২০-২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, সমাধান না হলে আইনের আশ্রয় নেব
Published: 27th, October 2025 GMT
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের হামলায় অন্তত ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, “আমরা চাই, ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে। সমাধান নাহলে আইনের আশ্রয় নেব।
আরো পড়ুন:
ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটিতে সংঘর্ষ: আহত দুই শতাধিক, পরিস্থিতি থমথমে
পাবনায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২
আরো পড়ুন: ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটিতে সংঘর্ষ: আহত দুই শতাধিক, পরিস্থিতি থমথমে
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক মো.
তিনি বলেন, “রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে থুতু ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির দুইজন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। বিষয়টি রাত ১০ টার দিকে সমাধান হয়ে যায়। রাত ১০ টার পর থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ড্যাফোডিলের অসংখ্য শিক্ষার্থী সিটি ইউনিভার্সিটিতে হামলা চালায়। তারা ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটক ও সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেছে। এছাড়া, ১৩টির মতো গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।”
অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, “হামলাকারী শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের অফিস রুমে প্রবেশ করে ভিসি, প্রোভিসি, রেজিস্ট্রারসহ অফিসের সব কম্পিউটার ভাঙচুর করে। গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র লুট করেছে। রাত সাড়ে ৪ টার দিকে ক্যাম্পাসে এসে হতভম্ব হয়ে যাই। শিক্ষার্থীদের দ্বারা এমন কাজ কিভাবে সম্ভব। এরপর ড্যাফোডিলের উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়ে একজন প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।”
সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বলেন, “পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। হামলায় আমাদের ২৫-২৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরো প্রায় শতাধিক আহত হয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীসুলভ আচরণ করেনি। যাদের ধরা হয়েছে, তারা যখন ভাঙচুর চালাচ্ছিলেন তখন তাদের ধরা হয়েছে। আমরা চাই, ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে। সমাধান নাহলে আইনের আশ্রয় নেব। ২০-২৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। ইউজিসি থেকে প্রতিনিধি দল আসবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ অভ য গ ইউন ভ র স ট র র উপ চ র য ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুরে আগুনের ঘটনায় ১১ দিন পর আরেকটি মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে আগুনের ঘটনার ১১ দিন পর ঘটনাস্থল থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল রাব্বি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
১৪ অক্টোবর শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর রোডে অবস্থিত আলম ট্রেডার্স নামের ওই রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। এই আগুন বিস্ফোরিত হয়ে বিপরীত পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
ভবনটির দোতলায় স্মার্ট প্রিন্টিং নামের একটি কারখানায় টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয়। আর তিন ও চারতলায় আর এন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা আছে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।