টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর গোলাপি বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার মির্জাপুর থানার সামনে বারখালী খাল থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গোলাপি বেগম উপজেলা সদরের পোস্টকামুরী গ্রামের আবদুল কাদের মিয়ার স্ত্রী। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। তাঁর বাবার বাড়ি বাওয়ার কুমারজানী রোডের ওই খালের পাশেই অবস্থিত।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গোলাপি বেগম বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খোঁজ করেও পাননি। আজ সকালে থানার অদূরে শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের দক্ষিণ পূর্বপাশে ওই খালে মরদেহ ভাসতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাঁর মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ অর্ধগলিত। তাঁর পায়ে বিদ্যুতের তার প্যাঁচানো ছিল। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ রয়েছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র মরদ হ উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই শহিদ পরিবারের আক্ষেপ: ‘আদর্শ পূরণ হয়নি, আমরা এখনও বঞ্চিত’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জুলাই শহিদ পরিবারের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে শহিদ পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের সন্তানেরা যে আদর্শ ও উদ্দেশে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তা আজও পূরণ হয়নি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

শহিদ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন দপ্তরে তারা নানাভাবে লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। তারা জানান, নিজেদের সমস্যাগুলো জানাতে চাইলেও অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতার কারণে তা সম্ভব হয় না।

পরিবারবর্গের অভিমত, ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর একটি আইনি ভিত্তি থাকা জরুরি, যাতে তাদের সন্তানদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। উপস্থিত সব পরিবার এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই ফাউন্ডেশন এ বিষয়ে কাজ করছে। তবে শহিদ পরিবারবর্গ যে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না, তা কমিশনের জানা ছিল না। কমিশন আশ্বস্ত করে, উত্থাপিত সব বিষয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এছাড়া, শহিদ পরিবারবর্গ যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন, কমিশন তাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।

বৈঠকে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন— আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া (শহিদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা), মীর মোস্তাফিজুর রহমান (শহিদ মুগ্ধর বাবা), মোঃ মহিউদ্দীন (শহিদ ইয়ামিনের বাবা), কবির হোসেন (শহিদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা), মোহাম্মদ আবদুল মতিন (শহিদ শাহরিয়ারের বাবা), মোঃ গোলাম রাজ্জাক (শহিদ রিয়ানের বাবা), মোঃ গাউছ উল্লাহ (শহিদ আব্দুল্লাহর ভাই), সাইফ আহমেদ খান (শহিদ আব্দুল হান্নানের ছেলে), মোঃ ওবায়দুল হক এবং সৈয়দ গাজীউর রহমান (শহিদ মোন্তাসিরের বাবা)।

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ