শতবর্ষে নিভে গেল অভিনেত্রীর জীবনপ্রদীপ
Published: 27th, October 2025 GMT
বরেণ্য মার্কিন অভিনেত্রী জুন লকহার্ট মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৯টা ২০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা মনিকার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেত্রী। তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পিপল এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বার্ধক্যজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে জুন লকহার্টের। অভিনেত্রীর মৃত্যুর সময়ে পাশেই ছিলেন তার কন্যা জুন এলিজাবেথ, নাতনি ক্রিস্টিয়ানা।
আরো পড়ুন:
নীল সমুদ্রে চুম্বনে মগ্ন কেটি পেরি-জাস্টিন ট্রুডো
সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?
১৯২৫ সালের ২৫ জুন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইর্য়কে জন্মগ্রহণ করেন জুন লকহার্ট। কানাডিয়ান-আমেরিকা অভিনেতা জিন লকহার্ট ও ইংলিশ অভিনেত্রী ক্যাথলিন দম্পতির একমাত্র কন্যা জুন লকহার্ট।
মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে উঠেন জুন। ১৯৪৭ সালে ২২ বছর বয়সে ‘ফর লাভ অর মানি’ নাটকে অভিনয় করেন। এ নাটকে অভিনয়ের জন্য ‘সেরা নবাগত অভিনেত্রী’ হিসেবে টনি পুরস্কার লাভ করেন। তার এই পারফরম্যান্সের জন্য ‘থিয়েটার ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পান জুন।
জুন লকহার্ট ১৩ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ১৯৩৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ সিনেমায় ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি। দুই বছর বিরতি নিয়ে ফের ‘অল দিস, অ্যান্ড হ্যাভেন টু’ সিনেমায় অভিনয় করেন। পরের বছর আরো দুটো সিনেমায় অভিনয় করেন জুন। এরপর অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নানা রূপে প্রমান করেছেন এই অভিনেত্রী।
১৯৫৮ সালে, ‘ল্যাসি’ সিরিজের পঞ্চম মৌসুমের শুরুতে জুন লকহার্ট ক্লোরিস লিচম্যানের জায়গায় ‘রুথ মার্টিন’ এর ভূমিকায় অভিনয় শুরু করেন জুন। এ চরিত্র টিভি ইতিহাসের সবচেয়ে প্রিয় মাতৃত্বপূর্ণ চরিত্রের একটিতে রূপ দেন জুন। ১৯৬৫ সালে ‘লস্ট ইন স্পেস’ সিরিজে অভিনয় করেন। এতে একজন স্ত্রী, মা ও মহাকাশ অভিযাত্রীর চরিত্র রূপায়ন করেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
১৯৫১ সালে জন এফ.
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র জ ন লকহ র ট চর ত র র বয়স বছর ব
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ডের রাজমাতা সিরিকিত মারা গেছেন
থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের মা রানি সিরিকিত মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২১ মিনিটে সিরিকিত মারা যান বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে থাই রয়্যাল হাইসহোল্ড ব্যুরো।
রানি সিরিকিত ২০১৯ সাল থেকে শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে চলতি মাসে তাঁর রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন২৭ বছর পর কেন দেশে ফিরলেন থাই রাজার মেজ ছেলে০৮ আগস্ট ২০২৩দীর্ঘ ৬ দশকের বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ডে রানি ছিলেন সিরিকিত। তিনি দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে থাকা রাজা ভূমিবল আদুলাদেজের স্ত্রী। ২০১৬ সালে রাজা ভূমিবল মারা যান। এরপর সিংহাসনে বসেন তাঁদের ছেলে মহা ভাজিরালংকর্ন।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রয়াত মায়ের জন্য রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজনে থাই রয়্যাল হাউসহোল্ড ব্যুরোকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজা ভাজিরালংকর্ন। রানি সিরিকিতের মরদেহ ব্যাংককের রাজপ্রাসাদের দুসিত থোর্ন হলে সমাহিত করা হবে। রাজপরিবারের সদস্যরা এক বছরের শোক পালন করবেন।
রানি সিরিকিতের মৃত্যুতে থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাঁর মালয়েশিয়া সফর বাতিল করেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোটের (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তাঁর কুয়ালালামপুর যাওয়ার কথা ছিল।
সিরিকিতের বাবা ছিলেন ফ্রান্সে থাই রাষ্ট্রদূত। প্যারিসে পড়াশোনা করেন তিনি। সেখানেই রাজা ভূমিবলের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়।
আরও পড়ুনথাই রাজা ২০ উপপত্নীসহ জার্মানিতে আইসোলেশনে২৯ মার্চ ২০২০১৯৮০ সালে বিবিসির একটি তথ্যচিত্রে ভূমিবলের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার দিনের স্মৃতিচারণা করেছিলেন সিরিকিত। মজা করে বরেছিলেন, প্রথম দেখায় ভূমিবলকে তাঁর একটুও ভালো লাগেনি। কারণ, ভূমিবল দেরি করে এসেছিলেন। বিকেল চারটায় আসার কথা থাকলেও ভূমিবল সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করিয়েছিলেন।
এ যুগল ১৯৫০ সালের ২৮ এপ্রিল বিয়ে করেন। সপ্তাহখানেক পর ভূমিবল সিংহাসনে আরোহণ করেন। ষাটের দশকে তরুণ রাজকীয় দম্পতি হিসেবে বিশ্বভ্রমণ করেন ভূমিবল–সিরিকিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার, ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তারকা এলভিস প্রিসলি প্রমুখের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। ওই দশকজুড়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের সেরা পোশাকের জন্য আলোচনায় ছিলেন সিরিকিত।
আরও পড়ুনঅভিষেকের আগে দেহরক্ষীকে বিয়ে করলেন থাই রাজা০২ মে ২০১৯সিরিকিতকে খুবই সম্মান করেন থাইল্যান্ডের মানুষ। দেশটিতে ১২ আগস্ট তাঁর জন্মদিনকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭৬ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
২০১২ সালে স্ট্রোক করেছিলেন সিরিকিত। এরপর থেকে তাঁকে জনসমক্ষে খুব কমই দেখা গেছে। তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুনমর্যাদা ফিরে পেলেন থাই রাজার প্রেমিকা সিনিনাত ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০