আইফোনের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনেও ব্যবহার করা যাবে ওপেনএআইয়ের সোরা অ্যাপ
Published: 27th, October 2025 GMT
আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি ‘সোরা’ অ্যাপ সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা বা প্রম্পট থেকে সর্বোচ্চ ১০ সেকেন্ডের কৃত্রিম ভিডিও তৈরি করতে পারে। আর তাই উন্মুক্তের পরপরই আইফোন ব্যবহারকারীদের কাছে অ্যাপটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আইফোন ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের জন্যও সোরা অ্যাপ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই।
সোরা অ্যাপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যেকোনো ছবি বা মুখের প্রতিচ্ছবি থেকে দ্রুত স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিজেদের বা অন্য কারও মুখ ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উন্মোচন করা হলেও প্রথম পাঁচ দিনে অ্যাপটি ১০ লাখবারেরও বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে। আর তাই সোরা অ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ আরও বেশ কিছু দেশে উন্মুক্ত করা হতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ উন্মুক্তের পাশাপাশি সোরা অ্যাপে একাধিক নতুন সুবিধাও যুক্ত করছে ওপেনএআই, যার মধ্যে ‘ক্যামিও’ অন্যতম। নতুন এ সুবিধা চালু হলে যেকোনো ব্যক্তি, পোষা প্রাণী এমনকি বস্তুকেও ভিডিওর চরিত্র হিসেবে যুক্ত করা যাবে। এ ছাড়া দ্রুত ভিডিও সম্পাদনার জন্য ‘স্টিচিং’এআই টুলও যুক্ত হচ্ছে অ্যাপটিতে। টুলটির মাধ্যমে একাধিক ক্লিপ একত্র করে নতুন ভিডিও তৈরি করা যাবে।
প্রসঙ্গত বাজারে আসার পরপর জনপ্রিয়তা পেলেও সোরা অ্যাপ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি প্রয়াত জনপ্রিয় ব্যক্তিদের চেহারা বা রূপ ব্যবহার করে ভিডিও তৈরির সুযোগ থাকায় সোরা অ্যাপকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে অনলাইনে। অ্যাপটি ব্যবহার করে তৈরি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহজেই শেয়ার করা যায়।
সূত্র: টেকলুসিভ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর উন ম ক ত জনপ র য় ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাটজিপিটিতে সরাসরি অ্যাডোবি ফটোশপ, এক্সপ্রেস ও অ্যাক্রোব্যাট ব্যবহার করার সুযোগ
চ্যাটজিপিটিতেই এখন ব্যবহার করা যাবে অ্যাডোবির জনপ্রিয় তিন অ্যাপ—ফটোশপ, অ্যাডোবি এক্সপ্রেস ও অ্যাক্রোব্যাট। ওপেনএআইয়ের সঙ্গে যৌথ ঘোষণায় অ্যাডোবি জানায়, ব্যবহারকারীরা নির্দেশ দিলেই ছবি সম্পাদনা, ডিজাইন তৈরি কিংবা পিডিএফ নথি গোছানোর মতো কাজ চ্যাটজিপিটির মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
চাইলেই ব্যবহারকারীরা চ্যাটজিপিটি থেকে অ্যাডোবির নেটিভ অ্যাপে গিয়ে আগের কাজ অব্যাহত রাখতে পারবেন। তবে চ্যাটজিপিটির ভেতরে অ্যাডোবির অ্যাপ ব্যবহার করে তৈরি বা সম্পাদিত কোনো কনটেন্ট ব্যবহারকারীর অ্যাডোবি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড বা অ্যাক্রোব্যাট অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ হবে না।
অ্যাডোবি জানায়, অ্যাপগুলো বিনা খরচে উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং ওপেনএআইয়ের অ্যাপস এসডিকি যেসব দেশে চালু রয়েছে, সেসব দেশেই এগুলো ব্যবহার করা যাবে। তবে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবহারকারীরা আপাতত এই সুবিধার বাইরে থাকছেন। প্রতিষ্ঠানের দাবি, এই উদ্যোগের ফলে চ্যাটজিপিটির ৮০ কোটির বেশি বৈশ্বিক ব্যবহারকারী এখন সরাসরি অ্যাডোবির সৃজনশীল টুলগুলোয় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন।
চ্যাটজিপিটিতে ফটোশপ, অ্যাক্রোব্যাট বা অ্যাডোবি এক্সপ্রেস ব্যবহার শুরু করতে কেবল ‘Adobe Photoshop’, ‘Adobe Acrobat’ বা ‘Adobe Express’ লিখে নিজের অনুরোধ জানাতে হবে। অ্যাডোবি এক্সপ্রেস ও অ্যাক্রোব্যাট ব্যবহারের জন্য অ্যাডোবি অ্যাকাউন্টে সাইন–ইন প্রয়োজন হলেও মূল ফটোশপ–সুবিধা ব্যবহার করতে আলাদা অ্যাডোবি অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন নেই।
এর আগে ক্যানভা, ফিগমা, কোরসেরা, এক্সপিডিয়া, স্পটিফাই, পেলোটন, ট্রিপঅ্যাডভাইজার, জিলো, বুকিং ডটকম ও ইনস্টাকার্ট এ ধরনের আরও বেশ কয়েকটি অ্যাপ চ্যাটজিপিটির অ্যাপস এসডিকিতে যুক্ত হয়েছে। এসব অ্যাপ সরাসরি চ্যাটজিপিটির ভেতর থেকেই খুলে কাজ করা যায়।
অ্যাডোবি বলছে, তাদের ফায়ারফ্লাই এআই মডেল নিরাপদ ও লাইসেন্স করা ডেটায় প্রশিক্ষিত, যা বর্তমান এআই প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। ওপেনএআইয়ের সঙ্গে অংশীদারত্ব নিয়ে কিছু প্রশ্ন থাকলেও অ্যাডোবি দাবি করে, তাদের লক্ষ্য সৃজনশীল পেশাজীবীদের কাজকে আরও সহজ করা, তাঁদের ভূমিকা কমিয়ে দেওয়া নয়।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, স্বতন্ত্র অ্যাপ হিসেবেই অ্যাডোবি এক্সপ্রেস ও অ্যাক্রোব্যাট প্রতি মাসে ৭০ কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করেন। অ্যাডোবির ধারণা, চ্যাটজিপিটির মতো ব্যবহৃত সহজ প্ল্যাটফর্মে অ্যাপগুলো যুক্ত হওয়ায় নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে এবং বিদ্যমান ব্যবহারকারীদের কাজও দ্রুত গতির হবে।
চ্যাটজিপিটিতে অ্যাডোবির অ্যাপগুলো দিয়ে যা করা যাবে—
ফটোশপ ফর চ্যাটজিপিটি: ছবি সম্পাদনা, নির্দিষ্ট অংশ সংশোধন, উজ্জ্বলতা ও কনট্রাস্ট সমন্বয়, ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন, গ্লিচ বা গ্লোর মতো সৃজনশীল ইফেক্ট যোগ করা—এসব কাজ মূল ছবির মান বজায় রেখেই করা যাবে।
অ্যাডোবি এক্সপ্রেস ফর চ্যাটজিপিটি: ডিজাইন তৈরি ও কাস্টমাইজ, টেমপ্লেট পরিবর্তন, টেক্সট ছবি বদলানো, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং প্রয়োজন হলে ডিজাইনে অ্যানিমেশন যোগ করার সুযোগ থাকবে।
অ্যাক্রোব্যাট ফর চ্যাটজিপিটি: চ্যাটজিপিটির মধ্যেই পিডিএফ আপলোড করে সম্পাদনা, সংকুচিত করা, অন্য ফরম্যাটে রূপান্তর, টেক্সট বা টেবিল আলাদা করে বের করা এবং একাধিক ফাইল একত্র করা যাবে।
অ্যাডোবি জানিয়েছে, চ্যাটজিপিটিতে অ্যাপগুলোর সুবিধা ধাপে ধাপে আরও সম্প্রসারণ করা হবে।