ঢাবির জহুরুল হক হলে ধূমপান করলে ৩০০ টাকা জরিমানা
Published: 27th, October 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) হল প্রাধ্যক্ষের অফিস থেকে এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশনরত রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৫ শিক্ষার্থী
বাকসু অকার্যকর থাকায় সাঁটানো হলো ‘সেন্ট্রাল ভাতের হোটেল’ লেখা ব্যানার
সব আবাসিক শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে নোটিশে বলা হয়েছে, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল প্রাঙ্গণে একটি সুস্থ, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে দুইটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। হল প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা গেলে, সরকার প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
এছাড়া মাদক সেবনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন বা অন্য কোনো প্রকার মাদকদ্রব্য সেবন বা সংরক্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের উপস্থিতিতে হল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
নোটিশে আরো বলো হয়েছে, এসব সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো- হলের সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি সুস্থ, পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের এসব নিয়মাবলি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলমের ১ হাজার ৯৩৬ একর জমি জব্দের আদেশ
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), তাঁর পরিবারের সদস্য ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ১ হাজার ৯৩৬ দশমিক ৫০ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এসব সম্পদের আনুমানিক মূল্য দেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৯৪০ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৩ টাকা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক তানসিন মুনাবিল হক জব্দের আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান এস আলম, তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য অনুসন্ধান ও তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এস আলম, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে–বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। এভাবে তাঁরা নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনুসন্ধানে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরে টাকা উদ্ধার করা দুরূহ হবে। তাই এস আলম, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে জব্দ করা প্রয়োজন।