কিডনি একবার সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গেলে বেঁচে থাকার জন্য ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া উপায় থাকে না। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন অনেক ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। শুধু তা–ই নয়, নির্ধারিত রক্তের গ্রুপ না মিললে চাইলেও কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায় না। এ সমস্যা সমাধানে কিডনিদাতা যে রক্তের গ্রুপের হন না কেন, সেই কিডনিকে ও গ্রুপে রূপান্তরের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে রক্তের গ্রুপ ভিন্ন হলেও এক ব্যক্তির কিডনি অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রতিস্থাপন করা যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া জানিয়েছে, এক দশকেরও বেশি সময়ের কাজের ফল নতুন এই আবিষ্কার। বিজ্ঞানী উইদার্স ও জয়চন্দ্রন কিঝাক্কেটু রক্তের গ্রুপ নির্ধারণকারী শর্করা সরিয়ে ফেলে সর্বজনীন দাতা রক্ত তৈরির জন্য কাজ করেছেন। এই আবিষ্কার একটি গুরুতর সমস্যার সমাধান করছে। ও গ্রুপের কিডনির চাহিদা খুব বেশি হওয়ায় রোগীদের কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দুই থেকে চার বছরের বেশি অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমান প্রতিস্থাপন পদ্ধতিতে রোগীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দমন করতে হয় ও শুধু জীবিত দাতাদের মধ্য থেকে কিডনি নিতে হয়। নতুন এনজাইম চিকিৎসা পুরো ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এখন বিজ্ঞানীরা নতুন কিডনি নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করে সাধারণভাবে ব্যবহারের উপযোগী করার কাজ করছেন।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গবেষণায় এ গ্রুপের রক্তের একটি কিডনি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও অ্যাভিভো বায়োমেডিক্যাল ইনকরপোরেটেডের তৈরি বিশেষ এনজাইম ব্যবহার করে সর্বজনীন রক্তের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ও–তে রূপান্তরিত করা হয়। এরপর রোগীর পরিবারের সম্মতিতে রূপান্তরিত কিডনি একজন রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। কোনো গুরুতর প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই কিডনি ভালোভাবে কাজ করেছে। নতুন এই আবিষ্কারের মাধ্যমে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষার সময় কমে আসবে। নেচার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সাময়িকীতে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানী স্টিফেন উইদার্স বলেন, ‘এই প্রথম আমরা মানব মডেলে পরীক্ষা করেছি। দীর্ঘমেয়াদে কীভাবে উন্নত করা যায়, সে সম্পর্কে আমাদের নতুন তথ্য জানার সুযোগ আছে। এখন আর কিডনিকে গ্রহীতার রক্তের গ্রুপের সঙ্গে হুবহু মেলাতে হবে না। কিডনি প্রতিস্থাপনের সাফল্যের হার বাড়বে।’

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রক ত র গ র প র ক ডন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

এনআরবিসি ব্যাংকে আইএফআরএস-৯ বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস’ (আইএফআরএস-৯) বিষয়ক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ট্রেনিং ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে (এইচআরটিডিসি) অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান।

কর্মশালায় আন্তর্জাতিক নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি শ্রীলঙ্কার পার্টনার রদিথা আলহাকুন “আইএফআরএস ৯–ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্ট্রুমেন্টস” বাস্তবায়নের ধাপসমূহ তুলে ধরেন। তিনি বিশেষভাবে সম্ভাব্য ঋণ ক্ষতি (ইসিএল) মডেলভিত্তিক ঋণ শ্রেণীকরণ এবং শ্রেণীকৃত ঋণের বিপরীতে প্রভিশন নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। 

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মতো ব্যাংকিং খাতে আইএফআরএস-৯ বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়ে নীতিমালা জারি করেছে।

ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “এ নীতিমালার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে ঋণঝুঁকি মূল্যায়ন ও ব্যবস্থাপনায় কাঠামোগত পরিবর্তন আনবে। প্রচলিত নিয়ম-ভিত্তিক পদ্ধতি থেকে বৈশ্বিক মানসম্মত ‘ফরোয়ার্ড-লুকিং স্ট্যান্ডার্ড’-এ রূপান্তরের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসিএল মডেল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ উদ্যোগ।”

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেপিএমজি বাংলাদেশের সহযোগী পরিচালক নাজিব উল্লাহ। এছাড়া, এনআরবিসি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।

ঢাকা/ইভা   

সম্পর্কিত নিবন্ধ