থেকে কিডনি নিতে হয়। নতুন এনজাইম চিকিৎসা পুরো ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এখন বিজ্ঞানীরা নতুন কিডনি নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করে সাধারণভাবে ব্যবহারের উপযোগী করার কাজ করছেন।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গবেষণায় এ গ্রুপের রক্তের একটি কিডনি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও অ্যাভিভো বায়োমেডিক্যাল ইনকরপোরেটেডের তৈরি বিশেষ এনজাইম ব্যবহার করে সর্বজনীন রক্তের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ও–তে রূপান্তরিত করা হয়। এরপর রোগীর পরিবারের সম্মতিতে রূপান্তরিত কিডনি একজন রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। কোনো গুরুতর প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই কিডনি ভালোভাবে কাজ করেছে। নতুন এই আবিষ্কারের মাধ্যমে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষার সময় কমে আসবে। নেচার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সাময়িকীতে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানী স্টিফেন উইদার্স বলেন, ‘এই প্রথম আমরা মানব মডেলে পরীক্ষা করেছি। দীর্ঘমেয়াদে কীভাবে উন্নত করা যায়, সে সম্পর্কে আমাদের নতুন তথ্য জানার সুযোগ আছে। এখন আর কিডনিকে গ্রহীতার রক্তের গ্রুপের সঙ্গে হুবহু মেলাতে হবে না। কিডনি প্রতিস্থাপনের সাফল্যের হার বাড়বে।’
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রক ত র গ র প র ক ডন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কলেজ ড্রপআউট সেই তরুণী এখন ১৬৬ কোটির মালিক
মাঝপথে কলেজ ছেড়ে দিয়েছিলেন, মাত্র ২১ বছর বয়সে দত্তক নেন দুই সন্তান। সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল জীবন নব্বই দশকের আলোচিত এই বলিউড অভিনেত্রীর। তবে আজকের এই অবস্থানে আসা সহজ ছিল না। এ জন্য পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ। তিনি আর কেউ নন, রাবিনা ট্যান্ডন। আজ ২৬ অক্টোবর, অভিনেত্রীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে ইন্ডিয়াডটকম অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক রাবিনা সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য।
নামের বিশেষত্ব
১৯৭২ সালে মুম্বাইতে চলচ্চিত্র নির্মাতা রবি ট্যান্ডন ও বীণা ট্যান্ডনের ঘরে জন্ম হয় তাঁর। রাবিনার নামই তাঁর পরিচয়ের এক অনন্য দিক। ‘রাবিনা’ নামটি তাঁর মায়ের নাম বীণা ট্যান্ডন ও পিতার নাম রবি ট্যান্ডনের সংমিশ্রণ। এ ছাড়া পরিবারের অনেকেই তাঁকে আদর করে ‘মুনমুন’ বলে ডাকতেন।
রাবিনা অভিনয়ে আসার আগে একটি জনসংযোগ ও বিজ্ঞাপন সংস্থায় বিখ্যাত বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রহ্লাদ কাকারের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। এই সময়েই ফটোগ্রাফার-পরিচালক শান্তনু শেওরে তাঁর মধ্যে অভিনয়ের সম্ভাবনা আবিষ্কার করেন। এভাবেই হিন্দি সিনেমায় তাঁর দুয়ার খুলে যায়।
রাবিনা ট্যান্ডন